ঈশা তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কেকে রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি তোর রান্নার স্কিল দেখে। যে কোন রান্নার ভিডিও বা পোস্ট শেয়ার করলেই আমি সেই পুরনো ঈশার কথা ভাবি যে কিনা চা ছাড়া আর কিছুটি রান্না করতে পারত না। যদিও তখন তুই অনেকটাই ছোট ছিলিস। তাও সেই ঈশা আর এই ঈশার আকাশ পাতাল তফাৎ।
আর জীবনে ভালো পরিবর্তন থাকা প্রয়োজন। আমি খুব খুশি তুই এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিস। আমি পার্সোনালি কখনো কেক বানাইনি বা সরাসরি কেক বানানো দেখিওনি। তবে তোর বেশ কিছু কেকের রেসিপি দেখে আমার মনে মনে একটা সুপ্ত বাসনা জেগেছে যে আমার হবু বরের জন্মদিনের একখান কেক যদি বানিয়ে দেওয়া যায়। যদিও আদৌ সেটা কেক হবে কিনা আমার জানা নেই তবে কয়েকদিন পর পর তো সুন্দর লোভনীয় কে কে রেসিপি দিচ্ছিস যে সেটা দেখে সুপ্ত বাসনাটা মাঝে মাঝেই সাড়া দিয়ে উঠছে।
কেক বানাতে কি কি লাগে এই বিষয়েও আমার তেমন কোন জ্ঞান ছিল না। তবে তোর পোস্ট দেখে সেই বিষয়ে কারোর কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। খুব সুন্দর ভাবে ডিটেলসে উপকরণ গুলো তুই শেয়ার করেছিস।
ময়দা, চিনি গুঁড়ো, সাদা তেল, দুধ এগুলোতো সহজে পাওয়া যায়। রইল বাকি উপকরণগুলো, সেগুলো বাজার থেকে কিনে আনলেই সহজে বাড়িতে এত সুন্দর একটা কেক বানিয়ে ফেলা যায়।
আর বাইরের কোন খাবার ই পুষ্টিকর হয় না। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে গেলে বাড়িতে মানিয়ে খাওয়ার চেয়ে দ্বিতীয় কোন উপায় নেই। আর তাছাড়া কাছের মানুষদের জন্মদিনে এত সুন্দর একটা কেক বানিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দেওয়াটাও বেশ মজার। কাছের মানুষেরা নিজের হাতে তৈরি জিনিস দিলে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়। তাই তোর এই রেসিপিটা দেখে অনেকেই অনায়াসে বাড়িতে সুন্দর একটা কেক বানিয়ে ফেলতে পারে।
আর শুধু কেক বানিয়ে দিদিদের খাওয়ালেই হবে না, এই পিংকি দিদি কেউ খাওয়াতে হবে। যদিও খানিকটা টেস্ট করেছিলাম। সত্যি দারুণ বানিয়েছিলিস। তাহলে এরপর আবার কোন দিন কেক খাওয়ার সুযোগ হচ্ছে আমাদের?