খুশির মুহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সামনে শেয়ার করতে চলেছি কিছু মনের মতন মুহূর্ত। আগের পোস্টে যেখানে থেমেছিলাম ,তার পর থেকেই লিখছি।
মন্দিরে যখন প্রবেশ করা গেল না ।যখন সকলের মন খারাপ তখন ঠিক করলাম ফেরার পথে কোন একটা ক্যাফেতে বসে একটু চা ,কফি খাওয়া যাবে। আর এর সাথেই জেঠিনের উপহার দেওয়া হবে ।সাথে ফুলের তোড়া যেটা কিনেছিলাম সেটাও দিয়ে দেব।
কৃষ্ণনগরের একটু আগেই একটি রেস্টুরেন্ট আছে। ওই রেস্টুরেন্টে এর আগেও আমি চা ,কফি খেয়েছি। সেখানেই দেখলাম গাড়ি গিয়ে থামল। আমরা আমাদের গাড়িতে ছিলাম। জেঠুরা জেঠুদের গাড়িতে ছিল। জেঠু দুর্দান্ত গাড়ি ড্রাইভ করতে পারে। নিজের গাড়ি নিজেই ড্রাইভ করে। আমার বাবা সে জায়গায় ড্রাইভিং করতে পারলেও সেরকম করতে চায় না ,আর একটু ভয়ও পায়।।
তাই গাড়িতে আমাদের কাউকে না কাউকে ডাকতে হয় গাড়ি চালানোর জন্য।
যাইহোক জেঠু পছন্দ করে এই রেস্টুরেন্টে যখন দাঁড়ালো। তখন আমারও বেশ ভালো লাগলো। কারণ জায়গাটা চেনাশোনা। বাঁশ এর পুরো কাজ। বাঁশ দিয়েই পুরো বিল্ডিংটাকে বানানো। তাতেই একতলা দোতলা করে ক্যাফে করা। আমরা নিচের তলাতেই বসলাম। কারণ আমরা অনেকেই ছিলাম।
রেস্তোরাঁতে দুটো টেবিল এক জায়গায় করে আমাদের চেয়ার গুলো পেতে দিল এক স্টাফ।আমরা টোটাল আটজন ছিলাম। অর্ডার করা হলো পনির পকোড়া, চিকেন ললিপপ। আর কফি। মা চিকেন খায় না বলে, মায়ের জন্য পনির পকোড়া ছিল। কফি আমরা সবাই খেয়েছি। তবে প্রত্যেকবার কফি খাওয়ার আগে থেকেই আমার ভেতরটা কেমন ভয় ভয় করে। কারণ কফি খেলেই আমার সমস্যা হয়। তাও খেতে ভালো লাগে।
যাই হোক হালকা হালকা ডিম লাইট ,একটা হলুদা আভা চারিদিকে ,সন্ধ্যেটা দুর্দান্ত লাগছিল ক্যাফের মধ্যে বসে। জেঠিনকে আমরা সবাই উইশ করলাম। আর আমি জেঠি র জন্য যেটা কিনেছি, হাতে তুলে দিলাম। সাথে পরিয়ে দিলাম। জেঠিনের হাতে আংটিটা খুবই সুন্দর লাগছিল। ওনার যেহেতু একটু চেহারা স্বাস্থ্য ভালো। তাই আংটিটা আরো ভালো লাগছিল।
তারপর যে ফুলের তোরাও দিলাম। অনেক অনেক আদর করলাম। সবাই মিলে ছবি তোলা হলো। এর সাথে খাওয়া-দাওয়া হলো। সব মিলিয়ে সন্ধেটা জমে গেল।পরিবারের সাথে এরকম আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে পেরে আমি নিজেও খুব খুশি হয়েছিলাম।
জেঠি তো জানতো না, আমি ওনার জন্য এরকম একটা উপহার আনব। তাই রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছিল। বারবার বলছিল তুই এটা কেন করতে গেলি। তোর এতগুলো টাকা খরচ হয়ে গেল। আর আমি জেঠিনকে বারবার বুঝিয়ে যাচ্ছিলাম।
তারপর ওইখানেই বসে প্রায় কিছুটা সময় কাটালাম সবাই মিলে। অনেক অনেক গল্প আড্ডা হাসি। তারপর আর কি কি হয়েছে,পরের ঘটনাগুলো পরের পোস্টে শেয়ার করছি।। আজকে এখানেই শেষ করলাম।
মন্দিরে গিয়ে দরজা বন্ধ পেয়ে ফিরে আসার সময় যতটা মন খারাপ করছিল, ক্যাফেতে বসে সবার সাথে সময় কাটাতে পেরে মনটা পুরোপুরি ভরে গেল। শুধু আমার নয় বাকি সবার। তাই ঠাকুর যা করে মঙ্গলের জন্যই করে, কারণ আমরা ক্যাফেতে বসেই ঠিক করে ফেলেছিলাম পরেরদিন সকালবেলায় এসে ঠিকভাবে পুজো দিয়ে যাব।
পুরোহিতের কাছ থেকে শুনে নিয়েছিলাম যে মন্দির সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২ টা অব্দি খোলা থাকে। নিশ্চিন্তে না খেয়ে এসে শুদ্ধ বস্ত্র পড়ে পুজো দেওয়া সঠিক হবে। তাই ক্যাফেতে বসেই ডিসাইড হয়ে গিয়েছিল যে পরের দিন আবার শিবনিবাস আসছি।
আপনার লেখা পড়ে মনটাই ভালো হয়ে গেল! মন্দিরে প্রবেশ করতে না পারার মন খারাপ মুহূর্তটি যেভাবে পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটিয়ে আনন্দে রূপান্তর করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ক্যাফের বাঁশের কাঠামো, হালকা ডিম লাইটের পরিবেশ, আর পরিবারের আন্তরিক মুহূর্তগুলো এক অনন্য অভিজ্ঞতা এনে দিল। জেঠিনকে দেওয়া উপহার আর তার প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা যেন চোখের সামনে ফুটে উঠল! আশা করছি, শিবনিবাসে আপনার পরবর্তী দিনের অভিজ্ঞতাও চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা রইল!
এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, আপনি পরিবারের সাথে একটি রেস্টুরেন্টে বসে। কিছু খাবার খেয়েছেন, কিছু চিকেন ললিপপ, পনির পকোড়া, এবং কফি ইত্যাদি! পরিবারের সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনি উপভোগ করেছেন, যা আপনার পোস্টটি পড়ে ভালই লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।