পুজোরদিন সকালের আয়োজন

in Incredible India2 months ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকালের মতোই দেখুন আপনারা, কিভাবে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে ধারণার বাইরে ।আমি এ কদিন বৃষ্টির জন্য বাইরে বের হতেই পাচ্ছি না ।পুজোর আগে এরকমভাবে বৃষ্টি হলে একটু সমস্যা দাঁড়িয়ে যায় ।কারণ জামাকাপড় কেনাকাটা থাকে। কত জামা কাপড় কেনাকাটা হয়েছে সেগুলো নিয়েও আপনাদের সাথে পোস্ট লিখব ,তবে কিছুদিন পরে। আজকে অন্য কিছু শেয়ার করতে এসেছি।

IMG-20240915-WA0025.jpg

গতকালের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে কিভাবে আমি আমাদের বাড়িতে গণেশ ঠাকুরের যে পূজো হয়েছিল ,সেই পুজোর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডেকোরেশন করেছিলাম ।ব্যাকগ্রাউন্ড ডেকোরেশনের সমস্ত কিছু আমি স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ।আজ পুজোর দিনের সকালের কথা আমি শেয়ার করতে চলেছি।

IMG-20240915-WA0027.jpg

গনেশ পূজা যেহেতু প্রথমবার আমাদের বাড়িতে ধুমধাম করে হচ্ছিল, তাই আগের দিন থেকেই আমি ভীষণ এক্সাইটেড ছিলাম। সত্যি কথা বলতে আমার নিজেরও বহুদিনের ইচ্ছা ছিল আমাদের বাৎসরিক পুজো গুলোর মতোনই গণেশ পূজো হোক। তো সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলছে এই জন্য আমি এবং বিশেষ করে আমার বাবা খুব আনন্দে ছিলাম।

IMG-20240915-WA0023.jpg

সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে লেগে পড়েছিলাম কাজে
আমার মা যেহেতু রোজ সকালে ওঠে, সকালে উঠে বলা ভুল হবে ,অনেক ভরে ওঠে। এই কারণে আমার মায়ের আমার আগেই অনেক কাজ করা কমপ্লিট হয়ে গিয়েছিল। আমার মা মোটামুটি প্রত্যেকদিন সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে উঠে পড়ে। কি অবাক কান্ড লাগে আমার। কারণ আমি এখনো অব্দি এই রুটিন ধরতে পারলাম না ।কোনদিনও যদি সাড়ে পাঁচটা ছটার মধ্যে ঘুম ভেঙেছে ,তাহলে আমার সারাদিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কেটে যায় ।ঠিকঠাক ঘুম না হলে সত্যি কথা বলতে আমি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারি না।

IMG-20240915-WA0028.jpg

তাই জীবনে সবকিছুর মধ্যে ঘুমটা আমার চাই। আর আমার নিজেরও মনে হয় সবাইকে নিজের শরীরের খেয়াল রাখার দরকার। যাইহোক সকালবেলায় উঠে দেখছি মা বাড়ির পুজোর সমস্ত কাজ করে ফেলেছে। ইভেন বাড়ির পুজোর সমস্ত কিছুই হয়ে গেছে। তাই আমি চলে এলাম আমাদের মাঝের ঘরে, যে ঘরটায় গণেশ পূজো করা হবে। ঠাকুর ঘরের থেকে সমস্ত জিনিস আস্তে আস্তে এই ঘরে নিয়ে আসতে লাগলাম ।আর ঠাকুরের আসন সাজাতে লাগলাম ।

IMG-20240915-WA0029.jpg

প্রথমে জলচৌকি সুন্দর করে কাপড় দিয়ে সাজালাম ।তারপরে আলপনা দেওয়া শুরু করলাম আমি খুব ছিমছাম আলপনা দেওয়া পছন্দ করি। আর সেভাবেই আলপনা দিয়ে নিলাম। তারপর ফুল সাজানো থেকে শুরু করে পূজোর সমস্ত কিছু অর্থাৎ পূজোর যা যা সামগ্রী লাগে ,সমস্ত কিছুই সাজিয়ে নিলাম ।

IMG-20240915-WA0030.jpg

সাজিয়ে নেওয়ার পরে আমার মনে ভয় হতে লাগলো। কারণ সত্যি কথা বলতে আমাদের যে ব্রাহ্মণ সে আসবে বলেছে দশটার সময়। আর এদিকে তখনও ভোগ রান্না করা শুরু হয়নি। আর আমি ভেবেই নিয়েছিলাম আমাদের গণেশ ঠাকুরকে আমি অনেক কিছু রান্না করে দেব ।তাই ভীষণ ভয় পাচ্ছিলাম ।এর মধ্যেই ফোন করে নিলাম মৌসুমী বৌদিকে। কারণ বৌদির আসার কথা ছিল অনেক সকালে। কিন্তু বৌদি মনে হয় তখনও ঘুম থেকে উঠতে পারেনি।

IMG-20240915-WA0031.jpg

আমার ফোনে সাথে সাথে রেডি হয়ে স্নান টান সেরে আমার বাড়িতে চলে আসলো। ততক্ষণে পাশের বাড়ির আর একটা কাকিমাও চলে এসেছিল। চারজন মিলে লেগে পড়লাম রান্নার কাজে। পরপর কত কিছু রান্না করে ফেললাম চারজন মিলে। যখন আলুর দমটা হচ্ছে তখন আমাদের ব্রাহ্মণ চলে এসেছে। বাবাও সকাল সকাল উঠে পড়েছিল। পুজোর মিষ্টি, দই আমরা দিনের দিন কিনি ।বাবা সকাল সকাল সেই কাজগুলোই করেছে, আর ফুল যেগুলো আরো ছিল সেগুলোও বাবা কিনে নিয়ে এসেছিল।
IMG-20240915-WA0032.jpg

ব্রাহ্মণের গোছাতে গোছাতে আমাদের আলুর দম তৈরি হয়ে গেল ।তারপর আমরা পুজোয় বসে পড়লাম। সত্যি বলতে একা একা পূজা করতে আমার একদম ভালো লাগেনা ।এভাবে সবাই মিলে গুছিয়ে পূজা করতে বেশ ভালো লাগে। আর এতে কি হয় ,একজনার ওপর এতটা পরিমাণে প্রেসারও পড়ে না। সবাই মিলে পূজো করলে মজাও লাগে। অনেক গল্প আড্ডা করতে করতে বেশ কাজগুলো এগিয়ে যায়।

IMG-20240915-WA0024.jpg

আমার বাড়ির প্রত্যেক পুজোয় পাশের বাড়ির কাকিমা আর মৌসুমী বৌদি অনেক সাহায্য করে। আপনাদের সাথে গণেশ পুজোর সকালের আয়োজন নিয়ে শেয়ার করতে পেরে আমার বেশ ভালো লাগলো। সকলে ভালো থাকুন ।সুস্থ থাকুন।

Sort:  
 2 months ago 

বাড়ির যে কোনো পুজোর আয়োজনের আনন্দই আলাদা। পুজো আসার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই দিন গোনা থেকে শুরু করে, পূজোর আগের দিন সব বাজার করার মধ্যেও আনন্দ রয়েছে। আর এই সকল কাজ করতে আপনি খুব পছন্দ করেন, সেটা এ আগের অনেক পোস্টে পড়েছি।

আপনার গুনের কথা আলাদা করে কি বা বলি। ডেকোরেশন থেকে শুরু করে,ঠাকুরের জায়গায় সব কিছু রেডি করা, আলপনা দেওয়া, ভোগ তৈরি সবদিক কি সুন্দর সামলান। এই সবকিছু পড়ে বেশ অবাক হই। আমি নিজেও এতো কিছু এতো সুন্দর ভাবে পারিনা। যাইহোক, সবশেষে একটা কথা বলতেই হবে গনেশ ঠাকুরের মূর্তিটি দেখে মন ভরে গেলো। সিদ্ধিদাতা গণেশ সকলের মঙ্গল করুন এই প্রার্থনা রইলো।। ভালো থাকবেন।

TEAM 5

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.


image.png

Curated by : @damithudaya

 2 months ago 

বাড়িতে যেকোন পুজোর ক্ষেত্রেই তোমরা খুব সুন্দর ভাবে আয়োজন করো। দেখেও খুব ভালো লাগে। পুজোর দিন সত্যি সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক পুজোর দিন সকলে মিলে খুব আনন্দ করেই কাটিয়েছিলাম। পুজো খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল।

ধর্ম হলো মানুষের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মানুষকে জীবনের অর্থ খুঁজতে, নৈতিকতা শিখতে এবং সমাজের সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করে। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজে বিভিন্ন ধর্ম প্রচলিত আছে। প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব বিশ্বাস, রীতি-নীতি ও উপাসনা পদ্ধতি রয়েছে। আপনার দিনগুলি শুভ হোক।

 2 months ago 

Hello,
@moonmoon55,

আমাদের কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পূর্বে আমরা আপনাকে এই প্লাটফর্ম তথা আমাদের কমিউনিটির সকল নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত করেছি। তাই জিপিটি এবং এআই এই প্লাটফর্মে একেবারেই নিষিদ্ধ এ বিষয়ে আপনি অবগত। পোস্টের ক্ষেত্রে হোক কিংবা কমেন্টের ক্ষেত্রে, এই ধরনের কার্যক্রম একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যে কোনো পোস্ট পড়ে তার বিষয়বস্তু সংক্রান্ত বিষয়ে, নিজের ভালোলাগা অথবা মন্দ লাগা আপনি মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। ভবিষ্যতে যদি এই ধরনের কার্যক্রম চোখে পড়ে, তাহলে কমিউনিটি থেকে আপনাকে ব্যান করতে বাধ্য হবো। এর পাশাপাশি আরও জানাই আপনার পোস্টের নিচে মন্তব্যের মাধ্যমে অনেক ভুল ধরা হয়, কিন্তু আপনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রিপ্লাই করলেও, সেই ভুলগুলোকে সঠিক করেন না, এই বিষয়টি একেবারেই শোভনীয় নয়। আশাকরি ভবিষ্যতে এই সকল দিকে লক্ষ্য রাখবেন।

IMG_20240916_015514.jpg
Loading...

TEAM 5

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.


image.png

Curated by : @damithudaya

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.19
JST 0.034
BTC 91309.99
ETH 3150.55
USDT 1.00
SBD 2.89