Better Life with Steem||The Diary Game|| 17 May 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো:দিনটি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটে গেল।
প্রতিদিনের চেয়ে আজকে একটু সকাল সকাল না উঠে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হই। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে সরাসরি আপুকে বলি, আপু আমাকে সকালের খাবার দাও।
তখন আপু আমার কথা মতো সকালের খাবার দিয়েছিল।তখন আমি সকালের খাবার সম্পূর্ণ করি। আর আজকে সকালের খাবার হিসেবে ছিল। গরম গরম ভাতের সাথে পাঙ্গাস মাছের তরকারি।
আলহামদুলিল্লাহ আজকের সকালে খাবারটা অনেক ভালো ছিল। সকালের খাবার খেয়ে কিছু সময় রুমে বসে থাকি। বসে থাকার একপর্যায়ে রুমের পাশে এক প্রতিবেশী ভাগ্নে হয়। এমন সময় দেখতে পেলাম। সেই ছেলে টা ব্যাগ কাঁধে করে স্কুলে যাচ্ছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব খুশি। তাই দেরি না করে আমি সেই ছেলেটার একটা ছবিও তুল রাখি।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিছু কিছু ছেলে মেয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় মন খারাপ করে থাকে। স্কুলে যেতে চায় না। কিন্তু আমার এই প্রতিবেশী ভাগ্নের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম। এই ভাগ্নেটা যেদিন সে স্কুলে যায় সেদিন হাসিখুশি ভাবে স্কুলে যায়।
যাইহোক এই প্রতিবেশীর ভাগ্নের জন্য দোয়া রইল। সে যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারে। ভাগ্নের বিষয়ে কিছু সময় কথাবার্তা বলে, আমি আমার রুমে চলে যাই। রুমে চলে গিয়ে কিছু সময় আপুর সাথে কথাবার্তা বলার পরে, আপু কাঁচা আম দিয়ে আচার তৈরি করেছিল, সেই আচার আমাকে খেতে বলল,
তখন আমি আগে আচারের ছবি তুলে রাখি। এরপর একটু আচার খেয়েছিলাম। যাইহোক আচার খেয়ে ঘড়ির দিকে খেয়াল করলাম ঘড়িতে তখন দুপুর বারোটা বাজে। তখন দেরি না করে দুপুরে গোসল সম্পূর্ণ করি। গোসল সম্পন্ন করে কিছু সময় রুমে এসে বসে থাকি।
এভাবে যখন দুপুর ১ টা বাজলো তখন অফিস থেকে ভাইয়া আসলে আমি এবং ভাইয়া দুজনে মিলে দুপুরের খাবার সম্পূর্ণ করেছিলাম।দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে দুই ভাই মিলে কিছু সময় ইউটিউবে ভিডিও দেখি। ভিডিও দেখতে দেখতে যখন দুইটা বাজলো, তখন ভাইয়া অফিসে চলে গেলে, আমি আরো কিছু সময় ইউটিউবে ভিডিও দেখি।
ভিডিও দেখা শেষ হলে কিছু সময় বিছানায় শুয়ে থেকে, এভাবে যখন বিকাল পাঁচটা বেজেছে। তখন বিকাল পাঁচটার পর ঘোরাঘুরি করার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম।বাইরে গিয়ে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করি।
ঘোরাঘুরি করার সময় যেহেতু ঢাকা শহর। তাই দেখা যায় বিকাল হলেই রাস্তার পাশে দোকানপাট বসে। তাই ঘোরাঘুরি করা অবস্থায় রাস্তার পাশে দেখতে পেলাম। একটা প্রাইভেট কারে করে ওষুধ বিক্রেতেরা অর্থাৎ তাদেরকে হকার বলা চলে, তারা প্রাইভেট কারে করে বিভিন্ন ওষুধ বিক্রি করে থাকে।
তখন আমি তাদের ওষুধ বিক্রি করা দেখে তাদের ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। দেখতে পারবেন তারা তাদের পোস্টালের কি কি ধরনের ওষুধ বিক্রি করে এটা লেখা আছে। সেই পোস্টালটার একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের শেয়ার করে দেখানো হলো।
যাইহোক ছবি তুলে তাদের সাথে আমি বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললাম। তারা কোথায় থেকে এসেছে? কোন কোন জেলায় যায় এ সকল প্রশ্ন করলাম। যাইহোক তখন তারা বলল আমরা সিলেট হতে চান্দুরা তে এসেছি। তখন বললাম আচ্ছা আপনারা কি বিভিন জেলাতে যান।
তখন বলল আমরা সকল জেলাতেই এই গাড়ি নিয়ে যায়,গিয়ে ওষুধ বিক্রি করি। তখন বললাম বা তাহলে তো ভালোই। বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলে আরো কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা আগেই বাড়িতে আসার সময় আপু যেহেতু এক কেজি পেয়ারা নিতে বলেছে।
তাই আমি সেখানে হতে এক কেজি পেয়ারা নিয়ে আপুর বাসায় চলে আসি। আপুর বাসায় চলে এসে পেয়ারাগুলো আপুকে দিলাম। তখন আপু বলল এক কেজি পেয়ারা কত টাকা নিয়েছে? তখন আমি বললাম ১ কেজি পেয়ারা ৭৫ টাকা নিয়েছে।
পেয়ারার দাম বলে আমি গোসলখানায় গিয়ে হাত মুখ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নি।ই এভাবে যখন রাত আটটা বাজে, তখন ভাইয়া অফিস থেকে এসে নিজেকে ফ্রেশ হয়ে নেয়।
ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় তিনজনে মিলে কিছুক্ষণ পর রাতের খাবার সম্পন্ন করে, কিছু সময় অনলাইনে বন্ধুদের সাথে সময় দিই। অনলাইনে সময় দিয়ে রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ি। আর এটাই ছিল আমার ঐইদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
ভাই আপনার ছোলা খাওয়ার বিষয়টা সত্যিই মিস করছি অনেকদিন যাবত। আপনি কি ছোলা খাওয়া ছেড়ে দিলেন? একটু জানাবেন।
প্রতিদিন হয়ত আমাদের একই ভাবে সকাল সকাল উঠতে ইচ্ছা করে না। কোনো কোনো দিন একটু দেরি করেই উঠতে ইচ্ছা করে যেমন আজ আপনি তুলনামূলক দেরি করে ঘুম থেকে উঠছিলেন এবং তারপর ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়েছিলেন।
বাইরে এসে পেয়ারা কিনেছিলেন। তবে আপনাদের এখানে আমাদের তুলনায় পেয়ারার দাম একটু বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভাই ইদানীং ছোলা খায় না আবার সবাই সুযোগ করে ছোলা খাওয়া শুরু করব। ভালো থাকবেন
হ্যাঁ ভাই! আপনি একদম ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ের ছোট বাচ্চারা তো স্কুলে যেতেই চায় না।
আপনার বোনের কাঁচা আমের আচার দেখে তো আমারও লোভ লেগে গেছে। আচারে ছবি দেখে মনে হলো খেতেও বেশ দারুন হয়েছে।
ঢাকা শহরে বিকেলবেলা রাস্তায় দোকানে শেষ নেই, সবকিছু কিনতে পাওয়া যায়।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
আপনার প্রতিবেশী ভাগিনাকে দেখে আমারও স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল আমি এভাবে স্কুলে যেতাম।।
আমের আচার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ভাই আগের মত এখন আর আচার খাওয়া হয় না।। এটা আপনি সঠিক বলেছেন ঢাকা শহরে বিকাল হলেই রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক রকম দোকান বসে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে কখনো দেরি করবেন না। এটা করা মোটেও ঠিক না বিশেষ করে আমরা যখন একজন মুসলমান। বর্তমান সময়ে আপনি ঢাকা শহরে রয়েছেন। ঢাকা শহরে বিকেল বেলা ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু এই গরমে ঘোরাঘুরি করাটা একেবারেই সম্ভব হয় না। পেয়ারার দাম মনে হয় এখনো আবার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগেই তো মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে ১ কেজি পেয়ারা পাওয়া যেত। যাই হোক ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।ভালো থাকবেন
প্রতিদিন এর মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আপনার আপুর কাছে চেয়ে সকালের নাস্তা খেয়েছেন
আপনার প্রতিবেশী ভাগ্নেকে স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে সুন্দর লাগছে।
চান্দুরাতো আমি জানি গাজীপুরের দিকে পরেছে কিন্তু ঢাকা শহরে যে চান্দুরা আাছে এটা জানা ছিলো আমার আগে, আপনার লেখা পড়েই জানালাম।
বোনের জন্য পেয়ালা কিনেছিলেন পচাত্তর টাকা কেজি করে।
তিনজনে মিলে রাতের খাবার খেয়ে কিছু সময় অনলাইনে কাটিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পরেছিলেন।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন
কাঁচা আমের স্বাদের কোন তুলনায় হয় না এখন যেহেতু আম সবে মাত্র লাল হয়ে উঠছে এই সময় আমের আচার বানিয়ে রাখলে সারা বছর এই আনসার কিন্তু খাওয়া যায়।
আমের আচার দেখে তো আমার লোভ লাগছে কি করা যাবে ভাই শুধু তো আমরা দেখতে পাব খেতে পারব না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পরার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে সেই অনুযায়ী মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন ভাই
আপনার প্রতিবেশী ভাগ্নে বেশ মিষ্টি দেখতে। সঠিক বলেছেন, অনেক বাচ্চা স্কুলে যেতে চায় না তবে ওকে দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে যে ও স্কুলে যেতে বড়ই ভালবাসে। আপনার আপু কাঁচা আম দিয়ে আচার জবরদস্ত তৈরি করেছে। দেখে যথেষ্ট লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন