মজাদার দেশী মুরগির মাংস রন্ধন প্রনালী।
Hello Everyone |
---|
আমার গত ডায়েরি গেম এ আমি বলেছিলাম যে গ্রাম থেকে আমার শ্বাশুড়ি আম্মা দেশী মুরগি পাঠিয়েছে। । আমাদের শহর অণ্ঞ্চলে দেশি মুরগি পাওয়া যায় না বললেই চলে। এবং কালে ভদ্রে কখনো পাওয়া গেলেও বিক্রেতা দাম হাকেন অনেক বেশি।যার জন্য গ্রাম থেকেই আনিয়ে খাওয়া হয়। বর যেহেতু আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি হজ্জে গিয়েছেন,তাই উনার পালিত মুরগি গুলো সবাই কে দিয়ে গিয়েছেন। আমার শ্বাশুড়ির ,ভান্ডারে যাই থাক না কেন,উনি সব কিছু উনার চার ছেলে মেয়ের জন্য সমান করে পাঠিয়ে দেন।
যাইহোক শ্বাশুড়ি চারটা মুরগী পাঠিয়ে ছিলেন,তো আজকে সেখান থেকে দুইটা রান্না করেছি আর সেই রেসিপিই আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। তো চলুন শুরু করি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
দেশী মুরগি | দুইটা |
আলু | ৫টা |
আস্ত রসুন | তিনটা |
পিয়াজ কুচি | হাফ কাপ |
কাঁচা মরিচ বাটা | তিন চামচ |
হলুদ গুড়া | এক চামচ |
ধনিয়া গুড়া | দুই চামচ |
শুকনা মরিচ গুড়া | তিন চামচ |
আস্ত গরম মসলা | দুই থেকে তিনটি করে |
আদা বাটা | দেড় চামচ |
রসুন বাটা | দেড় চামচ |
জিরা বাটা | এক চামচ |
গরম মসলা গুড়া | হাফ চামচ |
প্রস্তুত প্রনালী |
---|
প্রথম ধাপ |
---|
দুইটা মুরগি কেটে নেই,এবং ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
আলু, পিয়াজ, রসুন কেটে নিয়েছি এবং কিছু কাচা মরিচ ব্লেন্ডারে বেটে নিয়েছি।
যদিও শিল পাটায় বাটতে পারলে ভালো হতো কিন্তু দ্রুততার ফলে ব্লেন্ডার ব্যবহার করেছি।
তৃতীয় ধাপ |
---|
একটি পাত্রে তেল গরম করে,কুচি করে কাটা পিয়াজ দিয়ে একটু ভেজে নিবো। এবং পিয়াজ এর সাথে দারুচিনি, এলাজ,তেজপাতা সহ দিয়ে ভেজে নিবো।
আসলে পিয়াজের সাথে গরম মসলা সহ একটু ভেজে নিলে সুন্দর একটা ঘ্রাণ আসে রান্নার মাঝে।
এবার পরিমাণ মতো বাটা মসলা দিয়ে দিবো এবং বাটা মসলার কাচা গন্ধ যাওয়া পর্যন্ত ভেজে নিবো।
এরপরে একটু পানি দিবে এবং সকল গুড়া মসলা দিয়ে ভালো করে তিন চার মিনিটের জন্য কসিয়ে নিবো। মসলা যতো ভালো কসানো হয় রান্না ততো ভালো হয়।
মসলা কসানো হয়ে গেলে কাটা মুরগির মাংস গুলো দিয়ে মসলার সাথে একটু কসিয়ে আলু এবং রসুন দিয়ে দিবো। যেহেতু মুরগি গুলো বেশি বড় না তাই সিদ্ধ হতে সময় লাগবে না এজন্য মাংসের সাথেই আলু এবং রসুন দিয়ে কসিয়ে নিবো।।
মাংস থেকে পানি বের হলে কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।এবং পানি টেনে গেলে বেশ লাল লাল করে মাংস কসাতে হবে।আমার কাছে দেশী মুরগির একটু বেশি ঝোল ভালো লাগে তাই,এই পর্যায়ে পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে দিয়েছি ঝোলের জন্য। মাছ মাংস রান্নায় গরম পানি ব্যবহার করলে নাকি রান্নার স্বাদ অনেক ভালো হয়।এটা আমার আম্মুর কথা।
এবার ঝোল ফুটে এলে ১৫ মিনিটের জন্য রান্না করে নামিয়ে নিবো এবং নামানোর সময় গরম মসলা গুড়া দিয়ে মিশিয়ে নিবো।
আমি পোলাও এর সাথে দেশী মুরগির মাংস পরিবেশন করেছিলাম,আমার কাছে পোলাও এর সাথে অনেক ভালো লাগে।
আমার মনে হয় না যে, এমন কেউ নেই যে, দেশি মুরগি পছন্দ করে না। দেশি মুরগি সবার একটি পছন্দের খাবার। আপনি দেশি মুরগির রান্নার প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম রান্নার তথ্য বহুল পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আমি যেভাবে রান্না করি সেভাবেই একদম সহজ পদ্ধতিতে রেসিপিটি শেয়ার করেছি।আপনাদের সহজ লাগলেই আমার ভালো লাগা কাজ করে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিভাবে দেশি মুরগি রান্না করতে হয় আপনার রন্ধন প্রণালী টা পরে যে কেউ মুরগির মাংস রান্না করতে পারবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব ভালোভাবে মুরগির মাংস রন্ধন প্রণালী আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
জি ভাইয়া চেষ্টা করি,যে কোনো রান্না সহজ এবং ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে রান্না করার জন্য। যেন আপনাদের সাথে শেয়ার করলে যে কেউ সহজেই রান্নাটি করতে পারে।
আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার দেশী মুরগির মাংস রন্ধন প্রনালী।আমি অন্য সবজি থেকে মাছ থেকে মাংস বেশি পছন্দ। আর আপনি সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে কি ভাবে রান্না করেছেন, সব কিছু উল্লেখ করে দিয়েছেন। রসূন দিয়ে আলু আর মাংস আহহহহহ সেই মজা রান্নার কালারটা বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে,, দেখে বোঝা যাচ্ছে স্বাদ হ'য়েছে।
আমি যে কোনো মাংসের সাথে আস্ত রসুন অনেক পছন্দ করি,,খেতে সত্যিই অসাধারণ লাগে।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.Thank you so much for your support.
দেশী মুরগির দাম অনেক আগে এতো দাম ছিল না। তবে দেশী মুরগির মাংস খেতে অনেক স্বাদ। গ্রামে বাড়ির পাশে অনেক জায়গা থাকে বিধায় দেশী মুরগি পালতে তেমন একটা অসুবিধা হয় না। আপনি আজ আমাদের সাথে দেশী মুরগির রন্ধন প্রনালী শেয়ার করেছেন। তরকারিতে আস্ত রসুন দিয়ে রান্না করলে সেই তরকারির স্বাদ আরে বেড়ে যায়। আপনার রান্না করা রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এইতো চলে এসেছে আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি পদ, দেশী মুরগির মাংস যেটা আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলে প্রায়শই খেয়ে থাকি। কোলকাতাতেও দেশী মুরগি প্রায় পাওয়াই যায় না। অনেক দোকানদার আবার রঙীন ব্রয়লার মুরগিকে দেশী মুরগি বলে বিক্রি করে থাকেন। আমারও দেশী মুরগি একটু বেশি ঝোল হলে ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমাদের এখানে লাল পাখনার টার্কি মুরগি গুলোকে দেশী মুরগি বলে বিক্রি করে। আমার আব্বু একবার দেশী মুরগি ভেবে টার্কি মুরগি এনেছিল।
তাই এরপর থেকে আর কেন হয় না।
গ্রামের অরিজিনাল দেশী মরগির মাংসের স্বাদের তুলনা হয় না।
美食
আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন রান্নার রেসিপি টি। অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। তাছাড়া দেশী মুরগির মাংস দিয়ে নতুন আলু খুব মজা লাগে। মুরগি ও আলুর কম্বিনেশন খুব সুস্বাদু একটি খাবার উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খুব চমৎকার করে দেশি মুরগির ঝোল রান্না করে নিলেন। দেশি মুরগি যেভাবে রান্না হোক না কেন খুবই সুস্বাদু লাগে। ঘরে পালা মুরগির স্বাদই আলাদা। আপনার শাশুড়ি মা নিয়মিতই আপনার জন্য নানা ধরনের খাবার পাঠান। খুব ভালো লাগলো ব্যাপারটি জেনে। আর আপনার রান্না করা মুরগির মাংস দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। সব মিলিয়ে আপনার পোষ্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ঘরে পালা মুরগিকে কোনো রকম ঔষধ খাওয়ানো হয় না,শুধু ঘরের খাবারই দেওয়া হয় এর জন্য ঘরে পালন করা মুরগির মাংস গুলো খেতে বেশি সুস্বাদু হয়।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।