একটি পরিবারে সব চেয়ে বেশি বড় ছেলের ওপরেই দায়িত্বটা চলে আসে।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,, আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন,, আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি,,,আজকে আমার নিজের ব্যক্তিগত কিছু কথা শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে,, যেগুলো প্রত্যেকটি প্রবাসীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে,, যারা বাহিরে আছে তাদের সাথে এই ঘটনাটি বেশি ঘটে যায়।
আসলে একটি পরিবারে যখন বড় ছেলে এবং ছোট ছেলে থাকে,, তখন সবচেয়ে বেশি বড় ছেলের ওপরে দায়িত্বটা চলে আসে,, তবুও কেনো জানি বড় ছেলেরা সব সময় পরিবারের কাছ থেকে শুনে থাকে,, আমাদের জন্য কি করেছো।
এটা বেশির ভাগ পরিবারে হয়ে থাকে আবার সব পরিবারে হয়ে থাকে এ কথা বলা যাবে না,, কারণ অনেক পরিবারের বড় ছেলে আছে তারা নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করেই চলে,, আসলে তারা পরিবারের জন্য কিছু করে না আরো পরিবার থেকে নিয়ে থাকে।
সে কিন্তু কম পরিশ্রম করে নাই আমাদের জন্য বা যা কিছু করেছে সবকিছু আমাদের জন্যই করেছে,, তবুও দিন শেষে সে শুনেছে কিছুই করিনি নিজের পরিবারের জন্য,, আসলে এখান থেকে ১১ সালে বা ১০ সালে সে বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
সে হয়েছিল দূর প্রবাসী তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম কিন্তু বোঝার মতো বয়স আমার ছিলো,, এবং আমাদের পরিবারে অনেক অভাব দরিদ্র লেগেছিল,, অনেক ঋণ হয়েছিল আমার বাবা যে ঋণ গুলো শোধ করেছে আমার বড় ভাই।
এবং ২০১৮ সালে আমাকে বাহিরে নিয়ে আসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে আমার বড় ভাই,, যেকোনো সমস্যার জন্য আমি আসতে পারি নাই,, তবে সে ভাই হিসেবে কখনো চেষ্টা কম করে নাই,, অবশেষে ২২ সালে সে আমাকে বাহিরে নিয়ে আসে।
বিশেষ করে বড় ভাইয়ের মনে অনেক আঘাত দিয়েছিল আমার আব্বু,, তিনি আমাদের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন,, ঘরটি তৈরি করা ছিলো আমাদের দুই ভাইয়ের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে।
কিন্তু যখন জানতে পারি আমার বড় ভাইয়ের এমন কথা বলেছে তখন শুনে আমার অনেক খারাপ লাগে,, যেহেতু বড় ভাই আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে,, তার জন্য কিছু করার সুযোগ হয়নি আমার এই পর্যন্ত,, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাকে একটি ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
কারন সে এখন সংসার জীবনে আছে এবং তারও একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ আছে,, এখন যদি তার ভবিষ্যৎ না গড়তে পারে তাহলে তার পুরো জীবনটাই ব্যর্থ হয়ে থাকবে,, কারণ তার জীবন থেকে ১০ থেকে ১১ বছর পার হয়ে গিয়েছে আমাদের জন্য।
এবং এটা আমি অনুভব করতে পারি যে আমার বড় ভাইয়ের কতটা খারাপ লেগেছিল,, যখন সে শুনেছিল সে আমাদের জন্য কিছু করে নাই,, আমি ছোট ভাই হিসেবে তাকে কোন সহযোগিতা করতে পারি নাই,, তবে দুই বছর পার হয়ে গিয়েছে এই বাহিরে এসেছি।
তাই আমি বড় ভাইকে বললাম যেহেতু ঘর একটি তৈরি হয়েছে এটা তুই রেখে দে,, এবং আমার বাহিরে নিয়ে আসার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই,, আমি দুই বছরের টাকা তোর হাতে দিয়েছি,, অবশ্যই টাকা গুলো তুই সংসারের জন্য খরচ করেছিস,, এবং আজকে থেকে তুই তোর মতো থাক এবং ভবিষ্যতের চিন্তা কর।
পাশাপাশি আমিও আমার ভবিষ্যতের চিন্তা করে চলি এবং যদি আমার সমর্থ্য থাকে তোকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো,, এবং কখনো যদি তোর মনে হয় আমার কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করার ইচ্ছা আছে তো করতে পারিস আমার কোনো মনে আক্ষেপ নাই।
জানি বড় ভাইয়ের মনে যে আঘাত আছে সেই আঘাত আমি কখনো পূরণ করতে পারবো না,, তবে আমি দুই বছরের বেশি যে পরিশ্রম করেছি সেই টাকা ও ঘরে আছে,, এবং এই ঘরটি আমার বড় ভাইকে বিনা দাবীতে ছেড়ে দিয়েছি আমি।
এটা কোনো মহান কাজ আমি তার সাথে করি নাই,, কারণ সে যা করেছে আমাদের জন্য এটা তার সমানে কিছুই না,, এবং যদি আল্লাহ তাআলা আমাকে ভালো রাখে ভবিষ্যতে আমিও একটি সুন্দর ঘর তৈরি করব,, তখন যদি আমার বড় ভাইয়ের মনে হয় কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করবে সে করতে পারে সেটা পুরো তার ইচ্ছা।
আসলে এই বাহিরে এমন পরিবারের ছেলে অনেকেই আছে যারা দিনের পর দিন পরিশ্রম করে,, নিজের পরিবারে টাকা দিয়ে তাদের কাছে মূল্য পায় না,, আজকে সংসার দেখতে গিয়ে আমার বড় ভাইয়ের জীবনে কিছুই নাই।
এটা আমি অনুভব করতে পারি কারণ এটা আমাদের সাথে ঘটেছে বলে আমরা বুঝছি,, তাই বলবো সংসারের দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যতে চিন্তা আপনারা সবাই করবেন,, তাতে করে আপনার সামনের দিন গুলো সুন্দর ভাবে কাটবে।
এবং আমি একটি সুন্দর মনের ভাই পেয়েছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি,, কারণ আম্মা মারা যাওয়ার পর থেকে ভাই আমার অনেক আপন হয়ে গিয়েছে আরো বেশি,, কারণ বাবা আছে বাবার সুখ নিয়ে আমাদের দুই ভাইকে এতিম করে।
বর্তমানে আমি পুরো নিঃস্ব হয়ে আছি শুধু আছে আমার steem অ্যাকাউন্টটি,, আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে তাহলে আশা করি সামনে কিছু করতে পারবো,, এবং আমি মন থেকে দোয়া রাখি আমার ভাইকে সুস্থ রাখে যেনো সব সময় আল্লাহতালা। তার ও কিছু নাই ঘরটি ছাড়া সামনে কিছু করবে ইনশাআল্লাহ। |
---|
https://x.com/MDbayez29442036/status/1896969339670278454?t=IJEl1gWjaJYrGeXxTaVYJA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকের ক্ষেত্রে রেখেছি বাবার পরে সংসারের দায়িত্ব বা ছোট ভাই বোনের দায়িত্ব শুধুমাত্র বড় ভাইয়ের কাঁধে এসে পড়ে আপনি আপনার বিষয়গুলো আমাদের সাথে আগে ও শেয়ার করেছেন যেখানে আপনি বলেছিলেন আপনাকে বাহিরে নিয়ে আসার জন্য আপনার ভাই অনেক কষ্ট করেছে দিনশেষে যখন নিজেদের ঋণ পরিশোধ করেছিলেন একটা ঘর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখনই আপনার মায়ের পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।
আসলে আমার কাছে মনে হয় একজন মা তার অনেকগুলো সন্তানকে সঠিকভাবে পালন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা করে থাকে মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু মায়ের হাজব্যান্ড মারা যাওয়ার পরেও সেটা সন্তানদের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করে না কিন্তু বাবার ক্ষেত্রে এমনটা কখনো হয় বলে আমার মনে হয় না তবে হয় সেটা মাঝে মধ্যে হয়তোবা একশোর মধ্যে ১০ জন হতে পারে তবে আপনার বাবার ক্ষেত্রে যতটুকু দেখলাম উনি নিজে থেকেই বিয়ে করে নিয়েছেন।
আপনাদেরকে বলল আপনারা তার জন্য কিছুই করেননি বাবার জন্য আপনারা এখন যা কিছু করেন না কেন সবকিছুই বৃথা কেননা উনি যদি ওনার স্ত্রীকে সঠিকভাবে ভালোবাসতো তাহলে কখনোই দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা চিন্তা করত না আপনাদেরকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করত অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মনের প্রতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে আমি আমার ভাইকে দেখেছি এবং সে কতটা পরিশ্রম করেছে সেটা আমি জানি,, আমি চাইনা আমার ভাই সারা জীবন বলে থাকুক সে আমাদের জন্য করতে কি কিছুই করতে পারিনি,, একটি ঘর তৈরি করেছি ঘরটি তাকে দিয়ে দিয়েছি এটাই আমার সামর্থ্যর মধ্যে ছিল,, বাবা বিয়ে করছে সে তার মত আছে জানিনা কে কেমন ভাবে নেবে বিষয়টি,, এবং আমি জানিনা আমার জায়গায় অন্য কোন মানুষ থাকলে কি করতো,, তবে একথা বুঝেছি না থাকলে আজ সংসারটি অনেক সুন্দর থাকতো,, এবং বড় ভাইয়ের কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারি কারণ এই বাহিরে সে কতটা কষ্ট করেছে এখন আমি সবকিছু বুঝি,, আমি চাই আমার ভাই সুস্থ থাকুক এবং আল্লাহ তায়ালা আমাকে সুস্থ রাখুক,, ইনশাল্লাহ সামনে আরো কিছু সুন্দর হবে আমাদের। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
আপনি আপনার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করছেন আপনার ভাই তার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করছে তবে আপনি একটা বিষয় ভাল করেছেন আপনার ভাই যেন কোন সময় বলতে না পারে তোমার জন্য আমি অনেক কিছু করেছি সেজন্য আপনি নিজে থেকে একটা ঘর তৈরি করেছেন যেটা আপনি তাকে বিয়ে দিয়েছেন।
আসলে একটা বিষয় কি জানেন তো একটা মা দশটা সন্তান সঠিকভাবে পালন করতে পারে কিন্তু বাবা সেটা পারে না আপনার বাবা বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে সে তার মত করে চলাফেরা করছে তারপরেও সংসার জীবনে সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে তা না হলে কিছু সম্ভব না।