মৃত্যু। 🙁
"নমস্কার বন্ধুরা"! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। বিগত দিন আমার অসুস্থতার জন্য আমি পোস্ট করতে পারি নি। আজকে আপনাদের মাঝে আমি আবারো এক ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক.......
মৃত্যুর মতো সুন্দর, পবিত্র এবং সুন্দর সত্য জীবনের আর কিছু হতে পারে না। জীবনের মর্ম সবাই তখনই অনুভব করতে পারে যখন তার কাছে মৃত্যুর মর্ম স্পষ্ট থাকে। আমাদের সকলেরই জীবনে অনেক বেশি আপনজন কেউ না কেউ থাকে।
তাদের ভিতর যদি কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যায় তখন যে দুঃখ বা কষ্টটা আমরা অনুভব করি এমনটা মনে হয় যেন আমাদের জীবনে আর কখনোই আসতে পারে না। আমরা কখনোই চাই না আমরা আমাদের প্রিয় মানুষদের হারাতে কিন্তু কিছুই চিরস্থায়ী নয়৷
এক না এক দিন আমাদের সব কিছুই ছেড়ে চলে যেতে হয়৷ সেটা হোক কোনো বস্তু অথবা কোনো মানুষ। আমাদের সব থেকে পছন্দের জামাটা যেমন একদিন ছোট হয়ে যায় ঠিক তেমনই আমাদের সবথেকে কাছের মানুষটাও একদিন আমাদের ছেড়ে চলে যায়। যেতে হয় আমাদের সবার। ঐযে একটা কথা আছে না, পুরাতনরা না গেলে নতুনদের আসার সুযোগ হয় না। তাই যেতে না চাইলেও চলে যেতে হয়।
উর্মি বাবাকে সবার থেকে বেশি ভালোবাসতো। তার বাবা যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিল তখন এক এক দিন উর্মির মনে হতো সে হয়তো তার বাবাকে ছেড়ে একটা দিনও থাকতে পারবে না। কিন্তু এইদেখো পনেরো বছর হয়ে গেছে তার বাবা তাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে।
উর্মি তখন খুব ছোট যখন তার বাবা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার বাবার পর তার বড় ভাই তাদের পরিবারের সব দিক আগলে রেখেছে। তার বড় চাচারা ও তাদের অনেকটা সাহায্য করেছে তাদের সঠিক ভবে জীবনযাপন করার জন্য।
উর্মির যখন সাত বছর বয়স তখন সে তার বাবাকে হারিয়েছে। উর্মির কাছে তার সব থেকে কাছের মানুষ ছিল তার বাবা। উর্মির এখন অনেক কথাই মনে পড়ে যেগুলি তার বাবা তকে বলে গিয়েছিল।
উর্মির নিজের একটি ছোট লাইব্রেরি ছিল।কারণ তার বাবার অনেক ইচ্ছা ছিল তাদের দুজনের একটা লাইব্রেরি থাকবে। তার বাবা তাকে সবসময় বলতো বই কিনলে কেউ কোনো দিন গরিব হয় না। কিন্তু অনেক প্রতিকূল অবস্থাতে ও উর্মি বই কিনতো এবং সেই বই পড়তো আর তার বাবাকে উৎসর্গ করতো। পড়া শেষে তার বই গুলো যেকোনো একটা বুকসেল্ফে রেখে দিত।
আজ উর্মির বিয়ে। তার পরিবার থেকে পছন্দ করেই তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার হবু বরের কাছে তার একটাই আবদার ছিল,সে যেন তার বাড়ির মতো নতুন বাড়িতেও একটা লাইব্রেরি করে দেয়৷ উর্মির কাবিননামাতে সে তার কাবিন হিসেবে তার বরের কাছ থেকে একটা এক হাজার টাকার একটা বই দাবি করেছিল। এবং সেই বই গুলো উর্মির বর তাকে কিনে এনে দিয়েছিল যে গুলো উর্মি তাকে কিনতে বলেছিল।
উর্মি তার বাবার কথা মতো অনেক পুরাতন বইও কনেছিল। আজ যেমন উর্মির জীবনের সবথেকে খুশির দিন,ঠিক তেমনই আজ তার সবথেকে কষ্টের দিন৷ এত আনন্দের দিন ও আজ তার কাছের মানুষটা তার কাছে নেই। তবে সে মনে করে তার বাবা যেখনেই থাকে না কেন সবসময় তার কাছেই আছে।
"মৃত্যু এমনই একটা নির্মম সত্য যা আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হয়। আমি মনে করি মৃত্যুর মতো নির্মম সত্য এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই"।
সত্যিই দাদা,গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে আমার। এটা সত্য আমাদের সবারই মেনে নিতে হয়, মানুষ চিরস্থায়ী নয় পৃথিবীতে সবার একদিন চলে যেতে হবে। আর কাছের মানুষ যখন পৃথিবী থেকে বিদায় হয়, তখন এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছুই থাকে না। এই গল্পটির বর্ণনা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ দাদা।
আমাদের সবার জন্য মৃত্যু অনিবার্য হয়তোবা কেউ আগে আর কেউ পড়ে এ পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে যেতে হবে। আসলে আমাদের মেয়েদের সবচাইতে ভালো লাগার এবং ভালোবাসার একটা জায়গা হচ্ছে বাবা উর্মির বাবা তাকে ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু সে তার বাবার প্রতিটা ইচ্ছে পূরণ করার চেষ্টায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছে।
যেখানে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মেয়েরা কাবিন নামে হাজার টাকা নয় বরংচ লাখ লাখ টাকা দাবি করে সেখানে উর্মি শুধুমাত্র এক হাজার টাকার বই তার কাবিন নামায় দাবি করেছে এখান থেকেই বোঝা যায় সে তার বাবাকে কতটা ভালোবাসে।
দোয়া করি তার বাবা যেন পরকালে সর্বদা ভালো থাকে এবং সে বর্তমান সময়ে যেখানে আছে তার স্বামী সন্তান এবং পরিবার নিয়ে যেন সুখে থাকে ধন্যবাদ উপরুক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলেই আপু আপনি ঠিক কথা বলেছেন উর্মি হলো আমাদের অনুপ্রেরণা। উর্মি তার বাবার ইচ্ছ যেভাবে পূরণ করেছে আমাদের সকলের উচিত এই ভবে আমাদের বাবা মার উচ্ছা পূরণ করা। কেননা তারাই আমাদের জীবনের সব কিছু।