ফুচকা পার্টি
কি ফুচকার নাম শুনে জিভে জল চলে আসলো তো? আসলেও করার কিছু নাই। ফুচকা অনেকেরেই খুব পছন্দের খাবার,আমি কিন্তু আবার এতটা পছন্দ করি না। পছন্দ না করা মানে কিন্তু আবার অপছন্দ করি এটা ধরে নিয়েন না। মাঝে মাঝে শখ করে বা বন্ধুবান্ধবের পাল্লায় পড়ে খাই।
গতকাল প্রাইভেট পড়াচ্ছি। হঠাৎ বান্ধবী নাফি ফোন দিল যে তারাতারি আয় ভীষণ দরকার। নাফি দুইদিন আগেই শ্বশুড় বাড়ি থেকে এসেছে। আমি ভাবলাম কোন সমস্যাই হলো নাকি,তাই হন্তদন্ত হয়ে গেলাম ওদের বাসায়। গিয়ে শুনি পাশের বাসার আন্টিদের পোস্টিং হয়েছে সিলেট। উনারা সিলেট শিফট হবেন,তাই যাওয়ার আগে সবাইকে ট্রিট দিতে চান।
তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুচকা খাবে। আর আমাকে ছাড়া কোন পার্ট জমে না তাই আমাকে কল করা হয়েছে।অবশ্য বাজার করার বিষয়টাও আছে। তৎক্ষণাৎ সবাই মিলে লিস্ট করলাম। করে টাকা নিয়ে বাজারে চলে গেলাম।সব বাজার করার পর ফুচকার পাপড় কিনতে গিয়ে পড়লাম বিপাকে।
যে দোকান গুলো তে পাওয়া যায়, সেগুলো সব বন্ধ।আশেপাশে আরো দোকানে খোজ নিলাম কিন্তু কারো কাছেই নেই। আমার তো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার যোগার। সব বাজার হয়ে গেছে এখন যদি ফুচকা না পাই তবে বিষয়টা কেমন যেন হয়ে যায় না?
অনেকক্ষণ খোজাখুজির পর অবশেষে এক দোকানদার খোজ দিল যে এখানে গেলে পাবেন।দুরু দুরু বুক নিয়ে সেই দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,উনি হ্যা বোধক উত্তর দিলেন। আমিও হাফ ছেড়ে বাচলাম।এরপর ফুচকা আর বাজার নিয়ে বাড় আসলাম।
সব আন্টিদের দিয়ে আমরা আড্ডায় বসে গেলাম বাকিরা। আন্টিরাও মাঝে মাঝে আড্ডায় এসে যোগ দিচ্ছিল। অনেক দিন পর সবাই একজায়গায় তাই অনেক মজা হচ্ছিল।এভাবে কখন যে সব রান্না হয়ে গেছে টের পাইনি৷ তারপর সবাই মিলে বসা হল। আন্টি সবাইকে ফুচকা,টক,সালাদ ভর্তা ভাগ করে দিলেন। নিজেরাই বানিয়ে খেতে হবে,কারন এত ফুচকা দুই একজন বানিয়ে দিতে গেলে অনেক সময় লাগবে।ততক্ষনে ফুচকা মিইয়ে যাবে। ফুচকা বানানোর সময়েও চলতে লাগল নানা মজার মজার গল্প।সবাই নিজেদের মজার মজার ঘটনা শেয়ার করছিল।ফলে আসর আরো জমে উঠল।আর ফুচকার স্বাদটাও যেন বেড়ে গেল হাজার গুণ।এরপর রাত বেশি গভীর হওয়ায় বাড়ি চলে আসলাম।খাওয়া, আড্ডা সব মিলিয়ে দারুন কেটেছে সময়।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই মনে হয়ে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে আমি তো সময় পেলেই চলে যাই ফুচকা খেতে । তবে একা যাওয়া হয় না কয়েকজন একসাথে যাই। একা ফুচকা খেয়ে মজা পাওয়া যায় না। তবে ভাইয়া আপনি কিন্তু আমাদের ও সাথে ইনভাইট করতে পারতেন। ধন্যবাদর ভাইয়া আপনাকে । আপনার বান্ধবীর ডাকা ফুচকা খাওয়ার মূহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমিই পছন্দ করি না।।হিহি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তোমার বান্ধবী নাফি তোমাকে ডেকে নিয়ে গেলো ফুচকা পার্টিতে যোগ দেয়ার জন্য খুব ভালো লাগলো জেনে।আসলে ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ হাতে গোনা হবে।আমারও ভীষণ পছন্দ ফুচকা ও ফুচকার টকজল গুলো বেশি প্রিয়।ফুচকা কিনতে গিয়ে তো বেশ ঝুঁকি পোহাতে হয়েছে তোমার দেখছি।তবে সবাই মিলে বেশ মজা করেছো।ধন্যবাদ আনন্দঘন মূহুর্তের পোস্টে টি শেয়ার করার জন্য।
ফুচকা খেতে কার না ভালো লাগে, এটা ছেলেমেয়ে সব শ্রেণীর মানুষের বেশি পছন্দের একটা খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ। আগে আমাদের এদিকে পাওয়া যেত না কিন্তু এখন দু এক বছর খুব বেশি দেখছি এই খাবারের প্রবণতা বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেও গাংনী বাজার থেকে পরিবারের সাথে খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আরেকজন মিলে একসাথে আয়োজনটা বেশ দারুন ছিল।
আপনার খাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন? ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ ফুচকা বললে ছোট বড় আমার বাসায় সবাই কিন্তু এখন পাগল প্রায়। বিশেষ করে আমার দুই ছোট মেয়ে ফুচকা খাওয়ার জন্য অনেক বেশি ছটফট করে। তো আমিও চেষ্টা করি সমুদ্র পাড়ে যেয়ে ফুচকা খাওয়ার। আপনি ঠিক বলছেন যদি সবাই মিলে ফুচকা খাওয়া যায় বেশ জমে উঠে। শেষমেশ অনেক খোঁজাখুঁজি করে আপনি পেয়ে গেলেন। তবে শেষ মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। ফুচকার কালার গুলো এত লোভনীয় ছিল জিভে জল চলে আসলো।