দুধ চিতই পিঠা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো দুুধ চিতই পিঠা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
শীত মানেই পিঠাপুলি। আমাদের পিঠাপুলি শুরু হয় পৌষসংক্রান্তির দিন থেকে।আত্নীয়দের নিয়ে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।তবে আমাকে বাবার বাড়ি থেকে অনেক পিঠা পাঠিয়েছে জন্য তেমন পিঠা করিনি তবে পৌষসংক্রান্তির দিন দুধ চিতই, চিতইও তেলে ভাজা পিঠা করেছিলাম মাত্র। দুধ চিতই ভীষন সুস্বাদু একটি পিঠা।দুধ ঘন করে জ্বাল করে নিয়ে তাতে খেজুরের গুড় মিশিয়ে গরম গরম চিতই পিঠা ভেজে দুধে ভেজাতে হয় এবং ঘন্টা খানেক কিংবা তারও বেশি অপেক্ষা করতে হয় দুধে চিতই গুলো ভালো করে ভেজানোর জন্য। ভালো করে ভেজানো হয়ে গেলে পরিবেশ করতে হয়। দারুন নরম তুলতুলে হয় এই পিঠা।ছোট বেলায় দেখতাম রাত্রি বেলায় দিদু,মা,অনেক রাত জেগে জেগে পিঠা বানাতো এবং এই দুধ চিতই বানিয়ে রেখে দিতো।সারারাত দুধে ভিজতো চিতই পিঠা গুলো এবং সকালে এই দুধ চিতই আমাদের কে খেতে দিতো।অসম্ভব মজা হতো এই পিঠা খেতে কারণ সারারাত ভিজে একদম নরম তুলতুলে হয়ে থাকতো এবং রসে টইটুম্বুর হয়ে থাকতো পিঠা গুলো।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
১.চালের গুড়ি |
---|
২.দুধ |
৩.খেজুরের গুড় |
৪.জল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি চালের গুড়ি একটি পাত্রে নিয়েছি এবং পরিমাণ মতো জল দিয়ে গুলিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং পরিমান মতো চালের গুড়ি গোলা দিয়েছি কড়াইয়ে এবং ঢাকা দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন ঢাকনা খুলে পিঠা তুলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি তিন লিটার পরিমাণ দুধ জ্বাল করে নিয়েছি। দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিয়েছি এবং তাতে খেজুরের গুড় দিয়ে নারাচারা করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন দুধ দিয়ে নারাচারা করে মিশিয়ে নেয়া দুধে চিতই পিঠা গুলো দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এই তো একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি রসে ভরা দুধ চিতই গুলো।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার দুধ চিতই রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এপর্যন্তই। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | পিঠা রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
বাহ্ আপনার কাছ থেকে আজকে দুধ চিতই পিঠা দেখে জিভে জল চলে আসলো। এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন, আসলে পিঠাগুলো তৈরি করার পরে দুধের মধ্যে অনেকক্ষণ ধরে ভিজিয়ে রাখতে হয়। আর যখন পিঠার ভিতরে দুধে পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন কিন্তু পিঠাগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। এই পিঠা গুলো খেয়েছি তাই অনেকদিন হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শীতকাল মানে হল পিঠাপুলির সময়। আর এই সময় বিভিন্ন রকম পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে সবচেয়ে মজার পিঠা হলো দুধ পুলি আর দুধ চিতই পিঠা। আমার কাছে এগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। যদিও এবার তৈরি করা হয়নি তবে ইচ্ছা আছে তৈরি করার।
ঠিক বলেছেন শীতে বিভিন্ন রকমের পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে।সত্যি দুধ পুলিও দুধ চিতই মজার পিঠা।
কিছুদিন আগে আপনার ভাবি চিতই পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিল। আর আমাকে দাওয়াত করেছিল তার বাবার বাসায় যাওয়ার জন্য। সুস্বাদু ভালো লেগেছিল খেতে। আজকেও আপনি সেভাবে চিতই পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি অতি সহায় সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপি।
ভাবীর চিতই পিঠার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছিল দেখছিলাম।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করার রেসিপিটি ছিল দুধে ভেজানো চিতই পিঠা রেসিপি। আসলে পিঠাগুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে আর নারিকেল দেওয়ার কারণে এটি খেতে আরো বেশি স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
শীতের সময় পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা আর দুধ চিতই পিঠা হলে তো কথাই নেই। আপনার পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে । কিছুদিন আগে দুধ চিতই পিঠা খেয়েছিলাম খেতে বেশ ভালোই লাগে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে দুধ পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
ঠিক বলেছেন আপু শীতকাল হলো পিঠার সিজন। কত রকম পিঠা যে খাওয়া হয়। তবে চিতই পিঠা বানানো আমার কাছে বেশি কঠিন মনে হয়। কারন ঠিক মতো বানাতে না পারলে পিঠা ঠিক জালিজালি হয় না। আর জালি জালি না হলে পিঠা দুধেও ভিজবে না। তবে আপনার পিঠা দেখে মনে হচ্ছে বেশ নরম হয়েছে। বেশ লোভনীয় লাগছে। মজাদার পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার চিতই পিঠা জালিজালি হয়নি মাঝটা ফুলে উঠেছিল আর দুধে ভেজানোর কারণে রস ঢুকে নরম তুলতুলে হয়েছিল।
আপনি আমাদের মাঝে দুধ চিতই পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে দুধ চিতা পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। এই পিঠাটি আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। আপনার পিঠার রেসিপি দেখেই লোভ লেগে গেল।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
দুধ চিতুই পিঠা আমারও খুব প্রিয়।
গত সপ্তাহে ও খাওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে এই পিঠা ভেজানোর সময় যদি খেজুরের গুড় এবং খাটি দুধ দেওয়া হয় তাহলে যেমন লোভনীয় সুগন্ধি আসে তেমন সুস্বাদু হয় খেতে।
আপনার পোষ্টের শেষ ফটোগ্রাফিটি দেখে তো খুবই লোভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল খেতে।
একদম ঠিক বলেছেন খেজুর গুড় আর খাটি দুধ ব্যাবহার করলে সুগন্ধ আসে এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
আপু দুপুর বেলা এমন একটি মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আমি পিঠা খেতে খুব পছন্দ করি। আপনার পিঠা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে আর খিদাটাও বেড়ে গিয়েছে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য।
আপু আপনি তো দেখছি আজকে একদম মুখে লেগে থাকার মত একটি রেসিপি করলেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার আবার একটু বেশি পছন্দ। আর এই ধরনের দুধ ভেজানো পিঠাগুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ এই পিঠাগুলো তৈরি করার পর যখন প্রায় অনেকটা সময় দুধে ভিজিয়ে রাখা হয়, তখন পিঠাগুলোর ভেতরে দুধে পুরে অনেক অসাধারণ হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আমার কাছে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন অনেকটা সময় দুধে ভেজানোর জন্য নরম তুলতুলে ও রসালো হয়ে যায় পিঠাগুো আর খেতেও দারুণ লাগে খেতে।