দীঘায় যাওয়ার কিছু মুহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে দীঘায় যাওয়ার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
আমরা ডিসেম্বরের 14 তারিখে দীঘায় গিয়েছিলাম এটা আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম। এই দীঘা যাওয়ার প্ল্যানিংটা আমার ছোট ভাইয়ের ছিল ,আমি প্রথমে বলেছিলাম যে দীঘা যাবো কিন্তু সবার অন্য কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক ঘুরে ফিরে সেই দিঘাতেই গেলাম ।আসলে আমরা এর আগে সবাই মিলে দিঘা গিয়েছিলাম আজ থেকে ১১ বছর আগে ,আবার 11 বছর পর ফ্যামিলির সবাই মিলে একসাথে যাচ্ছি ।এই প্ল্যানিংটা হওয়ার পর যা আনন্দ হয়েছিল ,তার থেকেও বড় কথা আমার বন্ধু বান্ধবের সাথে ঘুরতে যতটা না বেশি আনন্দ হয় তার থেকে বেশি ভালো লাগে যখন বাড়ির সবাই মিলে ঘুরতে যাই ।
এজন্যই ঠিক করলাম যে সবাই মিলে দীঘা যাব সবাই এই প্ল্যান এ রাজিও হয়ে গেল । ঘুরতে যেতে তো সবারই ভালো লাগে আর এই পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ যে কতটা বলে বোঝাতে পারবো না ।আর তার মধ্যে ট্রেনে যাওয়ারও তো একটা আলাদাই মজা আছে । ঘুরতে যাওয়ার আগে কেনাকাটা তার মধ্যে আমাদের ট্রেন যেহেতু সকাল সাড়ে ছটার সময় ছিল, তাই ভোর পাঁচটার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। আর আমাদের ট্রেন ছিল হাওড়া থেকে তাই ছটার মধ্যে স্টেশন পৌছে ও গেলাম। পৌঁছেই সবার আগে চা খেলাম ।তারপরেই ট্রেনে উঠে গেলাম। আর ট্রেনে উঠেই তো বাচ্চাদের একটা আলাদা সিট ছিল আর বড়দের সিট ছিল আরেকটা কামরায় ।তাই জন্য বাচ্চারা সবাই একসাথে বসলাম। আর বড়রা সবাই আরেকটা কামরায় বসলো। বুঝতেই পারছেন কতটা হাসি ঠাট্টা করতে করতে গিয়েছিলাম।আর আমরা বাড়ি থেকে যথারীতি খাবার নিয়েই বেরিয়ে ছিলাম ।
আসলে সকালবেলার ট্রেনের মধ্যে কি খাব তার জন্যই খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। ট্রেনে একটু গল্প করতে করতেই পাউরুটি , কলা ,ডিম আর মিষ্টি খেলাম। আর তাতেই মোটামুটি পেট ভরে গিয়েছিল। আর যেহেতু ট্রেনের মধ্যে নানান রকমের খাবার ওঠে ।তাই টুকটাক খাওয়া চলতেই থাকলো । এইভাবেই মোট চার ঘন্টা গল্প করে আর টুকিটাকি খাওয়া দাওয়া করতে করতেই কেটে গেলো।আর সকাল দশটার সময় পৌঁছেও গেলাম। এরপর ওখান থেকে একটা গাড়ি ধরে ওল্ড দিঘায় গেলাম এবং ওখানেই হোটেল নিলাম । এরপর কি কি করলাম তা আমি পরের পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
সত্যি দিদি পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা সবাই মিলে দেখছি ভালোই আনন্দ করেছেন। ট্টেনে গল্প করতে করতে কলা,পাউরুটি ও ডিম খেলেন। এভাবে সবাই মিলে গল্প করতে করতে গাড়িতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আনন্দময় মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
১১বছর আগে যেহেতু গিয়েছেন তারমানে তখন নিশ্চয়ই খুব ছোট ছিলেন। এখন সেই জায়গায় আবরও এত বছর পর যাচ্ছেন বলে অনেক আনন্দ হচ্ছে। দীঘা নাম শুনে মনে হচ্ছে সেখানে অনেক বড় আর খুব সুন্দর একটি নদী আছে। এটা ঠিক বন্ধু বান্ধবের সাথে ঘুরাঘুরির থেকে পরিবারের সাথে ঘুরাঘুরির মজাই আলাদা। আমার পরিবারের সাথে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। দিদি আপনার দীঘায় ঘুরাঘুরির পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেমন ভালো লাগে তেমনি পরিবারের সাথে ঘুরতে যেতে ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক ট্রেন জার্নি করার মজাই আলাদা। সবাই মিলে হাসি আড্ডা খাওয়া ইত্যাদি তাদি করা হয়। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
দীঘা যাওয়ার কথা শুনেছিলাম কিছুদিন আগে একটা পোস্টে।আর অপেক্ষায় ছিলাম কবে সেই পোস্ট পড়ব।আর আজকে পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে ঘুরতে অনেক আনন্দ হয়। আর আপনারা ছোটরা যেহেতু একটা আলাদা কামড়ায় আছেন সেহেতু সেখানে অনেক বেশি মজা হবে। খুব ভালো লাগলো আপনাদের এই দীঘা যাওয়ার পর্বের শুরুটা দেখে পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
দিদি দীঘা পরিবারের সবাই মিলে গেলেন, খুব মজা হয়েছে ছবি দেখেও বোঝা যাচ্ছে। পরিবারের সবাই মিলে কোথাও গেলে আসলে অনেক আনন্দ হয়।আপনি অনেক আগে একবার গিয়েছিলেন, ১১ বছর আগে। আজ এতদিন পর পরিবারের সাথে গেলেন জেনে খুব ভাল লাগলো। আপনারা ছোটরা একটা কামড়াতে ছিলেন,তবে তো অনেক আনন্দ হয়েছে।ট্রেনে অনেক খাওয়া- দাওয়া ও গল্প করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 🥰
আমারও ঠিক একই এক অনুভূতি। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরার তুলনায় পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে যেখানে সব ভাই-বোনেরা থাকে।তোমাদের দীঘা যাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়ে আমাদের মৌসুনি আইল্যান্ডে ঘোরার অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা সব ভাইবোনেরা মিলে মৌসুনি আইল্যান্ডে একটা রাত কি যে আনন্দে কাটিয়েছি বলে বোঝানোর নয়।১১ বছর পরে দীঘা যাচ্ছ।নিশ্চয় অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবে। আমি তো শেষ ২০১৪ তে গেছি। তার পরে আর যাওয়াই হয়নি। যদিও তার আগে প্রায় ১২-১৩ বার দীঘা ঘোরা হয়ে গেছে।তবে সেই সময় দিঘাকে এত সুন্দর করে সাজানো হয়নি,বর্তমানে দীঘাকে যতটা সুন্দর করে সরকারের তরফ থেকে সাজানো হয়েছে! ঘুরে এসো।আনন্দ পাবে দেখে।
আপু পরিবারের সাথে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা তো প্রায় সময় ঘুরতে যান। যে গুলো আপনি প্রায় সময় পোষ্ট করে থাকেন। আজকে দীঘায় যাওয়ার গল্পটা পড়ে ভালই লাগলো। দেখি পরের পর্বে আমাদের জন্য কি চমক আসে। ধন্যবাদ আপু।