চিত্রা রিসোর্ট।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি গতকালকে এসেছি নড়াইল আপুর বাসায়। আপুর বাসা থেকে শ্বশুরবাড়ি বেশি একটা দূরে নয়। আমার ওয়াইফ আপুর বাসাতেই ছিল। ও এখান থেকেই ক্লাস করে। তো আজ বিকেলে আমি আমার ভাগ্নে আর ওয়াইফ কে সাথে নিয়ে একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন নড়াইলে এসে অনেক ঘোরাঘুরি করতাম। আমার বিয়াই ছিল ওর সাথে সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। আনেক স্মৃতি আছে নড়াইলে আমার। কিন্তু বড় হওয়ার পর বেশি একটা আসা হয়না। যাই হোক আজকে বিকেল পাঁচটার দিকে বেরিয়েছিলাম ভাগ্নে আর ওয়াইফ কে নিয়ে। প্রথমে প্ল্যান ছিল বাজারে গিয়ে ওদের ফুচকা খাওয়াবো। কিন্তু যাওয়ার পথে চিন্তা করলাম চিত্রা রিসোর্ট থেকে ঘুরে আসবো। এর আগে নাম শুনেছি কিন্তু যাওয়া হয়নি। তেমনি ভাবে অমনি কাজ। নড়াইলের মেইন শহর থেকে আপুদের বাড়ি একেবারেই কাছে । আমরা শহর থেকে একটা ইজি বাইক নিয়ে ডাইরেক্ট চলে গেলাম চিত্রা রিসোর্টে। ভাড়া নিল ৫০ টাকা।রিসোর্টে গিয়ে প্রথমেই টিকিট কাটলাম। প্রতি টিকিটের মূল্য ৪০ টাকা। আমরা তিনজন ছিলাম। ১২০টাকা লাগলো।
টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকে আমি জাস্ট অবাক। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি সম্ভবত। আমি আর আমার বিয়াই এসেছিলাম কয়েকাপ নামে একটা সুন্দর প্লেসে। চিত্রা নদী দিয়ে নৌকায় এসেছিলাম। সেই জায়গায় আসার সিস্টেম একটাই ছিলো আর সেটা হচ্ছে নৌকা দিয়ে। কোয়েকাপ জায়গাটা ছিল খুবই নিরিবিলি। আমার এখনো মনে আছে, অনেক বড় একটা দাবার কোর্ট ছিল সেখানে। আমরা ঘুরাফিরা করেছিলাম চারদিকে৷ লোকজন বেশি একটা ছিল না। জীবনে কোয়েকাপে ওই একবার ই গিয়েছিলাম। তো যাই হোক মেইন ঘটনা হচ্ছে আজকে যখন আমি গেট দিয়ে ঢুকলাম তখন প্রথমেই বড় দাবার কোর্টে আমার চোখে পরলো। আর আশেপাশের পরিবেশ টা এক নজর দেখেই বুঝতে পারলাম এটা আর অপরিচিত কোনো জায়গা না। এটাই সেই কোয়েকাপ। এটার স্থান এখন বর্ধিত করা হয়েছে আর নাম পরিবর্তন করে চিত্রা রিসোর্ট রাখা হয়েছে। আগে শুধুমাত্র ঘুরাঘুরি করে চলে যেতে হতো। কিন্তু এখন এখানে রাত যাপন করার অসুবিধা আছে। ভিতরে বড় একটা ক্যান্টিন ও আছে।
আমাদের প্রথম কাজ ছিল এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করা, যা কিছু আছে সবকিছু সুন্দরভাবে দেখা আর ছবি তোলা। নদীর ভিউটা সুন্দর লাগছিল বিকেল বেলায়। অনেক অনেক ছবি তুলেছি কিন্তু কিছু সুন্দর ছবি তুলতে মিস করেছি। যেটা বেরিয়ে আসার পর মনে পড়ছিল। আসলে রাতের বিউটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। ওটা নিজের চোখে দেখেই মুগ্ধ ছিলাম। ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। এরপরেও যা কিছু ছবি তুলেছি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। উপভোগ করুন।
আমরা ৬:৩৭ এর দিকে বেরিয়ে এসেছিলাম। রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে কিছুদূর হেঁটে আসার পর একটা ইজিবাইক পেলেছিলাম । ইজিবাইকে চড়ে একেবারে সোজা মেইন শহরে এসে পৌঁছেছিলাম। এরপর ছোট একটা ফোনের দোকানে গিয়ে আপুর ফোনের জন্য একটা ব্যাক পার্ট নিয়েছিলাম। ব্যাক পার্ট নেওয়ার পর সোজা চলে গিয়েছিলাম আমরা একটা ছোট্ট কিউট রেস্টুরেন্টে। ভাগ্নে আর ওয়াইফ কে নিয়ে এসেছি। কিছু ট্রিট না নিয়ে কি আমাকে ছাড়বে ?? ওখানে গিয়ে কেক, আঙ্গুরের জুস, বার্গার, কোক এইগুলো খেলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেরিয়ে আসলাম। আসার সময় বাসার জন্য ফুচকা নিয়ে ইজি বাইকে চড়ে সোজা বাসায় চলে এলাম। এটাই ছিল আজকে আমার বিকালের সুন্দর মুহূর্ত। ফটোগ্রাফি গুলো করেছি নিজের ভালোলাগা থেকে। কেমন লাগলো জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার পরবর্তী কোন পোস্টে। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশনঃ- Chitra Resort, Narail
ডিভাইসঃ- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আপনার মাধ্যমে আজকে একটি অসম্ভব সুন্দর রিসোর্ট চিত্রা রিসোর্ট দেখলাম। নড়াইলে কখনো যাওয়া পরলে দেখার ইচ্ছে রইল। যাই হোক ভাগ্নে ও স্ত্রী সহ বেশ ভালই এনজয় করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ল্যাম্প এর ছবিটা মনে হচ্ছে যেনো হরর ফিল্প এর দৃশ্য।আর এখন দেখছি,আমি ই শুধু বার্গার খেলে দোষ।🤭
সত্যিই আপু আমিও সেটাই ভাবছিলাম হা হা হা
আমি সত্যি বার্গার খেতাম না। সাথে ভাগ্নে ছিল বলে একটু খাইছিলাম। 😁
ভাইয়া প্রথম ফটোগ্রাফিটা দেখে ভেবেছিলাম কোন ভূতের গল্প বলবেন। কিন্তুু ভিতেরর গল্প ও ফটোগ্রাফি দেখে অবাক। সব থেকে বেশি অবাক হয়েছেেএটা জেনে যে আপনি বিবাহিত। এতদিন মনে করতাম আপনি সিংগেল তাই ঢাকায় ব্যাচলর থাকেন। তাহলে আপনি বিবাহিত ব্যাচলর হা হা হা ধন্যবাদ ভাইয়া।
হায় হায়। বলেন কি ভাই?? তাহলে তো এই পোস্টে এটা লেখা ঠিক হয় নাই। ওটাই ভাবতেন তাই তো ভালো ছিল। 🤣🤣
আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে চিত্রা রিসোর্টের সুন্দর কিছু মুহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। খুব ছোটবেলা থেকেই নড়াইলে যাওয়া আসা এবং ঘোরাঘুরি করেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রথম ছবিটা দেখে ভেবেছিলাম ভয়ংকর কোন দৃশ্য দেখতে যাচ্ছি মনে হয়, কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখলাম সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র।ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো, বিশেষ করে দাবার কোটটি অনেক ভালো লাগছে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
তবে রিসোর্টের ওই সাইটটা সত্যিই একটু ভয়ঙ্কর টাইপের করে বানানো হয়েছে।
পোস্ট পড়ে বুঝলাম নড়াইলের চিত্রা রিসোর্টে আপনাদের সময় ভাল কেটেছে। আপনার স্মরনশক্তি খুবই ভাল যে আগের সেই কয়েকাপ এখন চিত্রা রিসোর্টে পরিনত হয়েছে তা আপনি বুঝতে পেরেছেন। ছবিগুলো এক কথায় অসাধারন হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই। আসলে আমি কোয়েকাপে যেহেতু একবার গিয়েছিলাম ছোটবেলায়, আমার মনের মধ্যে এরকম এক ইচ্ছা ছিল যে কোন একদিন আবারও যাবো। কিন্তু হঠাত অজান্তেই ওইখানে চলে যাব বুঝতেই পারিনি।
কোয়েকাপ বা চিত্রা রিসোর্ট এর পরিবেশটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুবই মনোরম এবং সুন্দর পরিবেশ বিরাজমান। ভাইয়া নিশ্চয় খুবই উপভোগ করেছেন চিত্রা রিসোর্ট এর সৌন্দর্যময় পরিবেশগুলো। যাহোক রেস্টুরেন্টে গিয়ে ওয়াইফের সাথে করে আঙ্গুরের জুস খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও আপনার ভাগ্নে সাথে ছিল । অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হারিকেন ঝোলানো প্রথম পিকটা দেখে ভেবেছিলাম ভৌতিক কিছু হবে। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম চমৎকার একটি লোকেশন চিত্রা রিসোর্ট। চিত্রা রিসোর্টের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এখন তো মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই একবার গিয়ে ঘুরে আসতে হবে। আপনার স্মৃতি বিজড়িত কোয়েকাপ চিত্রা রিসোর্ট নামে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। যদিও অনেক ছোটতে এসেছিলেন তারপরেও পুরনো স্মৃতি খুঁজে পাওয়া দারুন ব্যাপার। বিশাল আকৃতির দাবা দেখে খুব খেলতে ইচ্ছা করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমার ওইখানে এমনিতেই যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ওইটা যে এখন রিসোর্টে পরিণত হয়েছে সেটা ওখানে গিয়ে বুঝলাম।
আশা করি ভাবী অনেক ভালো আছেন।
ভাবীকে নিয়ে চিত্রা রিসোর্ট ঘুরে দেখেছেন নিশ্চয়ই সময় অনেক ভালো কেটেছে। সন্ধ্যা বেলায় কৃত্রিম আলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।আর সব শেষে আঙ্গুর জুস খেয়ে বাসায় ফিরেছেন। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।