কথার মারপ্যাঁচ
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|আজ ২০ জুন, ২০২৪ | রোজ- বৃহস্পতিবার |
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি আবারো একটি নতুন পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
"কথা" আমরা সকলেই বলি! সকলেই শুনি! এই কথার মাঝেই কিন্তু একটা মানুষের অনেক কিছু প্রকাশ পায়। আমরা কে কেমন বোধ করি, আমাদের মনের মাঝে কি চলতে থাকে এসব কিছু আমরা কথার মাধ্যমেই একজন আরেকজনের সাথে কমিউনিকেট করি৷ এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা আরেকজন মানুষ সম্পর্কে কি ভাবি, কি বলি সেটাও কিন্তু কথার মাঝেই প্রকাশ পেয়ে যায়। আমরা চাইলেও, কিংবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা সচেতনভাবে প্রকাশ করতে না চাইলেও আমাদের কথার মারপ্যাঁচ এও অনেক কিছুই প্রকাশ পেয়ে যায়!
Image Source : pixabay.com
কেন বললাম, সেটার জন্য আমি দুইটা উদাহরণ দিবো। দুইটা উদাহরণ ই আমার বাস্তব জীবন থেকেই নেয়া। আপনারা অনেকেই জানেন যে রোজার ঈদের পরপর ই আমার বড় ভাই এর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে৷ তো একটা কারণবশত আমি বৌভাত এর অনুষ্ঠানে থাকতে পারি নি। সেদিন আমার অনুপস্থিতিতে পরিবারের আপন মানুষ বলে যাদের কে চিনতাম, তাদের মাঝে দুইজন আমার নতুন বৌদির কাছে আমারই নামে অনেক কিছু নেগেটিভ কথা বলেছে! আমি নাকি অনেক মুডি মেয়ে, সকলের সাথে মিশি না, আমার সাথে নাকি বেশ ভেবেচিন্তে হিসাব করে কথা বলতে হয়, আরো কত কি! তো আপনারাই বলেন, এমনিতেই ননদ - বৌদির সম্পর্ক, তার উপর বিয়ের পরের দিনই যদি পরিবারের কাছের মানুষের থেকেই নতুন বৌ এমন কথা শুনে, তবে সেই নতুন বৌ এর কেমন ধারণা হওয়া উচিত!
প্রায় একই রকমের ঘটনা, আমার শ্বশুড়বাড়িতে যাদের আপনজন হিসেবে মানে, এমন এক আত্মীয় আমাকে আমার শ্বশুড়ের নাম করে তার ইয়ং বয়সের অনেক কথা আমার কাছে বলেছেন, যেটা বাড়ির নতুন বৌ হিসেবে আমার জানার কথা না, আমার জানা উচিত ও না! কিন্তু তবুও উনি যথেষ্ট বয়স্ক হওয়া স্বত্তেও, জেনে বুঝেই আমাকে বলেছেন! আবার এটাও বলতে ভোলেন নি, আমি যেন এসব কথা আবার আমার শ্বাশুড়ি মায়ের সাথে শেয়ার না করি! 😂😂
আসলে কিছু কিছু মানুষ আমাদের সকলের লাইফেই থাকে, যারা উপর থেকে " আপন মানুষ " হওয়ার ভান ধরে থাকে। অথচ আমরা ভালো থাকলে তাদের সহ্য হয় না। তাই নানা ভাবে কথার মারপ্যাঁচে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করে।জীবনে এমন মুখোশধারী মানুষ দের চিনে ফেলা টা ভীষণ জরুরি! উপরের এই দুই ঘটনা থেকে যেমন আমি বেশ কয়েকজন কে চিনে ফেলেছি। তাদের কোন প্রতিউত্তর ও করার প্রয়োজন বোধ করি নি, করবোও না। শুধু চিনে রেখেছি এবং জীবন থেকে যাস্ট " কিক আউট " করে দিয়েছি। ওমন মুখোশধারী আপনজন আমার জীবনে প্রয়োজন নেই৷ ছোট্ট একটা জীবন, জীবনে শান্তিটাই বেশি প্রয়োজন! 😇😇
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথা শব্দ টা অনেক ছোট কিন্তু এর মানে অনেক রকমের হয়।কথা হয় একরকম আর আস্তে আস্তে সেটার মানে অন্য রকমভাবে ছড়ানো হয় আরেক জনের কাছে।তাই আমার মনে হয় শোনা কথায় কান দেওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।আমি মনে করি তুমি খুবই বিচক্ষণ একজন মানুষ যাচাই-বাছাই ছাড়া কাউকে কিক-আউট করার আগে সেই ব্যক্তিকে তার দোষ সম্পর্কে জানান দেওয়া উচিত,তার কারণ হলো এ-যুগে কেউ কারো রাগ অভিমান নিয়ে ভাবে না বা ভাবার সময় নাই।যাইহোক আশাকরি খুব শীঘ্রই তোমার ভ্রান্ত ধারণা গুলো বদলে যাবে আর এই প্রত্যাশায় করি।ঈশ্বর সবার সুবুদ্ধি প্রদান করুক।ধন্যবাদ।
সেটাই দিদিভাই। ঈশ্বর সবার সুবুদ্ধি প্রদান করুক। সবাই যার যার মতো সুখে থাকুক, আনন্দে থাকুক, এটাই চাওয়া।
এরকম কথা লাগানো ব্যাক্তি অবশ্যই খুব খারাপ তবে যদি তা সত্যি হয় কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কথা হয় এক কিন্তুু অন্যকারো কান অবদি যেতে যেতে হয় আরেক। তাই অবশ্যই এরকম স্পর্শকাতর কাথা গুলোকে যাচাই বাছাই করা উচিত বলে মনে করি। আমি এবং আমাকে এধরনের কেউ কিছু বল্লে অবশ্যই চেষ্টা করি যে ব্যাক্তি বলেছে এবং যে ব্যাক্তিকে বলেছে দুজনে সামনাসামনি করে মুখস টেনে বের করতে।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এটা সঠিক বলেছো, কথা বহু কান হলে তার অর্থ বদলে যায়। তবে উপরের দুটি উদাহরণ এর কোনটাই বহু কান হয় নি! আর সামনাসামনি নিয়ে কথা বলার যে সিস্টেম তুমি বলছো, সেটা আদতেও ফলপ্রসূ নয়। কারণ সামনাসামনি কেউ ই কারোর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না, কেউ ই কারোর কাছে খারাপ হতে চায় না।
দিদি এসব কথায় কান দিবেন না ওই যে পাছে লোকে কিছু বলে। আপনার মন মানসিকতা অনেক ভালো যতটুকু কথার মাঝে জানতে পেরেছি। এসব নিয়ে ভাববেন না তারা নিজেরাই একসময় তাদের নিজের ভুল বুঝতে পারবে।
মানুষ কে কি ভাবলো আমাকে নিয়ে, কার কাছে কি বললো, ওসব নিয়ে চিন্তা করি না ভাই। মানুষ সবসময় নিজের স্টান্ডার্ড দিয়েই দুনিয়াকে বিচার করে। তাই তো গা'য়ে মাখি না। সোজা জীবনে তাদের ইম্পর্টেন্স বাদ দিয়ে দেই।
ব্যাপার টা এমন আপু যে আপনার কাছে অন্যজনের নামে বাজে কথা বলে অন্যজনের বদনাম করে। সে কিন্তু আপনার অনুপস্থিততে অন্যজনের কাছেও আপনার নামে বাজে কথা বলে। এসব মানুষের শাস্তি একটাই ঐ আপনি যেটা বললেন জীবন থেকে একেবারে কিক আউট করে দেওয়া হা হা।
হ্যা ভাই! একদম ঠিক ধরেছেন! এজন্যই তো সোজা কিক - আউট থিউরি কাজে লাগাচ্ছি এবার থেকে। ওমন মানুষ এর সাথে যোগাযোগ না থাকলেই জীবনে শান্তি!