ভিন্ন এক স্বাদের ঝাল মুড়ি।
২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং

ফুচকা, চটপটি, বেলপুরি, ঝালমুড়ি এই জাতীয় খাবার গুলো কার না পছন্দ। আমরা সবাই এই জাতীয় খাবার গুলো খুব বেশি পছন্দ করি। ঐদিন কলেজের ক্লাস শেষে কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে চলে গেলাম খেতে। যাওয়ার পথেই হঠাৎ করে চোখে পড়লো ভিন্ন এক রকমের ঝাল মুড়ি। বেশ ভিড় জমে আছে ওখানে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে বেশ জনপ্রিয় এই ঝালমুড়িটি। তাই আমরা চিন্তা করলাম এই ভিন্ন স্বাদের ঝালমুড়ি টা একটু ট্রাই করার। প্রথমে একটা নিয়ে নিলাম কারণ তেমন বেশি আইডিয়া ছিল না এটা খেতে কেমন হবে সেই বিষয়ে। যাইহোক , অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমরা আমাদের ঝাল মুড়িটি হাতে পেলাম।
সাধারণত আমরা যেরকম ঝাল মুড়ি খাই এই ঝালমুড়িটার টেস্ট অনেকটাই ভিন্নরকম । মোটামুটি ঝাল এবং খুব সুন্দর লেবুর টক টক একটা ফ্লেভার আসছিল। প্রতিটা বাইটে যখন ওই টুকরা লেবুর সহ খোসা আর কাঁচা মরিচের ঝাল ফ্লেভারটি আসছিল তখন অসম্ভব মজা লাগছিল।
প্রথমবার নেওয়ার পর আমাদের কাছে অনেকটাই ভালো লেগেছে তাই আমরা আরও দুইটি নিয়েছিলাম। আমার কাছে এতটাই ভাল লেগেছে যে আমি ভেবেছিলাম বাসায় নিয়ে আসব। তবে বাসায় আনতে আনতে মুড়িগুলো আর ক্রিসপি থাকবে না। তখন খেতে ও আর ভালো লাগবে না।
যাইহোক ২০ টাকার এই ঝালমুড়ির টেস্ট একদম একশ তে একশ। আর বেশ অনেকগুলো করে ছিল । তাছাড়া তাদের এই ওয়ানটাইম গ্লাসে করে চামচ দিয়ে এই পরিবেশনাটা আমার কাছে অনক ভালো লেগেছে। কারণ কাগজের ঠুঙ্গা করে তো আমরা প্রায় ঝাল মুড়ি খাই তবে এভাবে ঝাল মুড়ি খাওয়াটা অনেকটাই নতুনত্ব। নেক্সটাইম কখনো আবার ওই জায়গাটাতে গেলে ঝালমুড়িটা তো অবশ্যই ট্রাই করা হবেই হবে।
আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি । সকলের জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সকলে। অন্য কোন দিন দেখা হবে আবার। লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণ ধরে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সকলকে। আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঝালমুড়ি আমার অনেক পছন্দের। আমিও যদি এইরকম রাস্তার পাশে কোন ঝালমুড়ির দোকান দেখি সাথে সেটা ট্রাই করার চেষ্টা করি।যাইহোক আপনি ভিন্ন একটি স্বাদের ঝালমুড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনারা তাহলে খুবই মজা করে ঝালমুড়ি খেয়েছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু । চটপটি বেলপুরী, পানি পুরী আর ঝালমুড়ি আমাদের সবারই বেশ পছন্দ। আমিও আপনার মত করে কলেজে যখন পড়তাম তখন বান্ধবীদের নিয়ে এভাবে খেতে চলে যেতাম।ঝালমুড়ি বিশেষ করে অনেক পছন্দ করি। আমাদের এখানে তালতলা মার্কেটে প্রায় আমি ঝাল মুড়ি খেতে চলে যাই। আমার অনেক ভালো লাগে। তবে আজ আপনারটা দেখলাম একটু অন্যরকম অন টাইম গ্লাসে ঝাল মুড়ি। মনে হচ্ছে বেশ মজা ঝালমুড়িটি। ঝাল মুড়ি এটা কোথায় বিক্রি হয় আপু? বলেন তাহলে আমিও খেতে যাবো।
আসলেই এই জায়গার ঝালমুড়ি যেন দেখেছি একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি করা। এমন ঝাল মুড়ি পেলে তো লোভ সামলে থাকা সম্ভব নয়। এমন সুন্দর ঝালমুড়ি একদিন খেয়ে দেখতে পারলে ভালো হতো।
ফুচকা চটপটি বেলপুরি ঝাল মুড়ি এই খাবারগুলো আসলেই সবারি পছন্দ। ঝাল মুড়ি আমারও অনেক পছন্দ। ঝাল মুড়িটি ব্যতিক্রম ছিল আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আর লেবুর ফ্লেভার ছিল জন্য মনে হয় স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
আসলেই এমন মুখরোচক খাবার গুলো কমবেশি সবাই পছন্দ করে। আমার তো সবগুলো খাবার দারুণ লাগে খেতে। একটু ঝাল ঝাল করে মুড়ি খেতে দারুণ লাগে। গত পরশুদিন বাহিরে ঝালমুড়ি খেয়েছিলাম। সেখানে অবশ্য প্লেটে দিয়েছিল ঝালমুড়ি। যাইহোক বেশ মজা করে তাহলে ঝালমুড়ি খেয়েছেন আপু। লেবু ছোট ছোট করে কেটে দিলে এবং ঝাল একটু বেশি হলে, ঝালমুড়ির স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। ওয়ান টাইম গ্লাসে ঝালমুড়ি পরিবেশন করার আইডিয়াটা ইউনিক লেগেছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
স্কুল কলেজও রেল ভ্রমনে ঝাল মুড়ির না খেলে যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।ঝলমুড়ি মানেই কাঁচা,মরিচ,পেয়াজও সরিষার তেলের ঝাঁঝালো ঝাল।তবে ইদানীং ঝালমুড়িতে লেবুর টুকরাও আদা স্লাইস করে দিয়ে থাকে যা ঝাল মুড়ির স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার ফেভারিট খাবারের তালিকায় ঝালমুড়ি যেন অন্যতম। আমি প্রায় মাঝেমধ্যে সকাল অথবা রাতে ঝাল মুড়ি খেয়ে থাকি। যেন অন্যরকম নেশা হয়ে গেছে। ভিন্ন আঙ্গিকের তৈরি ঝালমুড়ি খাবার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ।
আসলেই এমন মুখোরোচক খাবার গুলো বিকেল বেলা বা মাঝে মাঝেই খেতে ইচ্ছে করে। আপনার শেয়ার করা ছবি দেখে মনে হচ্ছে আসলেই এটি অন্য ঝালমুড়ি গুলো থেকে কিছুটা ভিন্ন। আবার পরিবেশনেও ভিন্নতা এনেছেন উনারা। সব মিলিয়ে ভালোই লাগলো।
যে খাবার গুলোর নাম বললেন প্রত্যেকটা খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার ঝালমুড়ির ফটোগ্রাফি দেখে তো আমারই খেতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপু ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।