বিলগেটস কিভাবে ধনি হয়েছিল।তার বিস্তারিত কিছু কথা
বিল গেটস তার প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ব্যবসা যাত্রা শুরু করেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দিয়ে। ১৯৭০ সালে, গেটস এবং তার বন্ধু পল অ্যালেন মিলে একটি ছোট কোম্পানি তৈরি করেন, যেটি "লেভেল ৫" নামে পরিচিত ছিল। তারা প্রথমে বিভিন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রাম বিকাশ করতেন এবং বিশেষ করে তারা মাইক্রোসফটের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য আইবিএমের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম বিকাশের সুযোগ পান।
তাদের প্রথম বড় সাফল্য আসে যখন তারা ১৯৮০ সালে আইবিএমের জন্য MS-DOS অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে। এই সিস্টেমটি ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে এবং মাইক্রোসফটের জন্য একটি ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়ন এবং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার দিকে পরিচালিত করে।
বিল গেটসের শুরুটা বেশ আকর্ষণীয় ছিল। বিস্তারিতভাবে:
প্রথম প্রোগ্রামিং: গেটস ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। ১৩ বছর বয়সে তিনি একটি টাইম-শেয়ার সিস্টেমে প্রোগ্রামিং শুরু করেন। এই সময়েই তিনি "ক্যলকুলেটর" নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেন যা সহজে গণনা করতে সাহায্য করত।
তরুণ উদ্যোক্তা: ১৯৭০ সালে গেটস এবং পল অ্যালেন "লেভেল ৫" নামক একটি কোম্পানি গঠন করেন, যা তাদের প্রথম ব্যবসায়িক উদ্যোগ ছিল। তারা বিভিন্ন কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যার উন্নয়নে কাজ করেন।
ওয়ার্ল্ডের প্রথম সফটওয়্যার প্রোডাক্ট: ১৯৭৫ সালে, গেটস এবং অ্যালেন Altair 8800 কম্পিউটারের জন্য একটি বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। Altair 8800 ছিল একটি প্রাথমিক পারসোনাল কম্পিউটার এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল, যেহেতু এটি তাদের সফটওয়্যার বিক্রির প্রথম বড় সুযোগ সৃষ্টি করে।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে, গেটস এবং অ্যালেন "মাইক্রোসফট" নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা মূলত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার তৈরি করার পরিকল্পনা করেন।
MS-DOS এবং আইবিএমের সাথে চুক্তি: ১৯৮০ সালে, আইবিএম তাদের নতুন পারসোনাল কম্পিউটার (PC) এর জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন ঘোষণা করে। গেটস ও অ্যালেন তাদের MS-DOS অপারেটিং সিস্টেম আইবিএমের কাছে বিক্রি করেন, যা পরে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়।
পাবলিক কোম্পানি: ১৯৮৬ সালে, মাইক্রোসফট পাবলিক কোম্পানি হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। এই সময়েই গেটসের বড় ধরনের আর্থিক সাফল্য আসে এবং তিনি বিলিয়ন ডলার মালিক হন।
গেটসের সাফল্যের মূলে ছিল তার প্রোগ্রামিং দক্ষতা, কৌশলগত চিন্তা এবং উদ্ভাবনী মনোভাব। এই সমস্ত গুণাবলী তাকে প্রযুক্তি জগতে অন্যতম প্রধান উদ্ভাবক ও ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।