যমুনোত্রী ধাম দর্শন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।বেশ কয়েক মাস আগে একটি পর্বে আমি হরিদ্দার যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজ আমি হরিদ্বার থেকে যমুনোত্রী যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি খুব ভালো লাগবে আপনাদের।
যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী ,কেদারনাথ এবং বদ্রিনাথ এই চারটি জায়গা নিয়ে চারধাম। যখন আমরা হরিদ্বারে ছিলাম তখন থেকেই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম কোনটার পর কোনটা দেখতে যাব ।তাই প্রথমে আমরা যমুনোত্রী যাওয়ার জন্য হরিদ্বার থেকে বেরিয়ে ছিলাম। হরিদ্বার থেকে সকাল আটটায় ট্রাভেলার বাসে করে বেরিয়ে গেলাম ,যখন পৌঁছলাম তখন রাত ন'টা বাজে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা সময় যেতে লেগেছিল ।যাই হোক আমরা উঠেছিলাম জানকী চটিতে। জানকি চটি থেকে হাঁটা পথ ৭ কিলোমিটার । এতটা চরাই উতরাই পথ উপরের দিকে ওঠা সহজ কথা নয়। সেদিন রাতটা ওখানে রেস্ট নিয়ে ভোর চারটে নাগাদ উঠে গিয়েছিলাম। তারপর ভোর ছটা থেকে হাঁটা শুরু করেছিলাম ।যমুনা নদীকে ডানদিকে রেখে আরো উপরের দিকে উঠতে লেগেছিলাম। এতটাই চড়াই উতরাই পথ না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা এখানে অনেকে হেটে উঠতে পারেন না বলে কেউ কেউ ঘোড়ায় ,কেউ কেউ পালকিতে ,আবার কেউ কেউ ডুলিতে করে যায় কিন্তু আমরা সবাই হেটে উঠেছিলাম কারণ হাঁটা পথে আমাদের কাছে অনেক ভালো মনে হয়েছিল।
লাঠির উপর ভর করে যমুনা নদীকে ডানপাশে রেখে উপরের দিকে উঠছিলাম। প্রায় সাত ঘন্টা হাঁটার পর অবশেষে মন্দিরে পৌঁছেছিলাম। তার মাঝখানে এক ঘন্টা মত রেস্ট নিয়েছিলাম। কারণ একটানা উপরের দিকে ওঠা মুখের কথা নয় ।যত উপরের দিকে উঠছিলাম অনেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমাদের কারোর কোনো সমস্যা হয়নি।
কিন্তু একটা কথা না বললেই নয় এখানে আবহাওয়ার কথা আগে থেকে বলা যায় না ।যখন তখন বৃষ্টি নেমে যায় ।আমরাও যখন গিয়েছিলাম বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু খুব সাবধানে পা ফেলতে হয় না হলে অনেক বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে ।যেহেতু রাস্তা অনেক ছোট তার মধ্যে দিয়ে সবকিছু যাচ্ছে। সেই ভাবেই মন্দির দর্শন করতে হয়।
আসলেই মন্দির দর্শনে এক আলাদা শক্তি কাজ করে। তার জন্যই মনে হয় এতটা উপরে উঠে মন্দির দর্শন করতে পেরেছিলাম এবং খুব ভালোভাবে দর্শন করেছি আসার সময়ও ৫ ঘন্টার মধ্যে আমরা নিচে নেমে গিয়েছিলাম। যেহেতু নামতে একটু কম কষ্ট হয় তাই কিছুটা কম সময়ের মধ্যে নেমে গিয়েছিলাম ।এই ভাবেই আমরা যমুনা মাকে দর্শন করেছিলাম ।
তার সাথে একটা কথা না বললেই নয় যমুনা নদীকে ডান পাশে রেখে যখন আমরা উপরের দিকে উঠছিলাম, যত উপরে উঠছিলাম তত যেন চারিপাশের শোভা এবং প্রকৃতি দেখবার মত ছিল ।এই প্রকৃতি দেখার যে আনন্দ তাতেও আমাদের অনেকটা সাহস এবং মনের বল যুগিয়েছে। এবং আমাদের এই চারধামের মধ্যে প্রথম ধাম দেখার পর অনেকটাই ভালো লেগেছিল। তাই সেই মুহূর্তগুলো আমি আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Hi swagata21 grt Job 👏
আসলে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে উপরে উঠতে গেলে অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় অনেকেরই। আপনাদের কারোরই কোনো সমস্যা হয়নি, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক ৭ ঘন্টা হেঁটে অবশেষে মন্দিরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। আসলেই এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে হাঁটলে ততোটা কষ্ট হয় না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। উপরে উঠতে যতোটা কষ্ট হয়,তার অর্ধেক কষ্ট হয় না নিচে নামার সময়। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনার পোস্ট পড়েছিলাম আর অবাক হচ্ছছিলাম। পাহাড়ি এলাকায় হাটাহাটি করা খুবই কষ্টকর হঠাৎ করে কেউ পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে সেই বুঝতে পারবে হাঁটাহাঁটির কি কঠিন কাজ। সমতলভূমি এবং পাহাড়ি অঞ্চলে হাটাহাটি রাত দিন পার্থক্য। অনেক সময় জার্নি করে সেখানে গিয়ে রেস্ট নেওয়ার পরে টানা 7 ঘন্টা হাটাহাটি আমি তো অবাক হচ্ছি দিদি। অনেক কষ্ট হয়েছিল সেটাই বুঝতে পারলাম জায়গাটি অনেক সুন্দর দেখছি।
বাপরে দিদি, আপনারা তো তাহলে সব মিলিয়ে ১২-১৩ ঘন্টা ছিলেন সেই ট্রাভেল বাসে। তবে সময় যাই লাগুক না কেন পুজো তো হলো। আর যমুনা নদীর তীর ঘেষে অতটা উপরে উঠতে আপনাদের যতটা সময় লেগেছিল নামতে কিন্তু তার চেয়ে বেশ কম সময় লেগেছে। তবে আপনি যাই বলেন না কেন আপনার হাত ধরেই কিন্তু আমরা এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখার সুযোগ পেলাম।
দিদিভাই যখন লেখাগুলো পড়ছিলাম, আর পাহাড়ি সৌন্দর্যের ছবিগুলো দেখছিলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম, এ পথ আসলেই অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তারপরেও যে আপনারা পুরো পরিবার নিয়ে, ভ্রমণ করতে পেরেছেন এবং মন্দির দর্শন করতে পেরেছেন, এটাই কিন্তু অনেক বড় প্রাপ্তি।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🙏
বাপরে বাপ! উঠতেই সাত ঘন্টা লাগলো দিদি 🙆♂️। তার মানে এটা অনেক উঁচুতে অবস্থিত মন্দির। এটা শুনে ভালো লাগছে আপনাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমি একবার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠেছিলাম, উঠতে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা সময় লেগেছিল। তবে পাহাড়ে উঠে সৌন্দর্যটা সুন্দর দেখা যায়।
আসলে উপরের দিকে পায়ে হেটে ওঠা খুবই কঠিন। যদিও আপনারা লাঠিতে ভর দিয়ে উপরের দিকে উঠেছেন। উপরের দিকে উঠতে আপনাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়নি এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আমার। সাত ঘন্টা উঠার পরে শেষ পর্যন্ত যে মন্দিরে পৌঁছাতে পেরেছিলেন এটা জেনে সবথেকে বেশি ভালো লাগলো আমার।
দিদি গো সাত ঘন্টা হাঁটার পরে যমুনোত্রী মন্দিরে গেলেন। সাত ঘন্টা হাটার কথা শুনেই আমার পা ব্যাথা করছে,হে হে হে। যাক আপনাদের মনে আর পায়ে অনেক জোর আছে বলতে হবে। দৃশ্য গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ।