স্পেশাল মালটা চা সাথে আন্তরিক আতিথেয়তা।। 10% beneficiary to @shy-fox
প্রায় এক মাস আগে আমার খুব পছন্দের মোবাইল ফোন হাত থেকে পরে যায় এবং ফোনের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে আমাকে কয়েকদিন খুব ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। ফোন যে ব্র্যান্ডের ছিল আমি তাদের সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করেছিলাম এবং তারা খুব হাই প্রাইস ডিমান্ড করেছিল। পরে মনে হল এত দাম দিয়ে ডিসপ্লে ঠিক করে যদি আবার সমস্যা হয়। মনে পড়ল আমার এক ফুফাত ভাইয়ের কথা। সে ফোনের বেপারে খুব এক্সপার্ট। তাকে সব বলার পর সে বলল ভাইয়া ফোনটা নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসেন। সে তার পরিবার নিয়ে নারায়নগঞ্জ থাকে।
একদিন অফিস করে রওয়ানা দিলাম নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে রাস্তায় অনেক জ্যাম। অফিসের গাড়ি দিয়ে সাইনবোর্ড নেমে পড়লাম। সাইনবোর্ড থেকে দেখি সি এন জি যাচ্ছে। পরে সি এন জি তে করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু যাওয়ার পথে সি এন জি তে এত মশা দেখে ভয় লাগছিল কারন তখন আবার ডেঙ্গুর আক্রমণ চলছিল। পরে সি এন জি থেকে নেমে অটো রিকশা নিলাম। অটো তেও মশা আক্রমণ করেছিল কিন্তু সি এন জি তে অন্ধকার এবং আবদ্ধ থাকায় বেশি কামড় দিচ্ছিল। এখানেও অনেক জ্যাম ঠেলে চাষাঢ়া নামলাম। চাষাঢ়া নেমে দেখি তিন রাস্তা এখন কোন দিকে যাব? পরে কাজিন আমাকে ফোন এ তার অবস্থান বলে দিল।সেখানে মোবাইলের জন্য যাবতীয় যা যা করার করেছি। এর মধ্যে আমার খুব পছন্দের এক বড় ভাই যিনি নারায়নগঞ্জ থাকেন তাকে বলেছি আমার যাওয়ার কথা।
আমি মোবাইলের কাজ সারতে সারতে উনি চলে এসেছেন আমার সাথে দেখা করার জন্য। পরে কাজিন কাছ থেকে বিদায় নিয়ে উনার সাথে হাটা শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার ধারে ভাপা পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছে করল। বড় ভাই আমার আগেই ভাপা পিঠা অর্ডার করে দিল। ভাপা পিঠা খেয়ে বিল দিতে যাব দোকানদার বিল নিচ্ছে না । বড় ভাই ইশারা দিয়েছে যেন বিল না নেয়। যাই ভাবলাম সামনে চা কফি আমি খাওয়াব।
তারপর দুজনে বেশ অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। ওহ হ্যা আপনাদের বলা হয়নি এই বড় ভাইয়ের সাথে আমার অনলাইন একটি ক্লাস থেকে পরিচয়। এর আগে উনার সাথে দেখা হয়নি তবে কথা হয়েছে অনেক বার। উনার সাথে এত ভাল সম্পর্ক হয়েছে যে দেখা করতে মন চাইল। যাই হোক এবার আসি আমার মূল পর্বে । বড় ভাই বললেন চলেন আপনাকে মজার চা খাওয়াব। আমিও ভাবলাম বিল দেয়ার একটি সুযোগ পেলাম । যাই হোক বললাম চলেন যাই। আমরা হেঁটে গেলাম নারায়নগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র শহীদ মিনারের পাশে।
সেখানে দেখলাম অনেক চায়ের দোকান সাথে অনেক ধরনের স্ন্যাকস এর দোকান। বড় ভাই একটি চায়ের দোকানে নিয়ে গেল। খোলা আকাশের নিচে হলেও জায়গাটা খুব পরিষ্কার ছিল। চা বানানোর মামা বললেন মামা কোন চা খাবেন? বড় ভাই বললেন এখানে মালটা চা খুব মজা করে বানায় খেয়ে দেখেন। আমিও রাজী হয়ে গেলাম। চা মামা খুব আনন্দ নিয়ে চা বানিয়ে দিলেন। আমি খেয়াল করলাম চায়ের লিকার আর মালটা ছাড়াও আরো কি যেন দিল। আমি ভাবলাম এই হাবিজাবি দিলে কি ভাল লাগবে। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মনে এক প্রশান্তি পেলাম।
সত্যিই খুব ভাল লেগেছিল চা। তৃপ্তি নিয়ে ধীরে ধীরে চা খেলাম আর কিছুক্ষণ বড় ভাইয়ের সাথে আড্ডা দিলাম। বড় ভাই ফোন এ যেমন ভাল মানুষ বাসবে আরও আন্তরিক এবং অতিথিপরায়ণ। চা শেষ করে চায়ের বিল দিতে যাব চা মামা জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলে বিল দেয়া হয়েছে। আমি বললাম আমরা কেউই ত এখনো বিল দেইনি তাহলে বিল দিল কে। চা মামা বললেন ওই মামা বিল দিয়েছেন । আমি অনেক রিকুয়েস্ট করলাম চা মামাকে কিন্তু উনি কোনভাবেই রাজি হলো না। মনে হচ্ছে চা মামার ঘরে আমি বেড়াতে এসেছি। বড় ভাইকে বললাম এটা ঠিক হচ্ছে না। বড় ভাই বললেন আপনি আমার অতিথি। যাই হোক বিল না দিতে পেরে মন খারাপ লাগল।
এটা আমার একটাই খুঁতখুঁতে স্বভাব আমি করাও সাথে কোথাও খেতে গেলে বিল না দিতে পারলে অন ইজি লাগে। যাই হোক বড় ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে শীতল বসে করে ঢাকা চলে এলাম।
ডিভাইস | অপ্পো |
---|---|
মডেল | এ ৫৪ |
বিষয় | জেনারেল |
ক্রেডিট | @miratek |
what3words location | https://what3words.com/prompts.undivided.careful |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে । ধন্যবাদ সবাইকে।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
অনেক ধরনের চা খেয়েছি তবে স্পেশাল মালটা চা কখনো খাওয়া হয় নি।
নিশ্চয় এভাবে মালটা দিয়ে একদিন খেয়ে দেখব। চা খাওয়ার মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। এবং সুন্দরভাবে চা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকের কাছে শুনেছি, মালটার চা খেতে নাকি বেশ মজার। কিন্তু আমি কখনো মালটার চা খাইনি। সবার কথা শুনে মালটার চা খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেল।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এমন কিছু মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয়ে যায় চলার পথে যাদের সাথে কখনো দেখা হয়নি হয়তো কিন্তু সম্পর্ক টা কথা বলতে বলতেই অনেক গভীরে চলে যায়। ঠিক যেন একটা আত্মিক সম্পর্ক। আমরাও এমন কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে এই জীবনে। যাই হোক আপনার ভালো মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাই। আর ভাবা পিঠা, মালটা চা, সবই আমার প্রিয়। কোন দিন একসাথে খাব,, আর বিলটা আপনার হাতেই ধরিয়ে দেন হিহিহিহি। তবু যেন ভাই একটু শান্তি পায়।
সবসময় আপনাকে স্বাগতম জানাই ভাই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মালটা চায়ের কথা আমি আগেও শুনেছি। কিন্তু কখনও খাওয়াস হয় নাই । তবে আপনার আজকের পোস্টটি দেখে মালটার চা খেতে মনে চাচ্ছে। আপনি তো খুব আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে মালটা চা খেয়েছেন।