কিছু কথা।।২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটু সাধারণ ধরনের পোস্ট লিখতে চলেছি।সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হয়।আজ যা আছে সেটা দশ বছর পর একই রকম থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু পরিবর্তনটা কি রকম সেটা আমাদের ভালো ভাবে বুঝতে হবে।যে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন সমাজ ও সভ্যতার জন্য অবশ্যই ভালো।কিন্তু পরিবর্তন যদি শুধু মানুষের উল্লাসের জন্য হয় সেটা কিন্তু আলাদা বিষয়।আমি এখানে উল্লাস কে আনন্দ হিসেবে দেখছি না।কারণ আনন্দ জীবনের একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ভালো থাকা,সুখে থাকা ,আনন্দে থাকাই আমাদের উদ্দেশ্য।কিন্তু উল্লাসের নামে অপসংস্কৃতি ও অসভ্যতা নিশ্চয়ই আমাদের কাম্য নয়।
আমি আজকে কথা বলতে চলেছি আমাদের হিন্দু সমাজে ধর্মের আচার ও ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে।ধর্ম নিয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে ধর্ম কি?
ধর্ম বলতে যা কিছু ধারণ করা কে বোঝায়।ধর্ম মানুষের চারিত্রিক আধার।যা মানুষকে শক্তিশালী করে নিঃসন্দেহে।আগুনের ধর্ম হলো সব কিছু পোড়ানো তেমনি জলের ধর্ম সব কিছু শীতল করা।আমার মানবের ধর্ম হলো মনুষ্যত্ব।মানুষ হয়ে মানুষের জন্য ভাবা,সব পশু পাখির প্রতি মায়া দোয়া থাকা,মূল্যবোধ থাকা এই গুলোই মনুষ্যত্ব নামে আমাদের মানুষের ধর্ম।কিন্তু আমরা মানুষ এই ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে যাই প্রায়শ।
একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে আরো বুঝতে সুবিধা হবে।আমরা ছোটবেলা থেকে দেখা আসছি যে দুর্গা পুজো মানে ভক্তি ও আনন্দ উৎসবের একটা সম্মিলন।কিন্তু এখন পুজো টা শুধুমাত্র উপলক্ষ্য মাত্র।পুজোকে সামনে রেখে চলছে নিছক উল্লাস আর শহর জুড়ে আলোর রোশনাই।আমি বলছি না যে এগুলো খারাপ।এগুলো দরকার আছে।কিন্তু আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি ঐতিহ্য এগুলো কোথায়?
আমরা যে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছি ভিড়ের মধ্যে সেটা কি আমরা বুঝতে পারছি না।সারাদিন শুধু নিন্দা করা ছাড়া আমাদের এই মুহূর্তে কি কোনো কাজ নেই।আজ দেখলাম বামদের একটা ফাজিল নেতা বলছে সৌরভ গাঙ্গুলি আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়ে কিসের স্টিল প্লান্ট করবে।একটা স্টিল প্লান্ট করতে minimum ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন।কিন্তু একটা মানুষ যে একদম শিল্পহীন রাজ্যে কিছু একটা করার উদ্যোগ নিচ্ছে সেটা নিয়ে ও নিন্দা করছে।এটাই আমাদের বিকৃত কালচার হয়ে গেছে।খুবই দুঃখের কথা বড়ই হতাশার কথা।আর কতদিন এই ভাবে দমবন্ধ করে তলিয়ে যাবো আস্তে আস্তে।এখন একটি উঠে দাঁড়াতে হবে।আবার বাঙালি হিসেবে এগিয়ে যেতে হবে।পুরনো ঐতিহ্য কে ফিরিয়ে আনতে হবে।ভুলে গেলে হবে না আমরা বাঙালি আমরাই সেরা।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আসলেই দাদা আমরা বাঙ্গালি জাতি দিনদিন নিজেদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য ভুলে গিয়ে, বিদেশি সংস্কৃতির দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছি। ইতিবাচক পরিবর্তন সবাই পছন্দ করে এবং এটা আশীর্বাদ স্বরুপ। কিন্তু নেতিবাচক পরিবর্তন আমাদের কারোরই কাম্য নয়। সৌরভ গাঙ্গুলির এমন উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানানো দরকার ছিলো। কিন্তু উল্টো সেটার নিন্দা করছে। এটা অবশ্যই ঘৃণিত একটি কাজ। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি দাদা,উল্লাসের নামে অপসংস্কৃতি অসভ্যতা ঠিক নয়।বর্তমান সময়ে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে।আপনি যেটা বলছেন যে,দুর্গা পূজার সময়ে ভক্তি,আনন্দ উৎসবের সম্মেলন।কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো অনেকটা ভিন্ন হয়ে গিয়েছে শহর জুড়ে আলোর রোশনায়।শিল্পহীন রাজ্যে সৌরভ গাঙ্গুলির এই বিশেষ কিছু করার জন্য ডোনেশন এটা আবার অনেকে নিন্দা করছে।এটা আসলেই কাম্য নয়।এই বিকৃত কালচার আসলেই হতাশার কথা।অনেক মূল্যবান ছিল আপনার কথা গুলো।ভালো লেগেছে পোস্টটি দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকের ব্লগটি সাজিয়েছেন। বর্তমানে আমরা শুধু অন্যের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত। কেউ একটা কাজ করলে যে, তাকে উৎসাহ দিবো, সেটা না। বরং তাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কবে এসব মন মানুষিকতা থেকে বের হয়ে আসতে পারবো সৃষ্টিকর্তাই জানে। ধন্যবাদ দাদা।
ঠিকই বলেছেন দাদা। আমরা নিজেরা কাজ করা থেকে অন্যের কাজের সমালোচনায় বেশি সময় ব্যয় করি। এই কারণেই বাঙালি আজ উপরে উঠতে পারছে না। অথচ আমাদের উচিত ছিলো আমাদের ভেতর থেকে যারা এগিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আরো এগিয়ে যেতে সহায়তা করা। দিন দিন মানুষ আসলে মনুষ্যত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে সবাই এই ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকছে। ভালো লিখেছেন দাদা।
সত্যি দাদা সময়ের সাথে সাথে বাঙালিরা নিজেদের পুরনো ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ক্ষমতা আর দাম্ভিকতার ভিড়ে আসল ঐতিহ্য দিনে দিনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হয়তো ছোটবেলার সেই আনন্দগুলো এখন আর নেই। তবে অনুভূতিগুলো আজও মনে পড়ে। হয়তো মনের অজান্তে আবারো সেই দিনগুলোর কথা বারবার মনে পড়ে যায়।।আমরা বাঙালিরা সেরা এটা সব সময় মনে রাখতে হবে।
আপনার কথা গুলোর বিষয় আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বলছি,একদম ঠিক বলেছেন আপনি। কারণ বর্তমান সময়টায় আমরা শুধু খুঁজি যেনো কোনো একটা উৎসব হোক,আর সে আনন্দেই আমরা আমাদের নিজেদের মতো করেই নিজের ইচ্ছা গুলোকে নিয়ে ভাবি,আমাদের সবারই ধর্মে যে আলাদা আলাদা ঐতিহ্য আছে এটা অমর ভুলেই যাই।কিন্তু কারোর বিষয় বদনা,নিন্দা,সমালোচনা ইত্যাদি বিষয় গুলা করতে ভুলিনা।আসলেই দাদা অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বাঙালি,আর আমরাই হলো সেরা।