阿尔茨海默症和痴呆症之间的区别
বিলের মাঝামাঝি একটা স্থানে খালের উপর একটা ব্রীজ রয়েছে । মাত্র পনেরো ফিটের এই ছোট্ট ব্রীজের নাম লাল ব্রীজ । ব্রীজ থেকে খালটা দারুন সুন্দর লাগে দেখতে । ব্রীজের পাশে একটা ঝাঁকড়া কুল-বড়োই গাছ আছে । ছোট্ট ছোট্ট কুল এসে গিয়েছে দেখলাম গাছে এরই মধ্যে । ব্রীজের দক্ষিণ দিকে জেলেদের টং ঘর আর খালের জলে জাল পাতা রয়েছে । উত্তর দিকে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান আছে । এই দোকানে মাটির ভাঁড়ে চা-কফি আর স্ন্যাক্স পাওয়া যায় । এই দোকানদারের নিজস্ব বোটিং সার্ভিস আছে । খালের জলে নৌকো ভাড়া করে ঘোরা যায় খুশিমতো । আমরা সবাই মিলে এই চায়ের দোকানে মাটির ভাঁড়ে চা খেলাম । আর ক্রিম রোল । এরপরে উত্তর দিকে বাইক ছোটালাম । এই দিকে দেখলাম অসংখ্য পেঁয়াজের ক্ষেত করেছে কৃষকেরা । বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটা নির্মীয়মান পিকনিক স্পটের খোঁজ পেলাম । এই বিল এখন আর আগের সেই বিল নেই । আমরা আগে যখন এখানে আসতাম তখন কেউই আসতো না এখানে । এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে বর্তির বিলে । আগে রাস্তা দুর্গম ছিল । এখন চওড়া রাস্তা হয়েছে । বড় চার চাকা অব্দি ঢুকে যায় । আগে যেখানে কৃষকেরা ছাড়া কেউ থাকতো না এখন সেখানে বড় বড় তিন-চারটে রেস্টুরেন্ট খুলে ফেলেছে । চায়ের দোকান হয়েছে । পিকনিক স্পট হয়েছে । গাড়ি করে মানুষ পিকনিক স্পট আর রেস্টুরেন্টে আসছে । নির্জনতার সেই শান্ত স্নিগ্ধ রূপটা তাই এখন দিন দিন মলিন হয়ে যাচ্ছে । সূর্য ডোবার ঠিক আগের মুহূর্তে আমরা বর্তির বিল ত্যাগ করলাম । এরপরে বর্তির বিল থেকে হাফ কিলোমিটার দূরের বর্তির হাটে এসে সিঙ্গাড়া, আলুর চপ আর বেগুনি খেলাম তিনজনে মিলে । তারপরে বিলের টাটকা মাছ কিনলাম অনেক । খলসে, পুঁটি, মৌরালা আর দেশি কৈ কিনলাম । তারপরে, বর্তির বিলের ক্ষেতের টাটকা শাক সবজি কিনলাম ব্যাগ ভর্তি করে । এরপরে বাইক স্টার্ট দিলাম বাড়ির পথে । সূর্য তখন ডুবে গিয়েছে । ঠান্ডা কনকনে শীতের মধ্যে দিয়ে গ্রামের রাস্তা ধরে বাড়ির দিকে ছুট লাগলাম আমরা । পেছনে পড়ে রইলো শীতের কুয়াশামাখা বিষণ্ণ একাকী বর্তির বিল । জোৎস্নার ঘোলাটে আলো তখন তার খালের জলে পড়ে চিক চিক করছে ।
এই রঙিন ডিঙি নৌকো গুলো হলো বোটিং সার্ভিসের নৌকা । নির্দিষ্ট ভাড়ায় এই নৌকোগুলো করে খালের জলে ঘোরা যায় ।
তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : বিকেল ০৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।