শীতের ভাপা পিঠা
কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে আমার বাড়িতে থাকা হচ্ছে। যার কারণে মায়ের হাতের মজার মজার রান্না খাচ্ছি। শীতের দিনে ভাপা পিঠা আমার খুবই পছন্দের। যার কারনে আসলে আবদার থাকে নানান ধরনের পিঠা খাওয়ার। তো ভাইয়ের বিয়ের কারণে বাড়িতে এসেছি তার মধ্যে আবার অসুস্থ হয়ে গিয়েছে তো যার কারণে আরো ঢাকাতে ফিরে যাওয়া হয়নি। হঠাৎ মাকে বললাম আমার ভাপা পিঠা খেতে মন চাচ্ছে অনেক। আচ্ছা ঠিক আছে বানিয়ে দিব। রাতে বলেছিলাম খাব।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি গরম গরম ভাপা পিঠা। আমি তো দেখে অবাক। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি কেউ দেখে চোখের সামনে গরম গরম খাবার রেডি তাও আবার পছন্দের খাবার। ফিলিংসটা কেমন হবে আপনারাই বলেন। পিঠা দেখে তো আমি খুশি আর চিন্তা করতে থাকলাম একটা মনে হয় শুধু মা বলেই সম্ভব। অন্য কেউ হলে হয়তো এতটা চিন্তা করতো না।
আর আমি নিজেও হয়তো বানিয়ে খেতাম না। মা বলেই তার মনে হয়েছে আমার সন্তান খেতে চেয়েছে বসে আমার যত কষ্টই হোক। আমার কাছে তো মনে হয় আমার মা দুনিয়া আসার থেকে ভালো।এটা হয়তো সব সন্তানের কথাই মনে হয়। যাই হোক আমার এই জীবনে আমি কোনদিন কিছু খেতে চেয়েছি বা কোন কিছু চেয়েছি এমন কোনদিনই হয়নি। সেটা কম হোক আর বেশি হোক পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তো আবার পিঠে ফিরে আসি একদম গরম ভাপা পিঠা পোলাওয়ের চালের আর খেজুরের গুড়। নতুন খেজুরের গুড় এত সুন্দর গন্ধ সাথে নারিকেল দেওয়া বেশি করে। আমি তো একবারে দুইটা খেয়ে ফেললাম কোন দিকে না তাকিয়ে।
এত মজা আর আত্মতৃপ্তি নিয়ে খেলাম এই মজার সাথে কোন কিছুর তুলনা হবে না।। সকাল সকাল শীতের মধ্যে কালই না ভালো লাগে গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে। ঢাকাতে একদিন কিনে খেয়েছিলাম কিন্তু কোন স্বাদ লাগে নি। যে মনে হলো অমৃত খেলাম। ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে আবারও খাব সামনের শীতে।