জেনারেল রাইটিং 📝 পথের মানুষ।
০৭ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২০ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৯শাবান ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার।
শীতকাল।
আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
এই বিশ্বজগতে একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তাই পরিপূর্ণ। এবং তার সৃষ্টি হিসেবে আমরা কেউই পরিপূর্ণ নয় আমাদের কোনো না কোনো দুর্বলতা রয়েছে। আর এই দুর্বলতার মাধ্যমেই আমরা আমাদের জীবনকে পরিচালনা করি পৃথিবীর বুকে। পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে আমরা এক একজন এক এক রকম চেহারা স্বভাব চলাফেরা ইত্যাদি। আবার সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছেন একেকজনের একেক রকম করে কেউ ধনী কেউ গরিব কেউবা একদমই নিঃস্ব। একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন তো এটা আমাদের জন্য পরীক্ষা কিনা??? অবশ্যই এই পৃথিবীটা কোন স্থায়ী এবং আমরা পরীক্ষার বস্তু। একজনকে অন্যের থেকে আলাদা করার প্রধান কারণ হলো পরীক্ষা। পৃথিবীতে আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা করার জন্য। আমরা কে ভালো ভালো কাজ বেশি করে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করতে পারি। সবাই যে পৃথিবীতে ভালো কাজ করবে সেটাও কিন্তু নয় অনেকেই তো পথভ্রষ্ট হয়ে নিজের মত করে চলাচল করছে। যাইহোক আজ আমি আমার পোস্টে আলোচনা করব পথের মানুষদেরকে নিয়ে যাদেরকে আমরা টুকাই বা ফুটপাতের মানুষ বলে চিনি।
যাযাবর বা পথের মানুষ বলতে আমরা বুঝি যাদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। এক কথায় বলতে গেলে যেখানে রাত সেখানেই কাত। আমরা বেশিরভাগ মানুষ এদেরকে টুকাই বা বস্তি বলে ডাকি। মনে রাখতে হবে এরাও মানুষ এর ও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এই পৃথিবীটা শুধু আমাদের নয় তাদেরও। আপনি তাদের জীবন সম্পর্কে একটু গবেষণা করে দেখুন আপনার ভিতরে অনেক কিছু পরিবর্তন এসে যাবে। কারন আমরা কেউই এই পৃথিবীতে স্থায়ী স্থায়ী নয়। তারা হয়তো অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে আমরা হয়তো একটু ভালো আছি। এটা হতে পারে আমাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। হয়তো সৃষ্টিকর্তা দেখতে চান যে আমরা ভালো থেকে তাদেরকে কতটা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।
বেশ কিছুদিন আগে আমি ট্রেন ভ্রমণে ঢাকা গিয়েছিলাম দেখলাম প্রচন্ড শীতকে অপেক্ষা করে মাত্র একটি কম্বল একটি জামা বা একটা ব্যানার গায়ে জড়িয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপরে। নরম বিছানা তো অনেক দূরের কথা মাথার নিচে শুধুমাত্র একখানা ইট। সকাল হলে আবার দুমুঠো খাবারের জন্য হয় কাজ করবে না হয় অন্যের কাছে হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকবে। কি অদ্ভুত তাদের জীবন। অনেকের আবার কোথায় মা কোথায় বাবা বা আপনজন তাও জানেন না। কোথা থেকে কোথায় এসেছে মসতে ভাসতে এখন প্লাটফর্ম হয়েছে তাদের আপন জায়গা। আমাদের দেশে তো কত ধনী ব্যক্তি আছে এর মধ্যে অল্প সংখ্যক ধনী ব্যক্তিই এরকম সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে অসহায় মানুষের জন্য।
নিজেকে একসময় তাদের অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেখলে বোঝা যায় আসলে জীবনটা কত রঙিন বা অদ্ভুত। এই হাসি এই কান্না এই মায়া আবার এই বিষাদ। রোদ ঝড়-বৃষ্টি সব একরকম। না খেয়ে থাকলেও হয়তো কেউ বলছে না তাদের বা খেয়ে থাকলেও কেউ জিজ্ঞেস করছে না। আমি মাঝে মাঝে ভেবে পাইনা যে এই শীতের রাতে তারা কিভাবে শুধু একটা ব্যানার বা চাদর গায়ে প্লাটফর্মে শুয়ে ইট মাথার নিচে দিয়ে ঘুমায়। অনেক সময় দেখা যায় কুকুর মানুষ একই সাথে ঘুমায়। কি বিচিত্র আমাদের পৃথিবী কেউ 10 তলায় ,কেউ বাঁশতলায়।
মানুষ হিসেবে যেহেতু আমরা পৃথিবীতে চিরদিন বেঁচে থাকতে পারবো না এজন্য আমাদের উচিত যার যার জায়গা থেকে সহানুভূতির হাতটা বাড়িয়ে দেয়া। হয়তো আপনি পকেট থেকে ২০ টাকা দিলে আপনার কিছু হবে না আবার দেখা যাবে অনেকেরই এই টাকায় সকালের নাস্তা হয়ে যাবে। একা একা ভাল থাকার মধ্যে কোন আনন্দ বা তৃপ্তি থাকে না আমি মনে করি। আমাদের আশেপাশে যারা গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষ আছে তাদেরকে সহায়তার মাধ্যমে ভালো থাকা যায় অবশ্যই ।নিজের মধ্যে অন্যরকম একটি ভালো লাগা কাজ করে। তাই আসুন আমরা সবাই সবার জায়গা থেকে মানবিক হয়ে উঠে এবং যতটুকুনি পারি অন্যের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এককথায় দুর্দান্ত একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। আল্লাহ তায়ালা চাইলেই সবাইকে অঢেল অর্থ সম্পদ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যই, কাউকে ধনী এবং কাউকে গরীব বানিয়েছেন। তাই গরীব হওয়া কখনোই দোষের নয়। আমাদের উচিত গরীবদেরকে, বিশেষ করে যারা গৃহহীন, তাদেরকে বেশি বেশি সাহায্য সহযোগিতা করা। দুই দিনের দুনিয়ায়, সব অর্থ সম্পদ রেখেই চলে যেতে হবে অন্ধকার কবরে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে মানুষের কিসের এত অহংকার মারা যাওয়ার পরে নিজের ঘর ও অন্যের।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর একটি মতামত তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ভাই এমন তো হতেই পারে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পরীক্ষা নিচ্ছে যে আমাদের এত কিছু থাকা সত্ত্বেও নিঃস্ব মানুষগুলোর পাশে আমরা দাড়াচ্ছি কিনা। বাংলাদেশের রেলওয়ে স্টেশন গুলোতে গেলে এই মানুষগুলোর জীবনযাত্রা সম্পর্কে আরো কাছে থেকে জানা যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি ভিজিট করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি৷ আসলে ধনী গরীব মিলেই আমাদের এই বিশ্ব৷ যদি ধনীরা না থাকতো তাহলে গরিবদের কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা হতো না৷ একইভাবে যদি গরীব না থাকতো তাহলে ধনীরাও তাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করাতে পারত না৷ আল্লাহ সবাইকেই সবার উপর নির্ভরশীল করে বানিয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করে যাচ্ছেন৷ তারা তাদের কাজকর্ম চালনা করছে কিনা এবং তিনি এর ফল অবশ্যই সকলকে দিবেন৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পরীক্ষা করছেন এখন দেখার বিষয় হলো আমরা কে কে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছি।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর করেই পথের মানুষদের কে নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। আসলে ধনী, গরিব, ফকির সবকিছুকে মিলিয়ে আমাদের এই পৃথিবী। আর এই পৃথিবীতে ধনী-গরিব সবাই রয়েছে। যাদের বাড়িঘর নেই রাস্তায় থাকে, তাদেরকে উচিত সাহায্য করা। যার যতটুকু রয়েছে তার সমর্থ্য অনুযায়ী তাদেরকে সাহায্য করা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ দিনশেষে একটা মানুষের কাজে একটা মানুষই আসে। দেখা যাবে আজকে আমরা যাকে সাহায্য করেছি, দিনশেষে আমাদের কষ্টের একটা সময় সেই মানুষটা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আপনার আজকের লেখাটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে।
এটাই ঠিক আমাদের সাধ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেকটা পথের মানুষ একটা জায়গা খুঁজে নিজেদের থাকার জন্য। তারা চায় তাদের মাথার উপরে যেন একটা ছাদ থাকে, কিন্তু সেই ভাগ্যটা তাদের হয়তো হয় না আবার অনেকেরই হয়ে থাকে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা বড় দালান ঘরে বাস করে। আর অনেকে রয়েছে থাকার জন্য ছোট একটা বস্তি ঘরও পায় না। সেই মানুষগুলো দুবেলা খাওয়ার জন্য অনেক কিছুই করার চেষ্টা করে। সবার উচিত তাদের প্রতি মানবিক হয়ে ওঠা, তাদেরকে সাহায্য করা।
অবশ্যই আমাদের ভাগ্যের উপর ঈমান রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তা যেভাবে আমাদেরকে রেখেছেন সেভাবেই আমরা আছি তারপরেও নিজের চেষ্টায় মেধা এবং শক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে হবে সফলতার দিকে।