পাতাকপির সৌন্দর্য
আমাদের ছোট্ট ক্ষেতে আম্মু অন্যান্য শীতকালীন সবকিছুর মধ্যে বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে পাতাকপির চাষ করেছেন। এটা আগেই বলেছি। এটা নিয়ে অন্য আরেকটা পোস্টও করেছিলাম। তো যাই হোক, পাতাকপি গুলো আস্তে আস্তে বাধা শুরু হয়েছে। বাধা বলতে পাতাকপি তো মূলত পাতার সংমিশ্রণে তৈরি হয়। চারিদিক থেকে পাতা গুলো আসতে আসতে বেঁধে বলের মতো কপিটা তৈরি করে। আর মাঝখানে এই সুন্দর পাতাকপিটা বড় হয়।
গতকালকে গিয়েছিলাম ক্ষেতে। আব্বুর সাথে বাঁধাকপি আশেপাশে কিছু আগাছা পরিষ্কার করলাম। ভেতরে তাকিয়ে দেখলাম বাঁধাকপি গুলো বাধা শুরু হয়েছে। দেখে মনটা খুশি লাগলো। সবুজ-সম্মত চারিদিকে পাতায় মোড়ানো পাতাকপি গুলো দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগছে। ক্ষেতের ফ্রেস কেমিক্যালবিহীন পাতাকপি। যদিও আপু বলল এই পাতাকপি পরিপূর্ণভাবে আসতে এখনো প্রায় মাঝখানে সময় লাগবে। আমি দুইদিন পরে ঢাকাতে চলে যাব। অনেক ইচ্ছা ছিল কয়েকটি বাঁধাকপি নিয়ে যাওয়ার। আমার পাতাকপির ভাজি এবং কাঁচা সালাদ হিসেবে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার বউ প্রায় সন্ধ্যা বেলা ফাস্টফুডের বার্গার বা স্যান্ডউইচ তৈরি করে। ওই বার্গার বা স্যান্ডউইচ এর ভেতরের পেটিতে অন্যান্য সবজির সাথে কাছাকাছি ব্যবহার করলে অনেক মজা লাগে।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
সবুজ সবুজ নতুন তৈরি হওয়া পাতাকপি গুলো মাত্র বাধা শুরু হয়েছে। দেখতে এত সুন্দর লাগল তাই কয়েকটি ছবি তুললাম। আব্বুর এই সবজি খেতে সময় পার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। যদি সম্ভব হতো এখানেই থেকে আব্বুর সাথে কাজ করতাম। কিন্তু আবার ঢাকায় চলে যেতে হবে তাই মন খারাপ। কিছুই করার নেই জীবনের তাগিদে এভাবেই এন জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে চলতে হবে। আসলে আমরা কোথাওই স্থায়ী নয়।