অপ্রত্যাশিত ব্রাজিল!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ব্রাজিলের সময় টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। দ্যা গ্রেটেস্ট নেশনস অব ফুটবল ক্ষ্যাত দলটা যেন তাদের সেই চিরচেনা আক্রমনাত্মক রুপটা আর ফিরেই পাচ্ছে না। একের পর এক পারফরম্যান্স একের পর এক ম্যাচে ব্রাজিলের যেন শুধুই ব্যর্থতা। নান্দনিক ফুটবল বলতে যা বোঝাত ব্রাজিল ছিল সেটার ধারক এবং বাহক। কিন্তু এই ব্রাজিল যেন একেবারেই কেমন। গত ম্যাচে প্যারাগুয়ের সাথে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছিল ব্রাজিল। আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল কলম্বিয়া। মোটামুটি এই দুই দলের পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে কে কোন দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে সেটা নির্ভর করছিল এই ম্যাচের ফলাফলের উপর।
আশা করেছিলাম ব্রাজিল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে। ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র তার দলকে মাঠে নামায় চিরচেনা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। অন্যদিকে কলম্বিয়ার ফর্মেশন ছিল ৪-৩-৩। ম্যাচটা ছিল সকাল সাত টাই। আমি ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ না হয়েই ম্যাচটা দেখার জন্য বসে যায়। খেলা শুরু হয়। মোটামুটি কাঙ্ক্ষিত ভাবেই শুরু করে ব্রাজিল। প্রথম দিকে বেশ আক্রমণ করছিল। ম্যাচের ৭ মিনিটে একটা অনাকাঙ্খিত ফাউল করায় হলুদ কার্ড পায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। গ্রুপ পর্বে দুইটা হলুদ কার্ড পাওয়ায় সে মিস করবে পরবর্তী ম্যাচ। যাইহোক এরপর ম্যাচের ১২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রী কিক পায় ব্রাজিল। এবং ফ্রী কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় রাফিনহা।
এরপর যথারীতি খেলা চলতে থাকে। ম্যাচে মোটামুটি দুই দলই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিল এবং দুই দলই ফাউল করছিল। তবে ব্রাজিলের চেয়ে ভালো খেলছিল কলম্বিয়া। একের পর এক আক্রমণ করছিল তারা। কিন্তু ব্রাজিলের শেষ ভরসা এলিসন যেন বার বার বাঁচিয়ে দিচ্ছিলেন। ম্যাচের ৩০ মিনিটের দিকে অসাধারণ একটা ফ্রী কিক নেয় কলম্বিয়া কিন্তু সেটা সেভ করে দেয় এলিসন। এরপর কলম্বিয়া একটা গোল করলে সেটা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাচের ৪৭ মিনিটে দানিয়েল মুনজ গোল করে কলম্বিয়ার হয়ে। ফলে ম্যাচে সমতা চলে আসে। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। ভেবেছিলাম দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল তাদের খেলার পরিবর্তন করবে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার পর দেখা যায় এ ব্রাজিল যেন আরও হতাশ আরও ছন্নছাড়া আরও অপ্রত্যাশিত। কলম্বিয়া একের একের এক আক্রমণ করছিল অন্যদিকে ব্রাজিল যেন শুধু নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করছিল এবং কিছুক্ষণ পর পর বল হারিয়ে ফেলছিল। এটা খুবই বাজে লাগছিল আমার কাছে। এভাবেই শেষ হয় ম্যাচটা। শেষ পযর্ন্ত আর কেউই গোল করতে সক্ষম হয় না। তবে রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত সরাসরি ব্রাজিলের বিপক্ষে ছিল। ডিবক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি না দেওয়া শেষে কর্ণার কিক না দিয়ে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেওয়া। ম্যাচে ব্রাজিল বল দখলে রেখেছিল ৫১ শতাংশ। তবে টোটাল শর্ট এবং শর্ট অন টার্গেটে ব্রাজিলের থেকে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। আগামী ৭ জুলাই রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইদানিং আমরা ব্রাজিল টিমের খেলা দেখে অনেক টা হতাশার মধ্যে দিন পার করছি।ফিফা বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিল টিমের ভাঙ্গন শুরু হয়ে গিয়েছে।আর এই ভাঙ্গন এর শেষ হচ্ছে না। আজকের ম্যাচটি দেখে মনে করছিলাম, হয়তো ব্রাজিল টিম আজকে জিতবে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, শেষ মেষ ড্রো হয়ে যায়।
ভাইয়ার পোস্ট শিরোনাম দেখে আমি ভেবেছিলাম হয়তো ব্রাজিল হেরে গেছে। যদিও আমি ফুটবল খেলা খুব একটা দেখি না বা সময় পাইনা। তবে এটুকু বুঝতে পারি প্রিয় দলটা যদি খারাপ খেলে সে দিনের মতো খারাপ দিন আর আসে না হয়তোবা। ব্রাজিল অবশ্যই কলম্বিয়ার চেয়ে অনেক ভালো দল , সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশা থাকতেই পারে যে ব্রাজিল কলম্বিয়া কে হারাবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তারপরও যে খেলায় সমতা ছিল এটাও আসলে কম কিসে। ধন্যবাদ ভাই এমন একটি ম্যাচের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।