বাঙালির অসচেতনতা, অজ্ঞতা এবং মূর্খতার ফল (১০% পে-আউট লাজুক শিয়ালের জন্য)
আমরা জাতি হিসেবে বাঙালি এবং বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। বাঙালিরা স্বভাবতই একটু অলস প্রকৃতির হয়। কোনো কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে চায়না। বাঙালিরা তাদের সকল কার্যক্রমে অলসতার পরিচয় দিয়ে আসছে সেই শুরু থেকেই। সব ক্ষেত্রেই তারা বিকল্প পথ বেছে নেয় অর্থাৎ যে পথে গেলে খাটুনি কম হবে ওই পথ গ্রহণ করে। সেটা হোক নিজ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কিংবা অন্যের উপকারের জন্য।
এই বিকল্প পথ বেছে নিতে গিয়ে তারা অনেক বড় ভুল করে ফেলে। বড় ভুলটি প্রথমদিকে তেমন একটা প্রভাব না ফেললেও,পড়ে গিয়ে অনেক বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে অনেক ক্ষেত্রে। যা আমরা পরে গিয়ে অনুধাবন করতে পারি। কিন্তু তখন অনুধাবন করেই বা কি লাভ!কারণ বড় ধরনের ভুল যে আগেই হয়ে গেছে। কোন একটি সমস্যা সৃষ্টি হলে তা ক্ষুদ্র থাকতেই সমাধান করা উত্তম। সমস্যাটি বড় আকার ধারন করলে তার সমাধান করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কারণ তখন সমস্যাটির সমাধান প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে যায়।
এই ধরনের ভুল আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করে থাকি। সমাজের উঁচু স্তর থেকে শুরু করে নিচের স্তর পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই এ ধরনের ভুলের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। যুব সমাজের কোন ছেলে মেয়ে যখন খারাপ পথের দিকে যেতে থাকে, প্রথমদিকে অভিভাবকরা তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। সন্তানরা কোন ধরনের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘোরাফেরা করছে সেদিকে গুরুত্ব দেয় না। আবার তরুণ বয়সে কৌতুহলের বশে কিংবা খারাপ বন্ধু বান্ধবদের প্ররোচনায় পড়ে যখন তারা সিগারেট কিংবা ছোটখাটো নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে তখন অভিভাবকরা বিষয়টি জেনেও চুপচাপ থাকে। অভিভাবকরা কখন সচেতন হয়?যখন তাদের সন্তানরা এসব নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন। অর্থাৎ যখন তাদের সন্তানদের এসব আসক্তি থেকে একদম ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না,তখন বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আবার রাস্তাঘাটে চলার সময় রাস্তার সামান্য পিচ উঠে গেলে সেগুলো সংস্করণ এর জন্য স্থানীয় সরকার তেমন একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। রাস্তায় চলাফেরা করা যাচ্ছে এই ভেবে তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে হেলায় হেলায় উড়িয়ে দেন। কিন্তু যখন রাস্তার অবস্থা একেবারে বেগতিক হয়ে যায়,তখন তারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হন। যদি তারা প্রথমদিকে সচেতন হতো তাহলে খুব কম খরচে রাস্তাটি মেরামত করা যেত। কিন্তু সেটা না করার ফলে পরবর্তীতে গিয়ে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয় ওটা ঠিক করার পেছনে।
আবার আমরা ময়লা আবর্জনা গুলো নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে অলসতা করে রাস্তায় কিংবা রাস্তার পাশের পানি যাতায়াত করার ড্রেনে ফেলে দেই। রাস্তায় ফেললে ময়লা আবর্জনা গুলো দীর্ঘদিন জমে থাকার ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। ফলে আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হয়। আবার সেগুলো ড্রেনে ফেলার ফলে ড্রেন দিয়ে পানি যাতায়াত করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে ড্রেনে পানি জমে ড্রেন ভরাট হয়ে পানি রাস্তায় চলে আসে। ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যদি আমরা প্রথমদিকে সচেতন হয়ে ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতাম, তাহলে কিন্তু এত বড় সমস্যার সম্মুখীন হতাম না।
একসময় বাঙালি জাতি গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে উন্নয়নের দিক দিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে ছিল। বাংলার মাটির উপর উপরওয়ালা বর দান করেছিলেন। এদেশের মাটিতে সোনা ফলত। বাংলার উর্বর মাটিতে যেকোনো ধরনের ফসল খুব ভালো জন্মাতো। কিন্তু বাঙালিরা উপরওয়ালার দেয়া এই উর্বর মাটির সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি তাদের অলসতার জন্য। কম পরিশ্রমে ফসল ফলাতে গিয়ে এই উর্বর মাটিতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়ে রয়েছে তাদের অসচেতনতা,অজ্ঞতা এবং মূর্খতার ফলে।
"কোন একটি সমস্যা সৃষ্টি হলে তা ক্ষুদ্র থাকতেই সমাধান করা উত্তম। সমস্যাটি বড় আকার ধারন করলে তার সমাধান করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কারণ তখন সমস্যাটির সমাধান প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে যায়।"
এই কথাটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ভাই।অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের পোস্টটি।খুব সুন্দরভাবে আমাদের সচেতন না হওযার ফলে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলো তুলে ধরেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনি সচেতনতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। সত্যিই আপনার পোস্ট আমাদের প্রত্যেকের একবার হলেও পরা উচিৎ। সচেতন না হওযার ফলে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলো তুলে ধরেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ঠিক কথা বলছেন বাঙালি একটু অলস প্রকৃতির এটা বাস্তব কথা। এরা কোন কাজেই ঠিকমত করতে চায় না সবসময় সহজ খোঁজে। যেটা সহজে পাওয়া যায় ওই পথ বেছে নেয় অনেক ভালো কথা।এটা আমার সব সময় লাভের ধান্দায় খোঁজে কখনো লস খেতে চায় না। এটাই একমাত্র বড় ভুল করে তারা জীবনে।আসলে আমাদের অভিভাবকরা যদি সচেতন হয় তার ছেলে মেয়ের সঠিক খোঁজ-খবর নেয় তাহলে ছেলেটা নষ্ট দিকে যেতে পারেনা আজ। খুব ভালো কথা বলছেন।তখন বাপ-মা কেই কষ্ট সহ্য করতে হয় সন্তান যতই যখন নেশাগ্রস্ত হয়ে যায় খুবই খারাপ দিক। এখন আমাদের দেশটা পুরাই মাদকাসক্ত হয়ে গেছে।আসলে আমাদের আবর্জনাগুলো আমি আসলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি না। একটু একটু করে ময়লার ফলে অনেক জমে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে যে আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই খারাপ এবং শিশু বাচ্চারা তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং এগুলোর মাধ্যমে কিন্তু আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।অনেক ভাল কথা বলছেন
ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এই কথাটির সাথে আমি আরো একটা কথা সংযুক্ত করতে চাই সেটি হল রাস্তাটি যখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে বড় হতে থাকে এবং বেশ বড়ো অনেকগুলো গর্ত তৈরি হয় যখন এখানে অনেকগুলো গাড়ি এক্সিডেন্ট করে তখন গিয়ে স্থানীয় সরকারের টনক নড়ে ভাই। ধন্যবাদ ভাই এরকম একটি সচেতনতামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ময়লা আবর্জনা আর রাস্তাঘাটের কথা কি আর বলব। আমাদের মনমানসিকতা আরো অনেক উপরে নিয়ে যেতে হবে এবং কাজ করার ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তা না খুঁজে পরিশ্রম করার দিকে নিজেদেরকে ধাবিত করতে হবে। পরিশ্রম অনেক কমে গেছে আমাদের জাতিগত ভাবে। অলস সময় কাটাতে অনেককে দেখা যায় যেটার প্রভাব সার্বিকভাবে সবকিছুর উপর পড়ছে। খুব সুন্দর করে কথাগুলো শেয়ার করেছেন এবং অনেক ভালো লাগলো
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
তার পরেও, বিবেকের রায়ও ভুল হতে পারে। সবমিলিয়ে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাঙালিরা সত্যিই অলস প্রকৃতির।শুধুই আরাম খোঁজে।কিন্তু এই উদাসীন মনোভাব দেশের জন্য ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।সুন্দর বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ছোটবেলা থেকে আমরাও বসে পড়ে আসছি এবং আমাদের প্রাইমারিতে পড়ানো হতো ময়না আমার জন্যে যেখানে-সেখানে ফেলা যায় না। কিন্তু আমরা এই কাজটাই বারবার করি ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে বা যে কোন একটা নির্দিষ্ট জায়গায় না পেলে আমরা ইচ্ছামত যেখানে-সেখানে ফেলি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।