searching for adventure
গ্রুপের কল্যাণে এই জায়গার নাম অনেকে জেনে থাকবেন।আমরা ৫ জন খাগড়াছড়ি সদর থেকে সকাল আটটায় বের হলাম মায়ুং কপালের পথে,সদর থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়ায় জামতলি যাত্রী ছাউনি,যাত্রী ছাউনির বাম পাশের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দোকান থেকে পানি,কেক,কলা কিনে নিলাম।যে খাল নৌকা দিয়ে পার হতে হত,সেখানে এখন বাশ দিয়ে মাচা(সাকো) করে দেয়া।
মাচা পার হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মায়ুং কপালের দিকে হাটা শুরু করলাম(স্থানীয় এক বাচ্চা ছেলে আমাদের মায়ুং কপালের সোজা রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিল)।আমারা যাত্রা শুরু করি সকাল ৮.২০ মিনিটে,অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে মায়ুং কপালের দেখা পেলাম।আমাদের ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট লেগেছে মায়ুং কপাল পৌছাতে।আসার সময় আমাদের কাছে পানি ছিল না,আমরা গ্রামের কারবারির বাসায় গিয়ে পানি নিয়ে আসলাম,কারবারির সাথে আমাদেত ৮-১০ মিনিট কথাও হল।আসার পথে ৪ জন ছেলে(১৮-২০ বছর বয়সী) আমাদের পথরোধ করল,বলল,আপনাদের কিছু করা হবে না যদি জনপ্রতি ১ হাজার টাকা দিয়ে যান,ওদের হাতে ছুরিও ছিল।আমরা বললাম,আমাদের কাছে টাকা বেশী নেই,আমরা ছাত্র মানুষ,ওরা শরীর,ব্যাগ চেক করতে চাইল(ব্যাগে ক্যামেরা ছিল)।আমরা পিছিয়ে এসে পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিলাম,ওরা শুধু বড় নোট গুলো রেখে বাকিটা ফিরিয়ে দিল(বলা ভাল,অনেক চেয়ে ভাংতি টাকা গুলো ফিরিয়ে নিলাম)।তাই আপনারা যারা এখানে যেতে চান অবশ্যই ১০-১৫ জন এর গ্রুপ নিয়ে যাবেন,(সাথে স্থানীয় একজন গাইড নিলে আরো ভাল হয়)।
#পুলিশ,বিজিবি ওই দিকে যেতে নিরৎসাহী করে,তারা আমাদের বলল, পার্বত্য এলাকারগুলোর বেশী ভিতরে না যাওয়াই ভাল,সেক্ষেত্রে আপনি কোন সমস্যায় পড়লে তাদের কিছুই করার নেই।
#নিরাপদ ভ্রমণ করুন,ভ্রমণস্থলের যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।