রাক্ষসী, তবু্ও দেবতা রূপে পূজিত মা হিড়িম্বা।
রাক্ষসী, তবু্ও দেবতা রূপে পূজিত মা হিড়িম্বা।
ভারতের হিমাচল প্রদেশের স্বপ্নের শহর মানালি। চারিদিকে পাইন,দেবদারু গাছে ঘেরা।মানালি শহর থেকে মাত্র ২কি মি দূরে অবস্থিত হিড়িম্বা মন্দির। এ মন্দিরের বিশেষত হলো মন্দিরে উপাস্য দেবতা এক রাক্ষসী,নাম হিড়িম্বা। হিড়িম্বা নামের রাক্ষসীর পূজা হয় বলে মন্দিরের নাম হিড়িম্বা মন্দির। ইতিহাসে তাকে রাক্ষসী নামে চিনলেও স্থানীয়দের কাছে তিনি মা।হিড়িম্বা মন্দিরের কাহিনী ইতিহাস, পুরাণে বর্ণিত রয়েছে।
মহাভারতে পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে এক ভাই ভীম।আর এই ভীমের স্ত্রী ছিল হিড়িম্বা রাক্ষসী। হিড়িম্বা এবং ভীমের ঘটোৎকচ নামে একটি পুত্র সন্তান ছিল।শর্ত ছিল ঘটোৎকচ জন্মের পর ভীম তাদের ছেড়ে চলে যাবে।ভীম চলে যাওয়ার পর হিড়িম্বা দেবী গভীর তপস্যায় মগ্ন হয়।
মানালি শহরের হিড়িম্বা মন্দিরটি আনুমানিক ১৫৩৩ সালে তৈরি।মন্দিরের ভিতরে রয়েছে বিরাট এক কালো রঙের পাথর।লোকের বিশ্বাস ঐ কালো পাথরের নিচেই ধ্যান করতো মা হিড়িম্বা। পুরো মন্দির জুড়েই অসাধারণ কাঠের কারুকাজ। হিন্দু মন্দিরে বৌদ্ধ প্যাগোডার শৈলী যেন ক্রস কালচারের এক জীবন্ত দলিল।পুরো মন্দির সাজানো রয়েছে বিভিন্ন পশুর শিঙ দিয়ে। রয়েছে এক বিশাল আয়তনের পায়ের ছাপ।স্থানীয়দের বিশ্বাস এই পায়ের ছাপ স্বয়ং মা হিড়িম্বার।নবমী বা নবরাত্রির দিনে যখন সারা ভারতে মা দূর্গার পূজা হয় তখন মানালি মেতে উঠে মা হিড়িম্বার আরাধনায়।স্থানীয়দের বিশ্বাস হিড়িম্বা মা রক্ষা করছে পুরো অঞ্চলকে।
হিমাচল প্রদেশের মানালি শহরে বেড়াতে গেলে ঘুরে আসতে পারো এই সুন্দর মন্দিরটি।উপভোগ করতে পারবে প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টির মাঝে সুন্দর কারুকাজের মন্দিরটি।