গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হলো- খই ভাঁজা।
বৃহস্পতিবার
তারিখঃ ২৩ শে মার্চ ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন?আশা করি মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ নিয়ামতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন আজ আমি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার খই নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
এই ছবিটি মুঠোফোন থেকে ফটোগ্রাফি করা।
mine.PNGঐতিহ্যবাহী খইmine.PNG
খই আমাদের গ্রাম-বাংলার অতিপরিচিত একটি খাবার। এক সময় খই শুধু অথিতি অ্যাপায়নের জন্য ব্যবহৃত হতো। আমাদের উপমহাদেশে বিন্নি ধানের খই খুবই প্রচলিত। খই সাধারণত গরম বালুতে ভেঁজে তৈরি করা হয়। যে কোন ধান থেকে খইয়ের উদ্ভব ঘটে।
ঐতিহ্যবাহী খই হাতে কিভাবে ভাঁজতে হয়ঃmine.PNG
"হাতে ভাঁজা খই" আমাদের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। কাঁঠাল ও খই মিশিয়ে খাওয়ার ঐতিহ্য অনেক আগের পূরাতন। গ্রামের লোকেরা বিভিন্ন জাতের ধান বিশেষ করে ১৬ ধান রোদে শুকিয়ে নেয়। এরপর গরম বালু চুলার আগুনে উত্তপ্ত করে এতে ধান দেওয়া হয়। তারপর ধান গুলো গরম বালুতে দেওয়ার পর খোঁচা দিয়ে নাড়তে হয়। নাড়তে নাড়তে এক সময় ধান উত্তপ্ত হয়ে সেই ধানের খোসা ছাড়িয়ে তৈরি হয় খই।
হাতে ভাঁজা খইয়ের ফটোগ্রাফি।
হাতে ভাঁজা খইয়ের ফটোগ্রাফি।
খই আগেরকার যুগে গ্রামে অঞ্চলে এর প্রচলন ছিল বেশি। আগের লোকেরা বিন্নি ধানের খই দিয়ে অতিথি অ্যাপায়ন করতো। আমি যখন ছোট ছিলাম আজ থেকে প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে আমার দাদা যখন বেঁচে ছিলেন তখন আমাদের বাসায় খই ভাঁজত। আমার দাদা ও দাদী খই খুব ভালোবাসত। তারা সকালে কিংবা রাতে দুধ দিয়ে খই খেতে। আমিও দুধ ও খই অনেকবার খেয়েছি। এই দুধ ও খই আমার কাছে অনেক ভালো লাগতো।
mine.PNGঐতিহ্যবাহী খই সময়ের পরিবর্তনে হারিয়ে যাওয়ার পথে প্রায়ঃmine.PNG
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খই ভাঁজা আর আগের মতো নেই। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে। তবে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খই এখনো টিকে রেখেছে। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির বিন্নি ধানের খই সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। তারা প্রতিমন খই ১৪ হাজার টাকা দরে খুচরা মূল্যে বিক্রি করে থাকে। তারা শতবছর ধরে বিন্নি ধানের খই ভেঁজে আসতেছে। তবে আধুনিক যুগে আর আগের মতো হাতে ভাঁজা খই তৈরি করা হয় না। এখন সব মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে খই।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার এই ঐতিহ্যবাহী খই ভাঁজা পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণঃ
ক্যামেরা Oneplus
পোস্টের ধরণ খই ভাঁজা
ক্যামেরা ৬৪ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার @riyan1020
অবস্থান পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।
Vote Please Vote me i vote your post
#tradition#steemexclusive#creativewriting#finance#bangladesh#business