জাহাঙ্গীরনগর ভ্রমণ স্মৃতি : পর্ব ০৩
গত পর্বের পর...
তারপর ওখান থেকে বেরোতে আমার হাজবেন্ডের মামাতো বোন আবার ওখানেই পড়ে। ওকে ফোন দিল যদি তুই কোথায় আছিস। ওতো ফোন ধরে বলল ভাইয়া আজকে তুমি এসেছ আজকে তো আমি ভার্সিটিতে নেই আমার একটা কাজের কারণে আমি আগারগাঁও এসেছি। তখন বল ও আচ্ছা তুই নেই। আচ্ছা থাক তাহলে তোর সাথে অন্য কোনদিন দেখা হবে। তখন না অসুবিধা নেই তুমি এসেছ ঘুরতে থাকো আমার একটা বন্ধু আছে আমি ওকে বলছি ও তোমাদেরকে আমাদের পুরো ভার্সিটি ঘুরে দেখাবে। তারপর বল আচ্ছা ঠিক আছে। ও তারপরে ওই বন্ধুর নাম্বারটা দিয়ে দিল। সেই বন্ধু ভাই আপনারা কোথায় আছেন। তখন বললাম যে আমরা ভবন থেকে বের হয়ে হাঁটা শুরু করেছে। তখন ছেলেটা বলল আছে ভাইয়া তাহলে আপনার ওখানেই থাকেন আমি আসছি। আচ্ছা ঠিক আছে আসো।
ছেলেটা আসলে সবার সাথে একটা হল। ছেলেটা যথেষ্ট মিশুক ছিল। ভালো ভদ্র মনে হল দেখে।এইতো তারপর ওই ছেলেটার সাথে গল্প করতে করতে আমরা হাটছিলাম আর সামনে যেতেই দেখে অনেকগুলো চাঁপা ফুলের গাছ। বরাবরের ফোন আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমি তো সামনে যেতেই গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লাম। এত সুন্দর গন্ধ চারিদিকে। আমি কিছু ফুল নিচ থেকে কুড়িয়ে নিলাম। আমাকে বললে তুমি আরো ফুল চাও বললাম হ্যাঁ একটু ব্যস্ত থাকি দাও না যদি একটা দুইটা ফুল পড়ে। আমার কথা শুনে সে খুব কষ্ট করে এত বড় গাছটা ঝাকি দিল দুঃখের বিষয় হলো তার একটা ফুল ও নিচে পড়লো না।
তারপর সামনে কিছু বাঁশ দিয়ে ছোট ছোট করে ঘর বানানো ছিল। আর একটু ঝিলমতো ছিল তার উপর বাঁশ দিয়ে একটা সাঁকো বানানো। আমাকে বলল চলো ওখানে যাও আমি বললাম না না আমি ওখানে যাব না এত চিকন শোরুম রাস্তা দিয়ে আমি যেতে পারব না। সে আমাকে বলে আরে কিছুই হবে না চলো আমি তোমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছি। পরে আর কি কার উপর ভরসা করে চলে গেলাম। পার হয়ে ওখানে গেলাম এখনো বসার জায়গা ছিল ওখানে বসে দুই একটা ছবি তুললাম আমরা। পড়ন্ত বিকেল শুধু আস্তে আস্তে ঢলে পড়ছিল তার মধ্যে আমরা তারপর দাঁড়িয়ে দেখছিলাম সন্ধ্যা হওয়াটা।