জাহাঙ্গীরনগর ভ্রমণ স্মৃতি : পর্ব ০২

তারপর আমরা গেলাম চারুকলা বিভাগে। জ্ঞান দিয়ে ঢুকতেই দেখলাম অনেক বাচ্চা এবং বড়দের কে না সেকাচ্ছে একজন। ওখানে দুই এক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলাম। যে শেখাচ্ছিল তার তালে তালে বাচ্চাগুলোকে সুন্দর করে চেষ্টা করছিলে নাচার।বেশ ভালই লাগলো তারপর বলল চল আরো ভেতরে দিকে যাই।ভিতরে যতই দেখলাম তো প্রত্যেকটা দেয়ালে দেয়ালে সুন্দর সুন্দর পেইন্ট লাগান আছে।পেইন্টগুলো সব চারুকলা বিভাগের স্টুডেন্টরাই এঁকেছে। এত সুন্দর প্রাণবন্ত এঁকেছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে না যেগুলো হাতে আঁকা। আসলে আমিও নতুনই দেখছে এজন্য আমার কাছে হয়তো আরো অন্যরকম লাগতে পারে। সবগুলো পেইন্ট একটা একটা করে দেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।

ভবনের ভিতরে অনেকটা জায়গা আছে ওখানে অনেক রকমের গাছ লাগানো। অনেক বড় বড় গোলাপের গাছ লাগানো। গাছগুলোতে এত সুন্দর সুন্দর লাল গোলাপ ধরে আছে দেখে মনে হচ্ছে ছিরে ফেলি। কিন্তু আসলে ফুল তো গাছের মানায় হাতে না। তো আমাদের সাথে যে ভাইয়া আর ভাবি ছিল তারাও কি সুন্দর করে ফটো শুট করছিল। দেখে বেশ ভালই লাগছিল। আর আমরা দুইজন একই রকম একটা ছবি টবি তোলার মধ্যে ফিলিংস নেই। আমরা ওই জায়গাটাকে এনজয় করছিলাম দেখছিলাম। তারপর আমি বললাম যে আমি তোমাকে কয়েকটা ছবি তুলে দেই। ছবি তুলে দিলাম কয়েকটা এর মধ্যে দেখে একটা বিড়াল এসে পায়ের কাছে ঘুরঘুর করছে। ছোট্ট একটা বিড়ালের বাচ্চা।

এত সুন্দর চোখ। কিন্তু যতই হোক বিড়াল আমার দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগে কাছে ভালো লাগে না। তোমার হাজব্যান্ড বিড়াল খুবই পছন্দ করে সে বিড়ালকে কলে নিয়ে আদর করলো। আর বিড়ালটাও খুব আনন্দে ছিল তাকে আদর করছে সে চুপ করে বসে ছিল। তারপর আমি তাকে বললাম এত হাত দিও না এত হাত দিওনা বিড়ালের গায়ে ময়লা আছে সেগুলো হয়তো তুমি কখন হাত না ধরে খেয়ে ফেলবা। সে আরো ওইটা আমার সাথে রাগ দেখায়। তারপর সে ওখান থেকে বিড়াল রেখে আসবে না আমি বললাম কি শুধু এখানেই দিন পার করবা নাকি আরো কিছু আছে সেগুলো দেখব। তারপর বলল আচ্ছা চলো চলো সামনের দিকে যাই তাহলে। তারপর আমরা ভবন থেকে বের হয়ে হাঁটা শুরু করলাম। সামনে যেতেই দেখি একজন ভেলপুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমারতো বেলপুরি দেখলেই মাথা নষ্ট। বললাম দাঁড়াও দাঁড়াও বেলপুরি খাব। তারপর আমরা সবাই ওখানে দাঁড়িয়ে অর্ডার করলাম। তারপর সবাইকে একা একা দিল আমি তো এদিক ওদিক না থাকিয়েন ইচ্ছামতো টক দিয়ে খুব মজা করে বের করে এটা খেলাম। মনে হল যেন অমৃত খাচ্ছি। তখন আমার জামাই আমার এমন দেখে বলছে তুমি কি আরো খাবা।আমার না আর খাব না আবার পরে। এখন খাওয়া শেষ করে বেল দিয়ে আমরা আবার সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম। নির্জন জায়গা তো রাস্তাঘাটে মানুষজন খুব কম ছিল স্টুডেন্ট রাই আরকি ভালই লাগছিল।