বানিয়ে ফেললাম টক-ঝাল টমেটো সস।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি রেসিপি শেয়ার করবো। টক-ঝাল টমেটো সস রেসিপি।
বন্ধুরা বর্তমানে লাল টসটসে টমেটো দিয়ে বাজার সয়লাব। যেদিকে যায় শুধু টমেটো আর টমেটো। এখন টমেটোর দাম তুলনামূলক কম। মাত্র পনের থেকে বিশ টাকা দিয়ে এক কেজি টমেটো পাওয়া যায়। আর পাঁচ কেজি বা দশ কেজি এক সাথে নিলে আরো কমে পাওয়া যায়। যায় ফলে সবাই টমেটো কিনে নিজে খাচ্ছে, আবার সংরক্ষণ ও করছে।
সারা বছর আমাদের যে জিনিস টা কাজে লাগে সেটা হলো টমেটো সস। সারা বছর বিভিন্ন ভাজাপোড়া, নুডলস খেতে হয়। আর এগুলোর সাথে টমেটো সস হলে হেব্বি জমে। সারা বছরই আমার টমেটো সস কিনতে হয়। যার ফলে চিন্তা করলাম এই বছর টমেটো সস বানিয়ে ফেলবো। টমেটোর দাম যেহেতু কম সে জন্য প্রথমে তিন কেজি ও পরে পাঁচ কেজি টমেটোর সস বানিয়েছি। একেবারে দোকানের টমেটো সসের মত হয়েছে। আজকে সেই রেসিপি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
রেসিপির বিভিন্ন উপকরণসমূহ
- টমেটো তিন কেজি।
- কর্ন ফ্লাওয়ার পরিমাণ মত।
- ভিনেগার পরিমান মত।
- শুকনো মরিচ দশ পিস।
- পেঁয়াজ বড় দুই পিস
- রসুন বড় দুই পিস
- চিনি পরিমান মত
- লবন পরিমাণ মত
টক-ঝাল টমেটো সস তৈরীর বর্ণনা -
প্রথম ধাপ-
প্রথমে আমি টমেটো গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে কেটে একটি প্লাস্টিকের গামলায় রাখলাম। তারপর চুলাতে নন স্টিকের কড়াই বসিয়ে তাতে টমেটো গুলো দিয়ে সাথে পেঁয়াজ, রসুন ও শুকনো মরিচ গুলোও দিয়ে দিলাম
দ্বিতীয় ধাপ-
তারপর চুলাতে আগুন দিয়ে দিলাম। প্রায় পনের থেকে বিশ মিনিটের মত রান্না করলাম। রেসিপির সাথে পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। অটোমেটিক ভাবে পানি বের হয়েছে। নেড়েচেড়ে ভালো ভাবে রান্না করে ফ্যানের নিচে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
টমেটোর রেসিপি টা ঠান্ডা হওয়ার পরে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম। ব্লেন্ডারের কাজটা খুবই সতর্কতার সাথে করতে হবে। তা না হলে সস পরে যেতে পারে।
চতুর্থ ধাপ-
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটি ছাকনিতে রেখে চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে টমেটোর বিচি ও ছাল গুলো আলাদা করে নিলাম। নিচে প্লাস্টিকের গামলায় সসটা পড়ে গেলো।
পঞ্চম ধাপ-
দেখতে পাচ্ছেন ব্লেন্ড করার পরে ছাকনি দিয়ে ছেকে তারপর আবার নন স্টিক কড়াইতে রেখে কিছুক্ষণ কুক করলাম। কারন এই সময়টাতে যত যত কুক করা যাবে ততই গাঢ় হবে। ব্লেন্ড করার পরে সস কিছুটা কমে গেছে।
ষষ্ঠ ধাপ-
এই পর্যায়ে আমি টকটা কিছুটা কমানোর জন্য অল্প পরিমানে চিনি দিয়ে দিলাম। আর কালারটা একটু লাল হওয়ার জন্য কিছুটা গুঁড়ো মরিচ দিয়ে দিলাম। ফুড কালার থাকলে সেটাও ব্যবহার করা যাবে।
সপ্তম ধাপ-
তারপর পরিমাণ মত কর্ণ ফ্লাওয়ার একটি বাটিতে নিয়ে তাতে পরিমাণ মত পানি দিয়ে ভালো ভাবে মিক্স করে নিলাম।
অষ্টম ধাপ-
তারপর কড়াইতে গরম সসের মধ্যে কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশ্রনটা দিয়ে দিলাম। কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশ্রন দেওয়ার পরে সাথে সাথে নাড়া দিতে হবে। তা না হলে জমে যেতে পারে।
নবম ধাপ-
এই পর্যায়ে বোতল থেকে পরিমান মত ভিনেগার নিয়ে একটি পাত্রে রাখলাম। তারপর সেটা সসের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ-
ভিনেগার দিয়ে প্রায় ত্রিশ মিনিটের মত ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে কুক করলাম। কারন শেষের দিকে যত কুক করা হবে ততই সস গাঢ় হবে। এভাবেই হয়ে গেলো আমার টক- ঝাল টমেটো সস।
পরিবেশন-
কেমন হলো আমার টক-ঝাল টমেটো সস রেসিপি। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও দারুন স্বাদ ছিল। ঠান্ডা হওয়ার পরে কালারটা দারুণ হয়েছে। অল্প একটু রেখে বাকিটা বক্স করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। যখন দরকার হবে তখনই খাবো।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২৮-০২-২০২৫ |
সময় | রাত-৮.০০ |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আপনিও দেখছি টমেটো সস বানিয়ে ফেললেন। কিছুদিন আগে আমিও টমেটো সস তৈরি করেছিলাম। একদম পারফেক্টলি তৈরি করতে পেরেছেন। দেখে ভালো লাগলো। বিকেলের নাস্তা টমেটো সস সব সময় দরকার হয়। খুব সুন্দরভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার অনেক সস কিনতে হয়। সে জন্য অনেক গুলো সস বানালাম। ধন্যবাদ।
Done

দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন অনেকের কাজে আসবে। যেহেতু কমবেশি সবার সস কিনতে হয় তাই। এমন কিছু খাবার আছে যা সস দিয়ে খেলে বেশ মজার হয়। আমার তো বেশ ভালো লাগলো এই রেসিপি দেখে। অনেক ধন্যবাদ সস রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও কয়েকদিন ধরে ভাবছি টমেটো সস বানানোর কথা। আসলে এই সময় বাজারে টমেটোর দাম অনেকটাই কম। কিন্তু ঠিক কিভাবে করলে মজার হবে খেতে সেটাই ভাবছিলাম। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগল। করব বাড়িতে খুব তাড়াতাড়ি৷
একদমই ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন বাজারে টসটসে টমেটো পাওয়া যায়।দাম অনেক কম কেজিতে আর বেশি নিলে আরো কম।আপনি বুদ্ধিমানের মতো কাজ করেছেন টমেটো সস বানিয়ে। দারুণ বানিয়েছেন ভাইয়া সস গুলো।এগুলো সংরক্ষণ করে সারাবছর খেতে পারবেন। টমেটো সসের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। ধাপে ধাপে সস তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।