হঠাৎ বিপদে পড়তে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি প্রতি নিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন কিছু নিয়ে আসতে। আসলে আজ বেশ কিছু দিন ধরে মাঝে মধ্যে রাতে আমার বড় মেয়ে ঘুমের ঘরে কান্না করে উঠে। আমি এক হুজুর দেখিয়েছি।তারপরেও কয়েক দিন ভালো থাকে আবার কান্না শুরু করে দেয়।এমন ভাবে কান্না করে যে সে নিজে কিছুই বোঝে না। তারপর ঘুম থেকে তুলে একটু দোয়া পড়ে ফু দিলে আবার ঠিক হয়ে যায়।তাই ভাবলাম আর একটা হুজুর দেখাবো।যাইহোক কয়েক দিন আগে আমি আমার মেয়েদের নিয়ে গিয়েছিলাম আমার বাবার বাড়িতে। সেখানেই গিয়ে এই ঘটনা। তো চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু আমার মেয়েকে আর একটা হুজুর দেখাবো, তাই আমি আমার বাবার বাড়ির হুজুরের কাছে নিয়ে গেলাম আমার ভাইয়ের সাথে করে।আমরা প্রথম মসজিদে চলে গেলাম মেয়েকে নিয়ে। আসলে হুজুরের সাথে আগে ফোনে কথা হয়েছিল। আমরা মসজিদে যাবার পর হুজুর বললো আপনারা পাশের বাড়ি আসেন আমার সাথে। আসলে পাশের বাড়ি হুজুর এক রোগি দেখবে। বললো আপনারা ঐ বাড়িতে গিয়ে বসতে পারেন।সত্যি বলতে আমি ভেবেছিলাম হুজুর একটু ঝেড়ে দেবে হয়ে যাবে, তবে গিয়ে দেখি তার উল্টো। যাইহোক তারপর আমরা সবাই ঐ বাড়িতে চলে গেলাম। যাওয়ার পরে দেখি সেই বাড়িতে একজন রোগী এসেছে হুজুরকে দেখানোর জন্য। আসলে উনার অনেক টাকা দিয়ে জিন হাজির করেছে। তারপর হুজুর আমার ভাইকে বললো আমি যখন জিন হাজির করি তখন আপনার ভাগ্নিকে বসাবেন। তখন আমি রাজি হলাম।
তখন হুজুর যার কাছে জিন আছে তাকে এভাবে বসালো।পিছে এভাবে বালিশ দিয়ে আটকিয়ে রাখলো। আর আমরা সবাই পিঁছে দিয়ে বসে রইলাম। আসলে প্রথমে যে মেয়েটাকে দেখলো, মেয়াটা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।মেয়েটাকে বললো ওর ঘাড়ে জিন আছে। ওর বিয়ের পরে সমস্যা করবে।তারপর ভালো হওয়ার কিছু করণীয় বলে দিল।তারপর আবার আর একটা ছেলেকে দেখলো ওকে বললো তার নাকি শারীরিক সমস্যা। এখন আমার মেয়েকে বললো ওর নাকি জিনের সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে দূর থেকে দৃষ্টি করে।তখন আমি অনেক ভয় পেলাম। তারপর সেই জিন বললো মেয়েকে কিছু তাবিজ ও বাড়ি বন্ধ দিলে ইনশাআল্লাহ মাপ হয়ে যাবে।তারপর লোকটার ঘাড় থেকে জিন চলে গেলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।
তারপর আমরা সব শোনে আসলাম। হুজুর আবার আমাদের নাম ঠিকানা লিখে রাখলো।এই কথা শোনে আমি ও মহা বিপদে পড়ে গেলাম। তারপর এই চিকিৎসা করাতে টাকা লাগবে ৮০০০ টাকা।যাইহোক তারপর আমরা বাসায় এসে আর একটা হুজুর দেখায়, সে বললো আসলে আপু ওর তেমন কিছু হয় নাই শুধু একটু ঝাড় ফু দিলেই হবে। তারপর একট তাবিজ বানিয়ে দিতে চাইলো।আমি আবার এই হুজুরের কাছে সব কিছু খোলে বললাম । তখন হুজুর বললো হয়তো আপনার হাজার খানেক টাকা লাগতে পারে। আর এটা তেমন কোন সমস্যা নয়। আশাকরি তারাতাড়ি মাপ হয়ে যাবে। তখন হুজুরের কথা শোনে অনেক ভালো লাগল।এখন এই হুজুরের কথা মতোই চলতে হবে । আপনারা দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সব কিছু ঠিক হয়ে যায়।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার বড় মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ে আপু ওর বয়স কত? আশা করছি ও দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে?
যাই হোক দ্বিতীয় হুজুরের কথামতো চলছেন আশা করি ভালই হবে।
আমার মেয়ে থ্রিতে পড়ে, বয়স ৯ বছর, দোয়া করবেন আপু।
জি আপু অবশ্যই। ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হোক এই কামনাই করি।
আসলে আপু সুস্থ তবে হঠাৎ মাঝে মাঝে কান্না করে রাতের বেলায়।
একটা সময় এই ধরনের বিষয়গুলো অহরহ ঘটতো। কারণ তখন বসতি ছিল কম এবং ঝড় জঙ্গল ছিল বেশি যার ফলে এই ধরনের ঘটনাগুলো বেশি ঘটতো। মানুষ অন্ধকারে ভয় পেত মানুষের শরীরে জ্বীন বা অন্য কোন দোষের সমস্যা হতো। আপনার মেয়েকে হুজুরকে একটু দেখাতে গিয়ে আপনি যেসব ঘটনা গুলো বর্ণনা দিয়েছেন এই ঘটনাগুলো কিন্তু আসলে প্রায় জায়গায় ঘটে থাকে। জেনেরা অনেক সময় মেয়ে সুন্দরী মেয়ে অথবা ছেলেরা দেখলে তাদের শরীরে উপর ভর করে। আর এসব করাতে কিছু কিছু হুজুর আছে যারা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে। সামান্য একটা কাজে এই হুজুর আপনার কাছে ৮ হাজার টাকা চেয়েছে কিন্তু অন্য হুজুর সেখানে এক হাজার টাকা চেয়েছে। এমন অনেক হুজুর আছে যারা এটা নিয়ে ব্যবসা করে। যাক আপু আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে ভাইয়া আমার মেয়ে মাশাআল্লাহ, যাইহোক ভাইয়া দোয়া করবেন যেন আল্লাহ মাপ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চারা কান্না করলে ভালো লাগে না।সব বাবা মা তার সন্তানের খুশি রাখতে চায়।আমার মনে হয় আপনার মেয়ে আপনার বাবার বাড়িতে গিয়ে রাতে কোনো ভয় পেয়েছে।ভয় থেকেই অজানা অনেক কিছুই হয়ে থাকে।তবে এখন এই ঝাড় ফুঁক কেউ বিশ্বাস করে না।আর কিছু মানুষ এটা নিয়ে ব্যাবসাও করে থাকেন টাকার লোভে।আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি, শুভকামনা রইলো আপু।
জি আপু কিছু কিছু মানুষ ব্যবসা শুরু করে, দোয়া করবেন আপু,ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
আসলে এরকম দৃশ্য কখনো দেখিনি। তবে ৮০০০ টাকা চেয়েছে এটা সত্যি অনেক বেশি চেয়েছে। দোয়া করি আপনার মেয়ে যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। আমার মনে হয় প্রথমে একটু ভালোভাবে ঝাড়ফুঁক দিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারেন আপু। দোয়া করি ভালো হয়ে যাবে।
আপু আমি দেখেছি তবে বিশ্বাস করিনি,ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দোয়া করি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে যেন আপনার বড় মেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। হুজুরদের বিষয়ে আমার তেমন কিছু বলার নেই কেননা এই বিষয়ে আমার তেমন কোন ধারণাই নেই।
প্রথমেই আমার দোয়া রইল আপনার মেয়ের জন্য যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠেন। তবে আমার আল্লাহর উপর ভরসা আছে। কিন্তু হুজুরদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। দেখেন কি হয়। তানাহলে ভালো কোন ডাক্তার দেখান।
জি আপু দোয়া করবেন যেন মাপ হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু এ জাতীয় ঘটনা পূর্বে বেশি ঘটতো এখন খুবই কম। আমি শুনেছি আগে আমাদের এখানে জিন অথবা পরীর সমস্যাটা একটু বেশি ছিল। যাইহোক আমাদের এই এলাকায় ইদানিং এগুলো আর তেমন একটা শোনা যায় না তার পরেও মাঝেমধ্যে কানে আসে। মেয়ের সমস্যার বিষয়টা আমাদের মাঝে তুলে ধরতে গিয়ে অনেক কিছুই উপস্থাপন করেছেন। আর এখন অনেক হুজুরেরা এটা ব্যবসা আকারে চালিয়ে যায়।