মেস লাইফের মজার কিছু সময়
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।কিছুদিন আগে আপনাদের একটি পোস্টে শেয়ার করেছিলাম আমার মেসে ওঠার গল্প নিয়ে।তো মেস লাইফ আমার খুব একটা খারাপ লাগছেনা।সবাই মিলে বেশ ভালোই কাটছে সময়।তবে আগের মেস টি তে থাকাটা সম্ভব হয়নি।আসলে যেখানে সমস্যা মনে হয় আমি সেখানে একদমই থাকতে পারিনা।আমি সম্পূর্ণ নিজের মতামতে চলি তারপর পরিবারকে জানাই।আর আমি যেটা বলি সেটাই তারা মেনে নেয়।তবে এটা ঠিক না কিন্তু কারণ সবসময় তো আর আমার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়না।যদি কখনও ভুল ভাল কাজ করে ফেলি তখন বাড়ির লোকদের বলি সব কথা শুনতে হয় না ছেলে মেয়ের, হাহা। অন্যদের কথা সেইভাবে শোনেনা আমার কথা বেশি মূল্যায়ন করা হয়।আর কারো কথা যখন মূল্যায়ন করা হয় দেখবেন সেই ব্যক্তিকে একটি অবস্থান গড়ে তুলতে হয় পরিবার অথবা সমাজে।আমি হয়তোবা সেটা পেরেছি তাই শোনে,তাই বলতে পারেন পুরোটা আমার ক্রেডিট,হাহা।আমার সিদ্ধান্ত সবসময় যে সঠিক হয় ব্যাপারটা কিন্তু তেমন না।তবে খুব একটা ভুল সিদ্ধান্ত আমার জীবনে আমি নিই নি।এজন্যই তারা কিছু বলে না বলতে পারেন।
তো দুই মাস থাকার পর সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে আমার মনে হলো মেস চেইন্জ করতে হবে না হলে আগামীতে প্রাইভেসি রিলেটেড সমস্যা হতে পারে ।কেননা আমি খুবই গ্রাউন্ডেড পারসন তাই আমাকে সবসময় সবদিক মাথায় রেখে চলতে হয়।তাছাড়া আপনি যাদের সাথে থাকবেন তাদের মেন্টালিটি আপনার মেন্টালিটি ম্যাচ না হলে আপনি সবকিছু স্মুথ ভাবে করতে পারবেন না।তাই আমার মনে হয় সেম মেন্টালিটি অনেকটাই ভূমিকা রাখে সেটা বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে যেকোনো সম্পর্কে।
এতক্ষণ তো শুনলেন আমার পুরাতন মেসের গল্প ।এবার নতুন মেসের গল্প শেয়ার করি।আমি এবং আমার রুমমেট দুজনেই একই ডিপার্টমেন্ট এর।আর আমার পাশের রুমের আপু তিনি ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট এর।আমাদের তিনজনের মেন্টালিটি একই রকম।তাই এখানে বোঝাপড়া টাও ভালো । একে অন্যের সাথে মেন্টালিটি ম্যাচ হলে দেখবেন আপনার সবকিছুতেই ভালো লাগবে।কোনো কিছুতেই মেন্টাল প্রেসার লাগবেনা।তাছাড়া আপনার সম পর্যায়ের যারা তাদের সাথে আপনার মেন্টালিটি অনেকটা ম্যাচ করবে।কারণ তারাও একই পথের অভিসারী।এই ২০ দিনে আমাদের খুব একটা আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।গতকাল বেশ ভালো একটি সময় কাটালাম আমরা তিনজন। প্রথমেই আপু বলল আজকে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি রান্না করি। তাই সবাই মিলে আপুকে সাহায্য করলাম আমরা।আমাদের মেনু ছিল,খিচুড়ি,বেগুন ভাজি,আলু ভর্তা, লেবু, শসা ডিম ভাজি।মেসে ওই রাতে এর থেকে বেশি আয়োজন করা সম্ভব ছিলনা তখনি।তাছাড়া আমরা তিনজনেরই বাইরে বা বাজারে যেতে খুব অলসতা কাজ করে । তাই বাসায় থেকেই যা করা যায় তাই করেছি।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দুই ঘণ্টা গানের পর্ব ও ছিল। আমি গান পারিনা এজন্য সবারটা শুনছিলাম।বাংলা হরেক রকমের গান গুলো বেশ এনজয় করছিলাম।সব মিলিয়ে গতকাল সময়টি ভালো কেটেছিল।আপনারা যারা মেসে থাকেন তারা তাদের সময়গুলো এভাবে কাটান কিনা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না বন্ধুরা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | রাজবাড়ী |
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 21st August,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

ঠিক বলেছেন। মেন্টালিটি এক না হলে থাকা মুশকিল। আমি প্রায় আট বছর থেকেছি একটা সার্কেলের সাথে। উনারা সবাই আমার অনেক সিনিয়র ছিল। আমি বন্ধুদের সাথে না থেকে তাদের সাথে থেকেছি কেবল মেন্টালিটির জন্যই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
লেখাপড়া জীবনে মেস লাইফ এর অভিজ্ঞতা সবারই কম বেশি হয়ে থাকে। একদম ঠিক বলেছেন নিজের মেন্টালিটির সাথে মিল না খাইলে সেখানে টিকে থাকা অসম্ভব। যাইহোক, নতুন ম্যাচ লাইফে তিনজনের মেন্টালিটির মিল রয়েছে বলেই সেজন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করা। অনেক ভালো লাগলো আমাদের সাথে সেই মুহূর্তের গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজের সুনাম নিজে করছেন আবার নিজের বদনামটাও নিজে করছেন হাহাহা। মানে নিজেই আবার বাবা মা কে বা পরিবারের সবাইকে গিয়ে বলছেন ছেলে মেয়েদের সব কথা শুনতে হয় না। ব্যাপারটা একদম হাস্যকর লাগলো আমার কাছে। তবে সব সময় যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে হয়তো বা কারো কিছুই বলার থাকে না। যাই হোক আমার কখনো এভাবে পরিবারের বাইরে থাকার সুযোগ হয়নি। তবে আপনারদের এই মুহূর্তটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আর এটা ঠিক বলেছেন আপনার সাথে যার মেন্টালিটি মিলবে তার সাথেই আপনার সময়গুলো ভালো কাটবে। হোক সেটা মেস লাইফ অথবা পার্সোনাল লাইফ।
হাহা আপু বিনোদনের জন্য,ধন্যবাদ।
মেসে থেকে ভালোই এনজয় করেন তাহলে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গানের পর্ব বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন। আর রুমমেটরা একই মেন্টালিটির হলে তো আরো বেশি ভালো হয়। মেস লাইফ এর মজার এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু ঠিক একদম।
আসলেই সেইম মেন্টালিটির মানুষদের সাথে থাকতে কিংবা চলাফেরা করতে খুব ভালো লাগে। জীবনটা তখন অনেকটাই সহজ মনে হয়। যাইহোক নতুন মেসে গিয়ে দুইজন মনের মতো সঙ্গী পেয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তিনজন মিলে মজার মজার খাবার খাওয়ার পাশাপাশি জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন তাহলে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি একদম ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার মেসের অভিজ্ঞতা নেই তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকার অভিজ্ঞতা আছে। হল বা মেস যাই হোক এই জীবনাটা অনেক আনন্দের। এখনো মনে পড়ে হলের বন্ধুদের কথা। কত স্মৃতি-কত ঘটনা। আপনার পোস্ট পড়ে অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম। খুব সুন্দর হয়েছে পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু
মেসে থাকার মুহূর্তে কিছুটা আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর মুহূর্ত ও সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মাঝে তুলে ধরতে দেখে। আসলে প্রয়োজন হলে চেঞ্জ করতে হয় আর পরিবেশ পরিস্থিতি সার্বিক দিকে নিজের নজর থাকা প্রয়োজন আছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আগের পোস্ট যদিও পড়া হয়নি।তবে এখন জানতে পারলাম আপনি মেসে থাকছেন।অনেক মেয়েরাই লেখাপড়ার সুবিধার্তে মেসে থাকেন।প্রথম মেস ছেড়ে এখন দ্বিতীয় নাম্বার মেসে আছেন।মন মানসিকতা একই রকম না হলে মেস কেন কোথাও দুটো মিনিট থাকা যায় না।আমার কখনো মেসে থাকা হয়নি।তবে আপনার অনুভূতি পড়ে বুঝলাম আপনি এখন ভালো আছেন।সবাইকে নিয়ে হাসি-আনন্দে মেতে থাকুন এই কামনাই করি।ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ।
আসলে যাদের সাথে থাকতে হবে বা থাকতে হয়, তাদের সাথে মেন্টালিটি ম্যাচ হওয়াটা খুব ইম্পর্টেন্ট। আমি অবশ্য কখনো মেসে থাকিনি, তাই আমার এরকম কোন অভিজ্ঞতা নেই আপু। তবে আপনি এখন যাদের সাথে আছেন তাদের সাথে আপনার সুসম্পর্ক রয়েছে, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে এইসব জায়গায় পরিবেশ ঠিক থাকাটা অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট। তার সাথে সাথে প্রাইভেসি মেইনটেইন করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
জি ভাইয়া আমারও প্রাইভেসি জরুরি মনে হয় সবজায়গায়।