কিছু স্বস্তির নিউজ, দুঃশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেলো
পরশুদিন যখন আমার বৌমা স্বাগতার মায়ের অসুস্থতার কথা লিখছিলাম তখন যেমন গভীর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তায় মন আমার আচ্ছন্ন হয়েছিল এখন আর ততটা নেই । কারণ, অনেকগুলো ভালো নিউজ পাওয়া গিয়েছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত । তবুও, দুশ্চিন্তা এখনো পুরোপুরিভাবে মুছে যায়নি, কারণ,এখনো উনি হসপিটালে এডমিটেড রয়েছে । যদিও কাল হসপিটাল থেকে রিলিজ করার কথা আছে ।
কাল লিখেছিলাম যে স্বাগতার মায়ের হার্টের মেইন আর্টারিতে ৯৯ শতাংশ ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছে, এটা আসলেই খুবই বিপদজনক একটা পরিস্থিতি ছিল । লাইফ থ্রেটেনিং পর্যায়ে ছিলেন উনি । তাই দ্রুত, angioplasty surgery এর জন্য প্রিপারেশন নেয়া হয় । হসপিটালের ডক্টররা ওটাই সাজেস্ট করেছিলেন । ইনস্ট্যান্ট এনজিপ্লাসটি করানোর ডিসিশনটা আসলেই একদম একুরেট ছিল । করোনারী আর্টারিজ ব্লকড থাকলে যে কোনো সময় কার্ডিয়াক এরেস্ট হতে পারে, তখন জীবন সংশয় হয়ে পড়ে ।
যাই হোক খুব দ্রুততার সাথে বিকেল নাগাদ angioplasty surgery কমপ্লিট করা হয় । অপারেশন শতভাগ সফল হয় । আর তারপর থেকে ক্রমাগত ওনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে । রাতে যখন আমি আবার খোঁজ নিয়েছিলাম তখন জানতে পারলাম এখন খুবই ভালো আছেন উনি । ডক্টররা আর দু'টি দিন মাত্র obsarvation -এ রেখে রিলিজ দিয়ে দেবেন । শুনে মনের মধ্যে কী যে প্রশান্তি অনুভব করেছিলাম তা বলে বোঝাতে পারবো না ।
এখন একটু পরে হসপিটালে যাবো । ভিসিটিং আওয়ার্স মাত্র এক ঘন্টার । এর মধ্যে যেতে না পারলে দেখা করতে পারবো না । আমাদের বাড়ি থেকে এই হসপিটাল একটু দূরে, মিনিট চল্লিশেক টাইম লেগে যায় যেতে । তাই লেখা থামিয়ে এখন স্নান করে রেডি হবো ।
সব মিলিয়ে এখন মনে দুঃশ্চিন্তার বোঝা বেশ কিছুটা হালকা হয়ে গিয়েছে । আপনাদের সবার প্রার্থনা সফলতা পেয়েছে । সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই । সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনাটুকু করবেন ।