শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি - আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার ফটোগ্রাফি।। পর্ব-167

আসসালামু আলাইকুম।। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।।

আজকে আমার লেখা, "শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি" নামক গল্পের 167 তম পর্ব।।

পোশাকি হাসিটা ধরে রেখে সে মুখ রক্ষা করল; এবং স্থির করল, ওর সঙ্গে কোন সম্পর্ক রচনার সে চেষ্টা করবে না। সামান্য একটু পরিচয়ে ও যদি ভেবে থাকে, ও কোন আরাধনার বস্তু হয়ে গেছে তাহলে সে ভীষণ ভুল করেছে। ভুল যে করেছে এটাই আমি তাকে ভাল করে সমঝিয়ে দেব।
আবুল কালাম ভেতরে ভেতরে বেশ চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হলো। আসলে ছেলেটাকে এখনো ভাল করে চেনা হয়নি। এ অবস্থায় বলতে গেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পার্টিতে নিয়ে আসা উচিত হয়নি। প্রথম থেকে কালামের মনে হচ্ছিল, সে বিচ্ছিন্ন থাকছিল, মিশতে পারছিল না। ফ্রি হতে পারছিল না, লাইক এ ফিস আউট অব ওয়াটার। হংস মধ্যে বক যথা।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

প্রকাশ্যে সে ওটাকে আমলই দিল না। হেসে সে উড়িয়ে দিল। বলল, গোড়া থেকে সে আসতে চায়নি। জোর করে ওকে আনা হয়েছিল। জন্মদিনের পার্টি, একটা কিছু সঙ্গে আনা দরকার ছিল, কিন্তু সে হয়তো রেডি ছিল না। পকেটে হয়ত টাকা ছিল না। দ্যাট ইজ ন্যাচারাল। কি বল হাসু?
হাসু বললেন, কিন্তু ও চুপি চুপি আমাকে বলে যেতে পারত। আফটার অল আমি ওর মায়ের মত।
নায়লা বলল, সে জ্ঞান কি ওর আছে বলে তোমার মনে হয়?
শায়লা বলল, ওর কথা প্রথমে শুনে নিস দিদি, তারপর রায় দিস। ওর কিছু
কথা থাকতে পারে।
কথাটা শায়লা ঠিক বলেছে। কারো বক্তব্য না শুনে তাকে দণ্ড প্রদান অসঙ্গত। অবৈধ। কিন্তু প্রথম থেকে শায়লার নাজিমের পক্ষ নিয়ে কথা বলা নায়লা পছন্দ করছে না।

For work I use:

---

মোবাইল	Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার	@uncommonriad
লোকেশন	কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

শায়লার ভাবটা হলো, যদি নায়লা একবার ফেলে দেয়, সে সঙ্গে সঙ্গে ওকে কুড়িয়ে নেবে, এক মুহূর্ত দ্বিধা করবে না। ওখানেই প্রবল আপত্তি নায়লার। শায়লার সবটাতে বাড়াবাড়ি। নায়লা ইতিহাসে এম এ পাস করেছে। শায়লাও তাই করতে পারত। কি দরকার ছিল ইংরেজিতে পড়ার? এখন সে ইংরেজিতে মাস্টার্স করছে এবং ধরাকে সরা জ্ঞান করছে এবং সব কিছুতেই একটা সুপেরিয়রিটির ভাব নায়লা একদম সহ্য করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে ছোট বোনকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে খারাপ লাগে। ভাবেও না। কিন্তু কেমন করে যে দু'জন দু'দিকে অবস্থান নিয়ে ফেলেছে ওরা কেউ টের পায় না।
নায়লা মনে মনে স্থির করে কালকে ওকে বাসায় আসতে বলবে। অথবা কালকে চারটার দিকে অফিসে চলে যাবে। বলবে, মা তাকে যেতে বলেছে। তাকে যেভাবে হোক, ধরে নিয়ে আসবে।
পরদিন নায়লার স্নায়ু অনেকটা প্রশমিত হলো।

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ❤

This is original content by @uncommonriad. Thank you so much to visit my blog. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, love, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much.