বিচক্ষণতার ফল - পর্ব ০২
গত পর্বের পর...
"আজ তার দলবল নিয়ে আমার পাকা ধান নষ্ট করেছে"।
জসিম শুনে বলল, নেতার সাহস অনেক বেড়ে গেছে, এর একটা বিহিত করা দরকার। কিন্তু তার সাথে আমরা ক্ষমতা এবং অর্থ কোনটাই পেয়ে উঠবো না। আমাদের মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হবে। এটি শুনে জসিমের বন্ধু রহিম বলল, কি করবো আমরা বল। ঠিক আছে তুই এখন বাড়িতে যা, সন্ধ্যার পর বাজারে আয়, দেখি দুইজন মিলে কিছু করা যায় কিনা। সাথে মনির কেউ নিয়ে আসিস।
মনের ওদের অন্য আরেকজন বন্ধু, সে উপজেলার ভূমি অফিসের পিয়ন পদে চাকরি করে।
তারপর সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ার পর তিনজন একসাথে একটি চায়ের দোকানে পাশে বসলো। মনিরকে রহিম সব খুলে বললো। সেটাও জানালো যে নেতা জাল দলিল তৈরি করে জমিটি দখল করতে চাই। জসিম তার বন্ধু মনির কে বলল, পরের দিন অফিসে গিয়ে সে যেন তার ভূমি অফিসের প্রধানের সাথে একটু কথা বলে, এবং ওই জমির সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেন সে জোগাড় করে। আর রহিমকে বলে রাখলো তার কাছে যে সকল কাগজ আছে সেগুলোও যেন সে রেডি করে রাখে। জসিমের একজন দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাই আছে যে শহরে ওকালতি করে। এ সকল জমি জমা সম্পর্কে তার ভালো জ্ঞান আছে। সে সকল কাগজপত্র নিয়ে তার সেই ভাইয়ের সাথে দেখা করবে।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
সবকিছু জানা এবং শোনার পর রহিম কিছুটা আশ্বস্ত হল কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারল না। মাথার মধ্যে চিন্তার একটিভার্স নিয়ে তারা বাড়িতে চলে গেল। এর মধ্যে নেতার সাঙ্গপাঙ্গ ব্যাপারটি বুঝতে পারল, এবং নেতাকে গিয়ে বলল তার বিরুদ্ধে তারা তিনজন বন্ধু মিলে কোন একটি চক্রান্ত করছে। নেতা ব্যাপারটিকে স্বভাবতই ভালোভাবে নিল না। সে তার দাড়ি চুলকে কি যেন চিন্তা করল।
চলবে...