রক্তবিন্দুর অভিশাপ - প্রথম পর্ব
রাজকুমারের রহস্যময় জন্ম:-
বারোশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, বঙ্গের বিস্তীর্ণ অরণ্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রাচীন দুর্গ। এই দুর্গটি শাসন করছেন রাজা প্রতাপসিংহ, এক নির্ভীক ও ন্যায়পরায়ণ শাসক। কিন্তু তার জীবন ছিলো এক গভীর দুঃখে পরিপূর্ণ—তার কোনো উত্তরাধিকার ছিলো না। রাজমহলের প্রতিটি কোণে ছিলো প্রার্থনা, যেন রাজা ও রানির কোল আলো করে একটি সন্তান আসে।
অবশেষে সেই শুভক্ষণ এলো। রানি জন্ম দিলেন এক পুত্রসন্তানকে। কিন্তু শিশুটির জন্মের সাথে সাথে দুর্গের আকাশে কালো মেঘ ঘনিয়ে এলো। রাজা প্রতাপসিংহ আনন্দের বদলে অজানা আতঙ্কে ভীত হলেন। কারণ, দুর্গের প্রাচীন পুরোহিত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে রাজবংশের রক্তের মধ্যে এক অভিশাপ বহন করছে, এবং এই সন্তানের জন্মের সাথে সাথে সেই অভিশাপ আবার জেগে উঠবে।
রাজা প্রতাপসিংহ সব কিছু উপেক্ষা করে ছেলের জন্মোৎসবের আয়োজন করলেন। কিন্তু এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। প্রতিটি আয়োজনের সময় দুর্গের মধ্যে অদৃশ্য ছায়া দেখা দিতে লাগলো। প্রাসাদের ভেতরে আয়নার সামনে দাঁড়ালে কারও কারও মুখে অদ্ভুত চিহ্ন দেখা যায়, যেন তাদের মুখের অর্ধেক অন্ধকারে ঢাকা পড়ে আছে।
দুর্গের পুরোহিত রাজা প্রতাপসিংহকে সতর্ক করলেন, এই শিশু শুধুই রক্তের উত্তরাধিকার নয়, বরং সে বহন করছে একটি অভিশাপ যা প্রাচীনকালে শুরু হয়েছিল। পুরোহিত জানালেন, এই শিশুটি বড় হয়ে যদি সিংহাসনে বসে, তাহলে গোটা রাজ্য এক মহা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। রাজা প্রতাপসিংহ এক মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি তার সন্তানকে দুর্গের বাইরে, অজানা এক স্থানে পাঠিয়ে দিলেন, যেন সে কখনোই সিংহাসনে না বসে।
কিন্তু প্রতাপসিংহ জানতেন না, অভিশাপকে এভাবে দূরে রাখা সম্ভব নয়। রাজপুত্রের জন্মের সাথে সাথে যে অশুভ শক্তি জেগে উঠেছে, তা ধীরে ধীরে দুর্গের দেয়াল ছাড়িয়ে গোটা রাজ্যকে গ্রাস করতে শুরু করেছে।
_______ ------------------- _______ ----------------- _______
This is original content by @rimion.
Follow me please and want more posts about novels, stories, poetry, technology, travel, photography, events, motivational talks, etc.
Please upvote, comment, and resteem my post.
Thank you very much for taking the time to read the episode of the novel.
_______ ------------------- _______ ----------------- _______
এটি @rimion এর মূল লেখক।
আমাকে অনুসরণ করুন এবং উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, ফটোগ্রাফি, ঘটনা, অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ইত্যাদি সম্পর্কে আরও পোস্ট নিয়মিত পাবেন।
পোস্টের আপনার মতামত প্রদান করুন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you so much. @steem.history.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.