এিকোণ প্রেমের গল্প 💔
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সামনে বাস্তব একটি ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি আমার আশেপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো গল্প আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজকে তেমনি একটি ঘটনাটি কোন প্রেমের গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। প্রেম ভালোবাসা মনের অজান্তেই জীবনে আসে। আর আমরা যাকে পছন্দ করি বা মন থেকে ভালবাসি অনেক সময় সে আবার অন্য কাউকে মন দিয়ে বসে। তেমনি একটি ঘটনা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আশা করছি ভাল লাগবে।
রুমি এবং সুমি সম্পর্কে চাচাতো বোন। তারা দুজনেই ছোটবেলা থেকে একই সাথে পড়াশোনা করেছে এবং তাদের কোন আলাদা বন্ধু নেই। তারা দুজনে খুবই ভালো বন্ধু। একসাথে খাওয়া দাওয়া, ঘোরাফেরা, একসঙ্গে স্কুল যাওয়া সব কিছুই তাদের একসঙ্গে। তাদের দেখলে মনে হতো না তারা চাচাতো বোন সবাই ভাবতো তারা আপন দুই বোন কিংবা বান্ধবী। যাইহোক তাদের সঙ্গে একই ক্লাসে পড়াশোনা করে নবীন নামের এক ছেলে। রুমী এবং সুমির সাথে নবীনেরও বেশ ভালো সম্পর্ক।
নবীন রুমিকে পছন্দ করে। তাই সব সময় রুমের সাথে কথা বলতে একটু লজ্জা করে সুমির সঙ্গে বেশি কথাবার্তা বলত এদিকে শুনে মনে করে নবীন তাকে হয়তো পছন্দ করে।এই ভেবে সুমি মনে মনে নবীনকে ভালবাসতে শুরু করে। যাইহোক এভাবেই হাসি খুশিতে বেশ চলছিল। হঠাৎ একদিন সুমি দেখতে পেল রুমি এবং নবীন আলাদা বসে গল্প করছে। প্রথমে সুমি খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটা নিয়েছিল। কিন্তু দিন দিন নবিন এবং রুমি আরো ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। আর ঠিক তখন সুমির আর বুঝতে বাকি থাকে না যে তারা একে অপরকে ভালোবাসে।
সুমি খুবই কষ্ট পেয়েছিল কিন্তু রুমিকে সে কখনোই সেটা বুঝতে দেয়নি। কারণ রুমি তার খুবই কাছের। একটা সময় গিয়ে রুমি এবং রবিনের বিয়ে হয়।সুমির কষ্ট তখন আরো বাড়তে থাকে।সুমির ইচ্ছে ছিল জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিকে নবিন এবং রুমিকে সাথে দেখলে তার খুবই কষ্ট হয়। তখন সে বাসায় বলে সে পড়াশোনার জন্য শহরে থাকতে চায়।কিন্তু বাসার সবাই চায় রুমির যেহেতু বিয়ে হয়েছে সুমিকেও বিয়ে দিতে। এদিকে সুমি ঠিক করেছে কখনো সে বিয়ে করবে না সে মনে মনে নবিনকেই ভালোবেসে যাবে।যাইহোক সুমি পড়াশোনার জন্য শহরে যায়।এদিকে রুমি নবিন সুখে সংসার করছে।
সত্যিকারের ভালোবাসা এমনই। ভালোবাসার মানুষকে কাছে না পেয়েও নিঃস্বার্থ ভাবে সারাজীবন ভালবাসা যায়।তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রুমি সুমি এবং নবীন ভাইয়ার গল্পটি বেশ চমৎকার ছিল তবে মাঝেমধ্যে একটু কষ্টের ছায়া লুকিয়ে ছিল। যাইহোক এ ধরনের প্রেমের স্টোরি শুনতে সত্যি অনেক ভালো লাগে, দোয়া করি তারা যেন সুস্থ থাকে ভালো থাকে এবং সুন্দরভাবে সংসার করতে পারে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এমন সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু ভালোবাসা এমনি হয়। আর ভালোবাসা পাওয়ার আশা সবাই করে কিন্তু সবাই পায় না।অনেকে না পাওয়া ভালোবাসাকে নিয়ে বেঁচে থাকে আজীবন। যাইহোক সুমির ভালোবাসা ভুল ছিল। আর রুমি আর নবিন সুখে আছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে কাছে না পেলেও দূরে থেকেও সারা জীবন ভালোবাসা যায়। এই গল্প টা তারই প্রমাণ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। রুমিও সুমি খুব ভালো বান্ধবী কিন্তুু ভালোবাসে দুজনেই নবীন কে।রুমি কে ভালোবাসে রবিন দুজনার বিয়ে হয়ে যায় ও সুমি খুব কষ্ট পায় আর কষ্ট থেকে নিজেকে শহরে নিয়ে গিয়ে পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বাসনায় মগ্ন।আসলে এরকম ঘটনা অনেক আছে। সত্যিকারের ভালোবাসা এমনি হয়।বেশ ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।ধন্যবাদ সুন্দর গল্পটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
গল্পটি পড়ে গুছিয়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাপরে বাপ, এটা তো দেখছি খুবই কমপ্লেক্স প্রকৃতির প্রেমের গল্প! এই গল্পে নবীন রুমিকে পছন্দ করে, আবার সুমি নবীন কে পছন্দ করে। তবে এই প্রেমে সুমির কনসিডার টা কিন্তু অনেকটাই কষ্টের। এভাবে ভালোবাসার মানুষকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
এইটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালোবাসার মানুষকে সবাই অন্যের হাতে তুলে দিতে পারে না।যেটা সুমি পেরেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
স্যাক্রিফাইস করার দিক থেকে সুমি অনেক মহৎ, এটা তো বলতেই হবে আপু।