শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ১৮

in #story6 days ago
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.

আমি তখন ক্লাস ফাইভ-সিক্সে। সন্ধ্যার পর আম্মি বাপ্পার সাথে কোথায় যেন গিয়েছিলাম। বাজার টাইপ এলাকাটা। এত ক্লিয়ারলি মনে নেই এখন। বাপ্পা আমাদের গাড়িতে বসিয়ে কোনো কাজে বের হয়েছিলেন। একটু পরেই আবার এসে গাড়ির বাইরে থেকেই আম্মিকে কোনো কাগজ দিতে বললেন। আম্মি কাগজটা বাপ্পার হাতে দেওয়ার সময় হঠাৎ বাপ্পা কিছুটা রেগে বলে উঠলেন, ‘নিকাব কোথায় তোমার?'
আম্মি হকচকিয়ে বললেন, ‘আছে তো!’

IMG_7513.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

‘তোমাকে বলিনি।' বলে বাপ্পা আমার দিকে ইশারা করে বললেন, ‘ওর নিকাব কোথায়?’
তখন থেকেই আমার নিকাব পরা শুরু, আর বোরকা ঠিক কোন বয়স থেকে শুরু করেছিলাম মনে পড়ে না ৷
অবাক হচ্ছেন? নাহ, অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার ছোটবেলাটা কেঁটেছিল সৌদি আরবে। এখন সৌদির অবস্থা কেমন তা মুখে আনতেও লজ্জা লাগে। কিন্তু তখন সৌদি এমন ছিল না। শরিয়াহ আইনের ব্যাপারে সৌদি তখন খুবই কঠোর ছিল। পর্দা ছাড়া মহিলাদের রাস্তায় বের হওয়াটা ছিল একেবারেই কল্পনাতীত ব্যাপার। ‘তাই বলে ক্লাস ফাইভ-সিক্স?'

এই কথাটাই মনে এল তো? যেখানে আশপাশে সবাই বোরকা নিকাব করে চলছে, সেখানে ২/৪ বছরের বাচ্চা মেয়েরাও শখ করেই বোরকা পরে। বাপ্পা রেগে এই কথাটা বলার আগে থেকে আমিই আম্মিকে একটা নিকাব কিনে দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করছিলাম। আমার ফ্রেন্ডরা–মাহদিয়া, মুশফিকা সবাই নিকাব পরে, শুধু আমি ছাড়া। ভালো লাগে এসব! তাই বাপ্পা যখন কিছুটা রেগে আমার নিকাব কোথায় বলেছিলেন, তখন খুশিতে আমার মনটা লাফিয়ে উঠেছিল। এই তো এবার তো বাপ্পা বলেছে। এবার তো আমাকে নিকাব কিনে দিতেই হবে।

আমার গল্পটা এখানে শেষ হয়ে গেলেই খুব সুন্দর হতো! কিন্তু তা আর হলো না... হয়, তাই ছুটে। জীবন নদীর ন্যায় বয়ে চলে। কত বাঁক, কত যে ঘাত প্রতিঘাত; তবু ছুটে চলে। ছুটতে

যাক, তো ক্লাস সিক্স থেকেই আমার নিকাব পরা শুরু। সময়ের টানে একটা সময় এসএসসি পর্যন্ত পাঠ চুকিয়ে নিলাম। আম্মি আর বাপ্পার সিদ্ধান্তে কলেজ লাইফ শুরু করলাম বাংলাদেশে। বলে নেওয়া ভালো, সেই যে ছোট্টবেলায় ছোট্ট হাতে আম্মির হাতটা ধরে সৌদি পাড়ি দিয়েছিলাম, সেই তখন থেকে এতগুলো বছরে আমার একবারের জন্যও বাংলাদেশে আসা হয়নি। তবে আম্মির মুখে সব সময়ই বাংলাদেশের গল্প শুনতাম। শুনতে শুনতে এই দেশটাকে স্বপ্নপুরি থেকে কম কিছু মনে হতো না। তাই যখন এ দেশে আমাকে পাঠানো হবে সিন্ধান্ত হলো, তখন আমি মোটেই দ্বিধা করিনি। আম্মি বাপ্পাকে ছাড়া, একা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতে হবে। তাতেও আমি রাজি।

২০১০ এর অগাস্ট মাসের ১৫ তারিখ। তখন রমাদান মাস চলছিল। আমি আর বাপ্পা দেশে আসি। আম্মি আসেনি। আমার সারা জীবনে এই প্রথম আমি আমার মাকে ছাড়া থাকতে যাচ্ছি। তাও অন্য কোনো দেশে। এয়ারপোর্টে আমাকে বিদায় দিতে এসে আম্মি খুব কাঁদছিলেন। আর আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করছিলাম, 'তুমি কাঁদছ কেন? আমি তো বাংলাদেশে যাচ্ছি।'

পরে অবশ্য সেই রাতে ঘুমোতে গিয়ে আম্মিকে কল দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম, আমি ও আম্মি। কী অদ্ভুত! লিখতে লিখতেও চোখ ভিজে উঠল। যাক, যা বলছিলাম; তো বাপ্পা আমাকে হোস্টেলে উঠিয়ে দিয়েই সৌদি ফেরত গেল। আর আমি শুরু করে দিলাম আমার জীবনযুদ্ধ। বেঁচে থাকার সংগ্রাম। টিকে থাকার লড়াই। এভাবে কেন বলছি? কারণ, যেহেতু আমি পুরো ছোটবেলাটাই দেশের বাইরে কাটিয়েছি, তাই দেশের আত্মীয়রা সবাই আমার কাছে খুব অপরিচিত। আর আমি খুবই মুখচোরা লাজুক স্বভাবের মানুষ ছিলাম। তাই এভাবে সার্ভাইভ করাটা আমার জন্য খবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।

আর তার সাথে যোগ হতে লাগল খুব অন্য রকম সমস্যা। পর্দার সমস্যা। সৌদিতে বাসায় কেউ এলে আমরা ভেতরেই থাকতাম। কিন্তু এ দেশে দেখি নিজের বেডরুমেও শান্তিতে একটু শোয়ার উপায় নেই। হুটহাট কে না কে (আত্মীয়রা সবাই তখন আমার অপরিচিত ছিল) রুমে চলে আসছে। নক করে আসার বালাই নেই এখানে।

IMG_7520.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

একবার দুপুরের দিকে আমি দাদুর রুমে শুয়ে আছি। এমন সময় হুট করে কোন একটা লোক রুমে ঢুকে ড্যাবড্যাব করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। যে আমি ক্লাস সিক্স থেকে নিকাব করি, সেই আমি ওড়না ছাড়া হঠাৎ একটা লোকের সামনে।

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.230129674139798 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63026.81
ETH 3462.43
USDT 1.00
SBD 2.51