গভীর রাতের ছায়া [এক আজব গল্প ] ৪নং পাঠ
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আসেন।
আগের পাঠ এর শেষ থেকে চলমান---
।
।
রনি এর তরোয়াল লাল হওয়ার পেছনের কারণ জানতে হলে আমাদের কয়মাস পেছনে যেতে হবে যখন রনি ওই প্রাচীন বইটি খুঁজে পাই।রনি সেই বই থেকেই এই নগরের কথা জানতে পারে।
।
রনি এর দাদা খুবই অসুস্থ। তার হাতে বেশি সময় নেই। সে রনিকে তার ঘরে ডাকে এবং তাকে একটি বই এবং একটি নীল হিরা দিয়ে তাকে বইটি পড়তে বলে। এবং হিরাটি তার সাথে রাখতে বলে। রনি বইটি পড়ার জন্য খুলে কিন্ত কিছু দেখতে পাই না কোন লেখা নেই বইটিতে।।
।
তার দাদা তখন তাকে বলে এই বইতে শুধুমাত্র একটি সঠিক দিনে সঠিক সময়ে ১ ঘণ্টার জন্য লেখাগুলো দেখা যাবে আর তা হবে আজ থেকে ৮ মাস পরে। আমি ততদিনে আর নেই তাই তোকে বইটি দিয়ে দিলাম এবং তুই বইটি কখন পড়তে পারবি তা তোকে কানে কানে বলে দিচ্ছি। তার দাদা এর কিছুদিন পরেই মারা যায়। কিন্তু সে রনিকে কিছু গোপন কথা বলে যায় যা আমরা শুনতে পারি না আপাতত।
।
রনি সেই দিন সেই সময়ে বইটি খুলে এবং দেখতে পাই আসলেই বইয়ে লেখা দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো জলজল করছে। সেখানে রনি মোট ৩ টি ধাপ দেখতে পাই যা পার করে সে আলকানগরে যেতে পারবে। তারই মধ্যে প্রথম ধাপ ছিলো এটি যেখানে বলা ছিলো সকল খোপের মধ্যে যে সবার আগে শেষ এর খোপে গিয়ে দারাবে তাকেই শুধু সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হবে। এখন কথা হলো কিসের সিদ্ধান্ত। তা যানার জন্য আমাদের এখনকার সময়ে ফেরত আসতে হবে
।
ভাল্লুক রনিকে বলে, তোমার চালচলন দেখে মনে হচ্ছে তোমাকে কি করতে হবে তা তুমি আগে থেকে যানো তাই আমি আর কিছু বলছি না নিজের কাজ করো। রনি তখন তুহিনকে তার সামনে আসতে বলে। তুহিন হলো তাদের ৭ জনের মধ্যে একজন এবং এখানে একটা কথা জেনে রাখতে হবে তাদের ৭ জনের মধ্যে ৬ জনেরই কোন না কোন কারণ অথবা চাহিদা আছে এখানে আসার একমাত্র তুহিন বাদে। তুহিন একটু ফালতু ধরনের একজন। সারাক্ষণ মদ নিয়ে থাকে না করে পড়াশোনা না করে কোন কাজ। সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আর সবার উপর দাদাগিরি করে, এককথায় মাসতানের মতো।
।
তুহিনকে আনার কারো ইচ্ছা ছিলো না, কিন্তু সবাই যখন এই বিষয়ে কথা বলছিলো কলেজ মাঠে বসে তুহিন তখন গাছের পেছন থেকে সকল কথা শুনে ফেলে এবং সবাইকে জোর করে সে এখানে আসে। বান্দা বিশ্বাস করেনা এসব কিছু শুধু মজা নিতে আসে তাদের সাথে। কিন্ত এই ভাল্লুক ও তার আজব সব জাদু দেখে তুহিনের এখন সব সত্যি মনে হচ্ছে।
।
রনির ডাক শুনে সে রনির দিকে যাচ্ছে এবং মনে মনে ভাবছে যদি সে ওই পাথরটি পাই তাহলে সে পাথরটির কাছে মদ, টাকা পয়শা, হিরা চাইবে, বলবে তাকে বড়লোক করে দিতে যাতে সে সবসময় মাসতি করতে পারে। তুহিন রনির সামনে গিয়ে দারাই। রনি তুহিনকে বলে ভাই আমাদের এখান থেকে যাওয়ার জন্য তোর সাহায্যের দরকার তুই কি করবি। তুহিন তো আগে থেকেই লোভ করতেছে সে বলে অবশ্যই বল আমি কিভাবে তোদের সাহায্য করতে পারি।
।
রনি সাথে সাথে দ্রুত গতিতে চোখের পলকে তার গলা আলাদা করে দেই শরীর থেকে🗿। সেখানকার সবাই পাথরের মতো জমে যায় এটা দেখে। তুহিনের শরীর মাটিতে পরে যায় মাথা আলাদা সহ। রনি সেদিকে যেতে থাকে
।
।
।
[ আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম। আগামী পাঠ তারাতারি আসবে। সবাই সুস্থ থাকবেন ]