একটা গ্রামে ছিল এক কৃষক
একটা ছোট্ট গ্রামে ছিল এক কৃষক। তার নাম ছিল রাহুল। রাহুল ছিল খুব পরিশ্রমী, কিন্তু তার জীবনে কোন বড় স্বপ্ন ছিল না। সে শুধুমাত্র তার ছোট্ট জমিতে ফসল ফলিয়ে পরিবারকে অল্প কিছু সুখ দেয়ার চেষ্টা করতো। প্রতিদিন সকালে উঠে, হালচাষ, বীজ বোনা, ফসল তোলা, এই ছিল তার দিনরাত্রির কাজ। কিন্তু একদিন তার জীবনে ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা।
এক সকালে রাহুল যখন মাঠে কাজ করছিল, হঠাৎ তার সামনে একটি ছোট পাখি এসে পড়ল। পাখিটি ছিল অসুস্থ, অর্ধেকটা পালক হারিয়ে ফেলেছিল এবং খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। রাহুল পাখিটিকে দেখে মায়ায় ভরে গেল। সে পাখিটিকে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে এল এবং যত্নসহকারে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করল।
দিনের পর দিন রাহুল পাখিটির যত্ন নিতে থাকল। সে পাখিটিকে জল, খাবার দিতে থাকল এবং তার ছোট্ট ঘরে উড়িয়ে না পাঠিয়ে, সে তাকে এক জায়গায় রেখে দিত। ধীরে ধীরে পাখিটি সুস্থ হয়ে উঠল। একদিন, পাখিটি তার পাখা ঝাপটিয়ে উড়তে শুরু করল। রাহুল খুব খুশি হয়ে তাকে ছেড়ে দিল। কিন্তু পাখি উড়াল দেওয়ার আগে রাহুলের কাছে এসে একবার ফিরে তাকাল এবং যেন ধন্যবাদ জানালো।
এর পর থেকেই রাহুলের জীবনে এক অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটল। সে অনুভব করতে লাগল যে, সত্যিকারের সুখ মানুষের নিজের ভালোবাসা ও সহানুভূতির মধ্যে লুকানো থাকে। প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রম ও দুঃখ-কষ্টকে পেছনে ফেলে, রাহুল তার জীবনে নতুন ভাবে আগাতে শুরু করল।
এটি ছিল তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা—সাহায্য করার মাধ্যমে, শুধু অন্যদেরই নয়, নিজের জীবনও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।