টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - গ্রাউন্ডেড ( পর্ব ২-সিজন ২)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বের নাম হলো "গ্রাউন্ডেড"। গত পর্বে শেষে দেখা গিয়েছিলো যে জোশকে ড্যারিল এর লোকজন তুলে নিয়ে গেছিলো। আজকের দ্বিতীয় পর্বে দেখা যাক কাহিনী কি হয়।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
☬মূল কাহিনী:☬
এখানে কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় ড্যারিল জোশকে তার বেঁচে ফিরে আসার কাহিনীটা বলে। ব্লাস্ট হওয়ার পরে মেলিসা জোশ আর জ্যাককে তো গাড়িতে করে পাঠিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু পরে কি হয়েছিল সেটা সে জানতো না। ড্যারিল ওই দুর্ঘটনায় আহত হলেও সে জীবিত ছিল এবং তাকে মেলিসা হসপিটালে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। এরপরে ড্যারিল সুস্থ হওয়ার পরে হাসপাতাল থেকে না বলে চলে যায়। যাইহোক এখন ড্যারিলকে দেখার পরে জোশ মেলিসাকে ফোন করে এবং সেখানে আসতে বলে। এরপর তারা আগের মতো সেই কেসের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে লাগে এবং মেজর এর কি প্ল্যান আছে সেইটা নিয়েও ভাবতে থাকে কিন্তু মেজরের কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়ার পরে তার আর কোনো পাত্তা এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে জ্যাক মেলিসার সাথে জেড ধরে যে সে জেক এর সাথে কথা বলতে চায় আর এই যে তারা মাঝে মধ্যে আবার ঘন ঘন শব্দ শুনতে পাচ্ছে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় অর্থাৎ সবাই মোটামুটি একজন আরেকজনের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে রীতিমতো একটা কথোপকথন চলতেই আছে। যাইহোক এরপর দেখা যায় এথেনা আর জোশ ডক্টরের কাছে আসে আর তার হয়তো কোনো কারণে ব্লাড নিচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎ এথেনা সেখান থেকে বেরিয়ে চলে আসে ব্লাড না দিয়ে এবং চেকাপ না করিয়ে।
এথেনা আর জোশ পরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে আসে এবং এথেনাকে রেস্ট করতে রেখে বেরিয়ে যায় জোশ। 'TJ' নামক একটা লোক জোশের ফোনে মেসেজ দিয়ে একটা জায়গায় আসতে বলে এবং জোশ সেখানে চলে যায়। লোকটি ওই স্থানে একজন মৃত মহিলার দেহ দেখতে পায় যেটা হাফ মাটি দিয়ে ঢাকা ছিল আর সেইটা জোশকে দেখায়। তারা দুইজন দেখে অনেকটা ঘাবড়িয়ে যায় এবং পরে জোশ রামিরেজকে ফোন করে আর পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছিয়ে যায়। এরপর মৃত দেহটিকে তারা সেখান থেকে তুলে গাড়িতে রাখে কিন্তু কার মৃত দেহ সেইটা শনাক্ত করতে পারিনি কারণ তার কাছে কোনো আইডি ছিল না। তবে দেখে আমার যেটা মনে হলো কেউ খুন করেছে। যাইহোক এরপর রামিরেজ 'TJ' লোকটির কাছে যায় আর পুলিশের যে কাজ সন্দেহ করার মতো তাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখে। এরপর সেখান থেকে চলে যায় জোশ এবং বাড়িতে গিয়ে পারভীনকে ফোন করে তার কাছে এথেনাকে নিয়ে যায় আর পারভীনকে বলে তার ব্লাডটা নিতে। এদিকে জেককে কোর্টে হাজির করে আর সেখানে মেলিসা আর জেকের মাও আসে। জেকের সাথে তার মা কথা বলতে চায় কিন্তু জেক কথা বলতে চায় না। কোর্টে হাজির করার পরে জজ জেককে তার পক্ষে হতে সাফাই দিতে বলে কিন্তু জেক এখানে নিজে কোনো অপরাধ না করেও সমস্ত ভুল স্বীকার করে নেয়, সেখানে মেলিসা জজ এর সামনে আওয়াজ তুললে তাকে বাইরে বের করে দেয়।
জেক সবকিছু স্বীকার করে নিলে তাকে দোষী করে সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে রামিরেজ পরে 'TJ' লোকটিকে ধরে থানায় নিয়ে গেলে জোশও সাথে চলে যায় এবং তার হাতের ছাপ ফরেনসিক ল্যাবে টেস্ট করার জন্য পাঠায়। জোশ আর 'TJ' লোকটি অনেক্ষন ধরে থানায় বসে থাকে এবং রামিরেজ রিপোর্ট নিয়ে আসলে সেখানে দেখায় তার আঙুলের ছাপের সাথে ম্যাচ করে গেছে। আর এই রিপোর্ট এর ভিত্তিতে রামিরেজ তাকে গ্রেফতার করে নেয়, জোশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু রামিরেজ কারো কোনো কথা শোনে না। ঘন্টার পর ঘন্টা 'TJ' লোকটিকে ইনভেস্টিগেশন করেই যাচ্ছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে মেলিসা, জ্যাক, জেক এর মধ্যে কেমন যেন কম্পন শুরু হয়ে যায় আর তারা সবকিছু কাঁপছে এইটা দেখতে পেলেও তাদের আশেপাশে বাকিরা কেউ তা দেখতে পাইনি। এরপর জেলের ভিতরেও জেক অদ্ভুত আচরণ করতে লাগে আর তাকে অন্য সেলে নিয়ে যায়। এরপর জ্যাক বাড়িতেও এই ঘটনার পরে তার বোনকে গিয়ে মেলিসার কথা জিজ্ঞাসা করলে থানায় আছে বলে আর জ্যাক সেখানে যেতে চায় কারণ জরুরি কিছু বিষয় মেলিসার সাথে বলতে চায়।
জ্যাক এর বোন তার কাছে সমস্যাটা শুনতে চায় কিন্তু জ্যাক বলতে চায় না কারণ সে বুঝবে না আর এই কথা বলতেই তার বোন রাগ করে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে জোশ থানায় বসে আছে আর 'TJ' এর ইনভেস্টিগেশন চলতে চলতে মেলিসা আর একজন অফিসার একটা ক্যাম্পাস এ চলে যায় আর সেখানে একজন ক্যাম্পাস সিকিউরিটির সাথে কথা বলে কোনো কেসের বিষয়ে আর এমনিতেও ওই সিকিউরিটিকে প্রথমেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছিলো। এরপর খুনের বিষয়ে প্রশ্ন করে যেগুলো ঠিকমতো দিতে পারছিলো না আর এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছিলো এবং শেষে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু অন্য আরেকজন অফিসার গেটেই দাঁড়িয়ে ছিল ফলে সে আর সেখান থেকে পালতে পারিনি। এরপর মেলিসা তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় আর পরে 'TJ' কে ছেড়ে দেয়। জোশ আর 'TJ' সেখান থেকে চলে যায় এবং একটা আর্ট এর ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় যেখানে 'TJ' এর সমস্ত স্মৃতি রাখা আছে কারণ 'TJ' লোকটিও প্লেনের যাত্রী ছিল ফলে সে ফিরে আসতে আসতে তার পরিবারের সবাইকে হারায়। এরপর মেলিসা বাড়িতে আসার পরে সেখানে জেককে নিয়ে কিছু লিখতে যাচ্ছিলো এবং তখনি আবার তাদের মধ্যে কেমন যেন কম্পন শুরু হলো, এখানে জেক, মেলিসা আর জ্যাক এর বেশি যোগসূত্র রয়েছে যেটা মনে হচ্ছে।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
আজকের পর্বটিতে দেখা গেলো জেকের নিরাপরাধ না অপরাধী সেই বিষয়টা, যেহেতু এখানে জেক নিজেই সবকিছু নিজের থেকে ইচ্ছা করে দোষগুলো সব নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়েছে সেহেতু এখানে কেসটা ক্লোস হয়ে যায় আর তাকে সেন্টরাল জেলে পাঠিয়ে দেয় কিন্তু কতদিনের জন্য সেটা এখনো জানা যায়নি। আর এখানে 'TJ' লোকটির বিষয়ও চলে আসলো, সে একজনের মৃতদেহ দেখেছে এবং সে সম্ভবত মৃতদেহটির কোনো অংশ স্পর্শ করেছিল না হলে তার আঙুলের ছাপ ম্যাচ করতো না। যাইহোক তাকে গ্রেফতার করলেও পরে কোনো অন্য প্রমান না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় আর মূল অপরাধীকে তো মেলিসা ধরেই নিয়ে এসেছিলো। এরপর এখানে প্রথমে দেখা গিয়েছিলো এথেনা ব্লাড দেওয়ার সময় হুট্ করে চলে এসেছিলো বাইরে, এখানে তার যখন ব্লাড নিতে যাচ্ছিলো তখন তার মনের ভিতর থেকেই শব্দ শুনতে পাচ্ছিলো এবং তাকে বার বার যেন বলছিলো 'স্টপ স্টপ'। এরপর এথেনা একটু অবাক হয় যে আমি তো প্লেনের ভিতরে ছিলাম না তাহলে এই শব্দ আমি শুনতে পেলাম কেন। আর এথেনা আর জোশ একটু কনফিউশনেও ছিল যে বেবিটা কার ছিল কারণ এথেনা যেহেতু প্রথম দিকে অন্য একজনের সাথে রিলেশনে জড়িয়ে পড়েছিল তবে এখানে জোশ এ বিষয় নিয়ে কোনকিছু মনে করিনি। তবে এই শব্দ শোনার পরে এথেনার মনে হয়েছিল যে বেবির বাবা জোশই কিন্তু সেটা সিউর না, মনের আন্দাজে ভেবেছিলো।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৭/১০
☬সিজন ২ এর ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
দাদা আজকের পর্বটি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এখানে জেক নিজে স্বীকার করেছে সে অপরাধী, যার কারণে সে জেলে যায়। এবং Tj লোকটি কোন দোষ করেনি, তারপর তার আঙ্গুলের ছাপ হয়তো লেগেছিল যার কারণে তাকে জেলে পাঠানো হয় এবং আর কোন প্রমাণ না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এদিকে এথেনার মনে করেছিল বেবির বাবা জোশ। যাইহোক আজকের পর্বটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
টিভি সিরিজ রিভিউ এর এবারের পর্বটি পড়ে আরো নতুন কিছু জানতে পারলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম জোশকে ড্যারিল এর লোকজন তুলে গিয়েছে। এবারের পর্বে আরো অনেক কিছু সামনে চলে আসলো। অন্যদিকে জ্যাক নিজের ঘাড়ে অপরাধ নিয়েছে এবং নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। এজন্য তাকে জেলে যেতে হয়েছে। অন্যদিকে আরও নতুন নতুন চরিত্রের আগমন হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এই প্লেনে যারা ছিল তারা ধীরে ধীরে সবাই কানেক্টেড হচ্ছে। যার ফলে এই টিভি সিরিজের প্রত্যেকটি পর্বে নতুন কিছু আসছে। দেখা যাক নতুন পর্বগুলোতে আরো কোন তথ্য সামনে আসছে। পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
পর্ব ২তে আমার কাছে সব থেকে ভাল লেগেছে এথেনার অভিনয় গুলো। মনে মনে একটু হাসিঁও পেয়েছিল। ধন্যবাদ।
জেক নিজের অপরাধবোধ থেকে সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে জেলে চলে গেল। এখন দেখার বিষয় যে জেক কিভাবে মুক্তি পায়। তাছাড়া আজকের পর্বে নতুন আরেকজনকে পাওয়া গেল । এই Tj লোকটা ওই একই ফ্লাইটের যাত্রী ছিল। আস্তে আস্তে দেখা যাচ্ছে যে ওই ফ্লাইটের সকল যাত্রীদের মধ্যে একটি যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। প্রথমে লোকটিকে খুনি ভাবলেও পড়ে আসল খুনি ধরা পরায় Tj লোকটি ছাড়া পেয়ে গেল। এদিকে এথেনা ওই ফ্লাইটের যাত্রী না হয়েও এখন ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের মতো সবকিছু অনুভব করতে পারছে। সেটা হয়তো তার বাচ্চার জন্যই হচ্ছে। আজকের পর্ব টা বেশ সহজ সরল মনে হলো আমার কাছে। প্রতিদিনের পর্ব খুব জটিল লাগে। আজকের পর্ব টা খুব ভালো লেগেছে।
দাদা এই পর্বে দেখছি Tj লোকটি যে মৃতদেহটি স্পর্শ করেছিল তার এই কারণে তার হাতের চাপ ম্যাচ করেছিল। তবে অবশ্য এই দিকটি ভালো লেগেছে শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করা হয়েছে যে আসল হত্যাকারী কে। মেলিসা আসল হত্যাকারীকে ধরে নিয়ে আসার কারণে ই লোকটি বেঁচে গিয়েছে।দাদা বেবেটির বাবা জোশ কিনা এই সন্দেহটা রয়েই গেল।যাই হোক দাদা ঘটনা সবগুলো যেন আধো আধো জায়গায় আটকে রইলো।পরবর্তী পর্বে বুঝা যাবে।
আগের পর্বে দেখেছিলাম ড্যারিল মারা যায়নি।এই পর্বে TJ' নামক লোকটি নতুন উদয় হয়েছে।আমার বেশি রহস্য মনে হয়েছে জেক দোষ না করে ও কেন নিজের কাঁধে সব দোষ চাপিয়ে নিল?আর জেক,মেলিসা আর জ্যাক কম্পন দেখতে পেলেও বাকি মানুষ কেন দেখতে পাচ্ছিল না?তাছাড়া ফরেনসিক রিপোর্টে TJ' নামক লোকটির আঙুলের ছাপের সাথে ম্যাচ হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতার করে ও কেন তাকে ছেড়ে দেয়!সবকিছু রহস্যময় লাগছে।পরের পর্বে নিশ্চয়ই জানা যাবে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন, বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল পর্বটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকের পর্বটি আমার কাছে বেশি গোলমেলে মনে হয়নি, ভালোই ছিল গ্রাউন্ডেড পর্ব। জ্যাক বেচারা নিজের কাঁধে সমস্ত দোষ নিয়ে জেলে চলে গেছে। আবার TJ নামক আরেক ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। সে মৃতদেহ কোনভাবে স্পর্শ করে এই ঝামেলার মধ্যে ফেসে যায়। যাক শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যায় লোকটা। এদিকে এথেনা প্লেনের যাত্রি না হয়েও অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায়, এখানে তাকে স্টপ স্টপ বলা হচ্ছে। বেশ অদ্ভুত লেগেছে পুরো ব্যাপারটা।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
দাদা আজকের রিভিউটি আপনি অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ড্যারিল জোস, ম্যালিসা জোসআর জ্যাক এর ক্যারেক্টার আমার বেশ ভাল লেগেছে।