টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - টার্বুলেন্স( পর্ব ৩-সিজন ১)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির তৃতীয় পর্বের রিভিউ শেয়ার করে নেবো আপনাদের সাথে। আজকের তৃতীয় পর্বের নাম হলো "টার্বুলেন্স"। এর বাংলায় যেটাকে একপ্রকার বলা যায় হাঙ্গামা টাইপ এর। গত পর্বের কাহিনীতে দেখা গিয়েছিলো নিজেদের পরিচিত মানুষদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল সেটা মোটামুটি ঠিক করে নিয়েছিল। যাইহোক আজকের এই টার্বুলেন্স পর্বে দেখা যাক কি হয়।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
✔মূল কাহিনী:
এখানে শুরুতে দেখা যায় যে মেলিসা, জোশ, এথেনা আর তার ছেলে তারা সবাই পুনরায় ফ্লাইট করে মন্টেগো শহরে যাচ্ছিলো। তারা মূলত আগের বিষয়গুলোকে একটু পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করছিলো অর্থাৎ তারা আগে যে সেখানে গিয়েছিলো সেখানে ৫ বছর পরেও সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা যে অবস্থায় তারা দেখে গিয়েছিলো। এখন ওই ফ্লাইটে একজন কেলি নামক মহিলাও ছিল। মন্টেগো এয়ারপোর্টে নামার পরে যখন সে ওই শহরের কোনো হোটেলে ওঠে তখন সেই রাতে সে খুন হয়ে যায় অর্থাৎ কে তাকে মেরে চলে যায়। এখন এখানে মেলিসা আর জোশ যখন সেই শহরে অবস্থানরত অবস্থায় টিভিতে এই নিউজ শোনে মার্ডারের বিষয়ে তখন জোশ একটু চমকেও যায় কারণ সে ভাবছিলো এই মহিলাতো আমাদের সাথেই আসলো আজকে। এরপর জোশ আর মেলিসা গাড়ি নিয়ে সেই ক্রাইম স্পটে যায় এবং সেখানে অনেকগুলো পুলিশ আর তাদের ক্যাপ্টেইন ড্যারিল ইনভেস্টিগেশন করছিলো বিষয়টা। আর সেখানে মেলিসা আর জোশ গিয়ে বিষয়টাও একটু দেখতে লাগে কিভাবে কি হলো এবং কিছুক্ষন পরে তারা সেখান থেকে চলে আসে কারণ এই কেসের একজনের দায়িত্বে দেওয়া আছে ফলে সেখানে আরেকজনের মাতব্বরি চলবেও না।
মেলিসা এবং জোশ পরবর্তীতে সেখান থেকে আবার নিজেদের শহরে ব্যাক করে এবং মেলিসা নিজের অফিসে বসে ওই মহিলার মার্ডারের বিষয়ে খবরে দেখতে লাগে আর এই বিষয় নিয়ে আর নিজেদের অন্যান্য কাজের বিষয়ে রামিরেজ এর সাথে আলোচনা করতে লাগে। এরপর তারা দুইজন সেখান থেকে বেরিয়ে মারযানন নামক এক মহিলার বাড়িতে যায় এবং সেখানে তারা তাড়াহুড়ো করে কিছু কথা বলে বেরিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে এলেক্সিস নামক একজনের ওখানে যায় কিন্তু যেতে কিছুটা ভয় আর সংকোচ বোধ করে মেলিসা কারণ ওর ৫ বছর আগে যখন রামিরেজ এর সাথে সম্পর্ক ছিল তখন তারা সেখানে গেলে এলেক্সিস এবং তার স্ত্রী তাদের ভিতরে ঢুকতে দেইনি, বের করে দিয়েছিলো কোনো কারণে সেটা এখনো জানা যায়নি। এরপরে দেখা যায় এথেনা একটা কুকিং এর জায়গায় কাজ করতো এবং সেখানেই একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আর পরে এথেনাকে ওই লোকটা জিজ্ঞাসা করলে তার হাসব্যান্ড ফিরে এসেছে বলে দেয় তাই আর আমাদের এই সম্পর্ক কন্টিনিউ করা সম্ভব না সেটাও বলে দেয়। এরপর মেলিসা সেই বাভেরিয়া নামক মহিলার বাড়িতে যায় একটু ভয়ে ভয়ে অর্থাৎ সেই এলেক্সা এর বাড়িতে। কিন্তু বাভেরিয়া তাকে সহজেই বাড়িতে ঢুকতে দেয় কোনো কিছু না বলে বরং মেলিসাকে দেখে যেন আরো বেশি খুশি হয়। জোশ পারভীন নামক এক বায়োলজিস্টকে ফোন করে তার ছেলের বিষয়ে জানতে যেহেতু ওর ব্লাড এ কিছু একটা পাওয়া গেছিলো তাই টেস্ট করার জন্য দিয়েছিলো। যাইহোক এরপর জোশ এর বাড়ির সামনে কেভিন নামক একটা ছেলে আসে আর ওই ছেলে আবার অলিভ এর বয়ফ্রেন্ড।
কেভিন ছেলেটির বিষয়ে জোশ বাদে সবাই জানতো মানে তার মেয়ে অলিভ এর বয়ফ্রেইন্ড হিসেবে। পরে এথেনা ভালো করে বুঝিয়ে বলে যে কেভিন ভালো ছেলে ফলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এরপর মেলিসা আর জোশ বাড়ির থেকে বেরিয়ে একটা মল ভিতরে যায় এবং সেখানে একটা মহিলা তাদের দুইজনকে দেখে দৌড় দেয়। ওই মহিলাটি মলে কাজ করতো। এখন এদের ধারণা ছিল কেলি এর মৃত্যুর পিছনে এই মহিলা কিছু জানে তাই তাকে ধরে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। এরপর ড্যারিল অফিসারটি মেলিসা আর জোশ এর বস এর কাছে গিয়ে নালিশ দেয় যে তারা আমার কাজে কেন ইনভেস্টিগেশন করছে যদিও এখানে তার ব্যক্তিগতভাবে তেমন কোনো বাধা ছিল না কিন্তু ওই যে তাকে ক্রস করে কাজ করতে যাচ্ছে এইটা তার খারাপ লেগেছে। আর তারা কেলি এর হাসব্যান্ডকেও নিয়ে এসেছিলো আর জিজ্ঞাসাবাদ করছিলো সেখানে। এরপর দেখা যায় কেলির মৃত্যুর পর তার বডি পোস্টমর্টেম এ পাঠানো হয়েছিল তখন তার ব্লাড এ কিছু একটা ধরা পড়েছিল টেস্ট করে যেটা কিছুটা স্ট্রোক এর পর্যায়ে। এরপর দেখা যায় জোশ কিছু জিনিস বাইরের থেকে নিয়ে এসে বাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছিলো তখন বাইরের থেকে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে তার সন্দেহ হয় ঘরে বাইরের কেউ ঢুকেছে নিশ্চিত, তখন সেও একটা হাতের সামনে কাঠের কিছু একটা পেয়ে আস্তে আস্তে গিয়ে দেখে একজন চাবি খুঁজছে। জোশ তাকে চিনতে পারিনি কিন্তু এথেনা তাকে চিনতো লিন্ডসি নামক লোকটিকে। এরপরে আবার পরে চিনতে পারে কারণ ওই যে তাদের জীবন কিছুটা এলোমেলো হয়ে আছে।
জেলের মধ্যে একটা লোক মেলিসাকে দেখতে পেয়ে তার নাম ধরে ডাক দেয় কিন্তু মেলিসা আবার এদিকে তাকে চেনে না। যাইহোক এরপর অন্যান্য কিছু বিষয়ে কথা বলে সেখান থেকে এলেক্সার বাড়িতে যায় গাড়ির চাবি আনতে কিন্তু এলেক্সা খুব চিন্তিত থাকে কারণ বাভেরিয়া হঠাৎ বাড়ির থেকে বেরিয়ে চলে যায় আর মেলিসা গাড়ি নিয়ে সামনে যেতে যেতে তাকে দেখতে পায় যে সে রাস্তা দিয়ে একপ্রকার পাগলের মতো হেঁটে বেড়াচ্ছে। এরপর আবার সে গাড়ি ঘুরিয়ে তার কাছে যায় কিন্তু বাভেরিয়া রাস্তার মাঝখানে আর অন্যদিকে থেকে আরেকটা গাড়ি আসছে তেজ গতিতে ফলে মেলিসা তার গাড়িটা দ্রুত বাভেরিয়া সামনে নিয়ে গেলে ওই গাড়িটা একটা ডাস্টবিনের উপর গিয়ে চালিয়ে দেয় কন্ট্রোল করতে না পেরে। পরে মেলিসা বাভেরিয়াকে নিয়ে গাড়িতে বসায় আর সেই মহিলাকে বলতে যাচ্ছিলো ঠিক আছে কিনা কিন্তু ওই গাড়িতেই ছিল মার্যানন নামক সেই মহিলা আর তার গাড়িতে একটা হার মতো দেখতে পায় যেটা কেলি এর গলায় দেখেছিলো। এরপর মহিলাটি গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যেতে চাইলে মেলিসা বন্ধুক বের করে তাকে আটকায় এবং থানায় নিয়ে গিয়ে কেলি এর মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগে। এরপর মেলিসা জোশকে নিয়ে ডক্টরের কাছে যায় কারণ ডাক্তার ফোন করে বলেছিলো কেলির এই কেসের বিষয়ে। তখন তাদের সাথে বলে এই স্ট্রোক এর বিষয়ে কিন্তু শিউরিটি দেয়নি ডাক্তার এখনো, এদিকে মারা গেছে ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেছে।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
আজকের কাহিনীর শুরুতে কয়েকটা বিষয় জানতে পারলাম যেটা আগের দুই পর্বে কিছুটা আন্দাজ করতে পারলেও শিওর হওয়া যাইনি সেটা হলো মেলিসা আর জোশ ওরা দুই ভাই-বোন ছিল। আর মেলিসা ছিল একজন পুলিশ অফিসারও , আজকে মোটামুটি এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার হলো। আর সব কাজে এই মেলিসা আর তার ভাই সল্ভ করতে বেরোতো। আজকের এই পর্বে মূলত যে বিষয় নিয়ে হয়েছে সেটা হলো কেলি নামক মহিলাটির মার্ডার্স নিয়ে। মহিলাটি ঘরে একা থাকা কালীন এই ঘটনাটা ঘটেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার কোনো মূল পর্বে কেউ পৌঁছাতে পারিনি কারণ এখনো কোনো আইডেন্টিফাই করতে পারিনি কিভাবে কি হয়েছে বা কে খুন করেছে। ফরেন্সিকেও সেভাবে এখনো কোনো তথ্য সামনে আসেনি শুধু ওই স্ট্রোক এর বিষয়টা ছাড়া। এখন পরের পর্বে অপেক্ষা করতে হবে এই ঘটনার বিষয়গুলো বুঝতে গেলে।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৭.৬/১০
✔ট্রেইলার লিঙ্ক:
দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজ রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গত পর্বগুলো যেমন ভালো লেগেছিল এবারের পর্বটি পড়েও অনেক ভালো লাগলো। মেলিনা একজন পুলিশ অফিসার সেটা একেবারে সামনে চলে এলো। আর সে এই মহিলাটির মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করতে চায়। মহিলাটির মৃত্যুর রহস্য এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বে সবকিছু সামনে আসবে। দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনেক সুন্দর ভাবে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা আজকে আপনার ওয়েব সিরিজটি পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। আসলে এদের অনেক সাহস যার কারণে প্লেনে আবারও তারা ভ্রমণ করছে। আসলে আজকে এই পর্বের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিশেষ করে মেলিসা ও জোশ ছিল ভাই বোন এটা জানতে পেরেছি। আরেকটা বিষয় হল এই মহিলাটি যে খুন হলো সেটি রহস্যজনক আর এই রহস্য উদঘাটন আশা করছি সামনের পর্বে জানতে পারবো। খুবই ভালো লেগেছে এই ওয়েব সিরিজটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গত দুটি পর্ব আমার দেখা হয়নি৷ আপনার এই রিভিউ টি দেখেই সেই পর্বগুলোতে চোখ বুলিয়ে আসলাম। যাইহোক এই পর্বে টিভি সিরিজের কাহিনী কিছুটা ক্লিয়ার হল। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আমি।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এদের সাহস তো কম না । প্লেনে এমন একটা ঘটনা ঘটার পরও আবার প্লেনে করে সেই জায়গায় যাচ্ছে।
মেলিসা এবং জোশ যে ভাই বোন তা আজকে জানা গেল। তাছাড়া আজকে যে নতুন মহিলাটির খুনের বিষয়টি সামনে এসেছে এটিও বেশ রহস্য জনক। কিভাবে এই মহিলাটি মারা গেল সেই রহস্য ও উদঘাটন হওয়ার অপেক্ষা। সিরিজটি দিন দিন আরও বেশি রহস্যজনক হয়ে উঠছে। পরবর্তী পর্বগুলোতে বোঝা যাবে এই রহস্যগুলো আশা করি। ম্যানিফেস্ট - টার্বুলেন্স আজকের পর্বটিও বেশ প্যাচানো মনে হয়েছে আমার কাছে। তারপরও দাদা আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি টিভি সিরিজের রিভিউ আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
সিজন এক ও পর্ব তিন এর ম্যানিফেস্ট - টার্বুলেন্স পড়ে বেশ ভালো লাগলো।মহিলাটি কিভাবে মারা গেলো, তা জানার জন্য দুই ভাই বোন মেলিসা ও জোশ দেখতে গেলো।কিন্তু অন্য পুলিশ দায়িত্ব থাকায় আবার ফিরে চলে এলো।স্টোক করেছে কিনা শিউর না।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
দাদা চমৎকার রিভিউ করে চলেছেন এই টিভি সিরিজটি।
মেলিসা আর জোশ ওরা দুই ভাই-বোন আজ জানা গেছে। তবে ঐ মহিলাকে কে খুন করলো আর কিভাবেই বা খুন হলো সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। তবে বেশ ঘটনাবহুল টিভি সিরিজ এটি।
আজকের পর্বটির নামের সাথে পুরো পর্বটির কাহিনীচিত্রর বেশ মিল রয়েছে দাদা। একেবারে হাঙ্গামা টাইপের পর্ব ছিল এটি। মেলিসা ও জোশ ভাই বোন ছিল এটা জানতে পারলাম। টিভি সিরিজ রিভিউ গুলো অনেক ভালো লাগে। তবে সময়ের অভাবে দেখা হয় না। সময় পেলেই দেখতে ইচ্ছে করে। চমৎকার এই টিভি সিরিজ রিভিউ সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️
পরীক্ষার জন্য অনেক পিছিয়ে গেলাম দাদা।যাইহোক সিরিজগুলো প্রথম থেকেই দারুণ মজার ছিল।যাইহোক মেলিসা পুলিশ অফিসার ছিলেন এটি জেনে গল্পের কিছু রহস্য উন্মোচন হলো।তাছাড়া ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেছে মারা গেছে তবুও ডাক্তার বলতে পারছেন না সিউর ভাবে।এখানেই রহস্যের জটলা পাকিয়ে গেল।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।