"রি-মাল" আতঙ্ক
নমস্কার বন্ধুরা,
কদিন ধরে আবহাওয়া দপ্তর শোনাচ্ছিলো বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৩০-১৫০ কিমি বেগে তুমুল বৃষ্টি সহ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। বৃষ্টির বার্তা শুনে মনে আনন্দ যেমন ছিলো তেমনি মনে অল্প একটু ভয় কাজ করছিলো। কারণ শেষ যখন বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অংশে ঘূর্ণিঝড় প্রকোপ দেখেছিলাম তখন পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা ঝড়ের প্রকোপে তছনছ হয়ে গিয়েছিল। সেই তাণ্ডবের নাম আমফান। সেটাও এই মে মাসেই হয়েছিল। ঝড়ের সেই দুদিন ভুলবার নয়। রাত্রি বেলা থেকে সে প্রচন্ড ঝড় তেমনি বৃষ্টি। সেই থেকেই অল্প ভীতি কাজ করছিল।
রবিবার সকাল বেলা থেকে আকাশ মেঘে ঢেকে গেলো। দুপুর হতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়া শুরু হলো আর ধীরে ধীরে হাওয়ার গতিবেগ বাড়ছিল। বুঝতে পারছিলাম রিমাল ল্যান্ড ফল করেছে এবং খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে কলকাতার দিকে। পরিস্থিতি বুঝে প্রস্তুতি নিয়ে, ফোন পাওয়ার ব্যাংক পুরো দমে চার্জ করে রাত বাড়ার অপেক্ষা শুরু হলো। রাত এগোতে বৃষ্টির গতিবেগ বাড়তে থাকলো, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু হলো হাওয়ার গতি বেগ।
রাত্রি বাড়ার সাথে সাথে হাওয়ার বেগ আরো কয়েক গুণ বেড়ে গেলো। হাওয়ার সো সো আওয়াজের মধ্যে থেকেও রাস্তায় কাঁচ ভাঙ্গার আওয়াজ কানে আসতে থাকলো। সোমবার উঠে পরিস্থিতিতে কিছুটা বদল দেখতে পেলাম। সকালে হওয়ার গতিবেগ অনেকটাই কম তবে বৃষ্টি কমেনি। পরিস্থিতি বুঝে ঠিক করলাম বাড়ি থেকেই কাজ করবো। সৌভাগ্যবশত বিদ্যু একবারের জন্যও যায়নি।
সোমবার সারাদিন ধরেই অঝোরে বৃষ্টি হলো। বিকেল হতে হতে গতিতে ভাটা পড়লো। সেই সুযোগে আমিও সাহস করে ঘর থেকে বেরোলাম। ছাদে আকাশের দুই রঙ দেখতে পেলাম। পূর্ব দিকের আকাশ মেঘলা হয়ে আছে অথচ পশ্চিমের আকাশ গেরুয়া রঙে রাঙানো।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের এখানে তো রবিবার পর্যন্ত বেশ গরম গিয়েছে। রবিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টির প্রকোপ। অবশ্য উপকূলীয় এলাকা গুলোতে আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড়ের তাণ্ডব। যদিও এই ঝড়ে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে কিন্তু উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনের কথা চিন্তা করেই খারাপ লাগছে। অনেকের দেখলাম ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। যাই হোক দাদা আকাশটা কিন্তু অসম্ভব ভালো লাগছে। এরকম আকাশে ছাদে বসে থাকার মজাই আলাদা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া , গত দুইদিন ধরে যেন অবস্থা একদমই খারাপ। আসলে সারাদিন বৃষ্টি আর হাওয়া সবকিছু যেন উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা। ঘূর্ণিঝড়ের গত দুই দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। আমাদের এখানে এখনো বৃষ্টি বন্ধ হয়নি। কারেন্ট এবং নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই খারাপ।
দাদা আমাদের এখানে তো গতকাল অর্থাৎ সোমবার সারাদিন প্রচুর ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে এখন পর্যন্ত টানা ২৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। কারণ পুরো জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়েছে। কখন বিদ্যুৎ আসবে সেটাও বলা যাচ্ছে না। আমার দুটি পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ ছিলো বলে মোটামুটি কাজ করতে পারছি। তবে মোবাইলের চার্জ শেষের দিকে। যাইহোক আপনাদের দিকে বিদ্যুৎ যায়নি, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনাদের ওখানে বিদ্যুৎ যায়নি এটা আসলেই সৌভাগ্য ছিল দাদা।দুইদিন টানা ঝড় বৃষ্টির পর আপনি বিকেলের দিকে ছাদে গিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করলেন।আবার আকাশে বিমান উড়ছে দেখতে পারছি ফটোগ্রাফি তে।বেশ সুন্দর ছিল আপনার পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কি বলো দাদা! ঝড় হয়েছে আর বিদ্যুৎ যায়নি...? আমাদের এখানে তো সারারাতে বেশ কয়েকবার কারেন্ট চলে গেছিল। তবে তোমাদের ওখানকার পরিবেশ দেখে তো মনে হচ্ছে না যে ঝড় খুব বেশি হয়েছিল । যাইহোক, তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু মনোমুগ্ধকর ছিল দাদা।
এরকম দৃশ্য দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।