আপনার জীবনে একজন নারীর গুরুত্ব কতটুকু? || সবাইকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা ❤️
আপনার জীবনে একজন নারীর গুরুত্ব কতটুকু?
আপনি হয়ত এমন কথা শুনে থাকবেন, ও তো মেয়ে মানুষ আজ বাদে কাল বিয়ে হয়ে যাবে, ওর জন্য এতো করে কি লাভ? বয়স হয়েছে বিয়ে দিয়ে দাও। আর শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশের পর পরের বাড়ির মেয়ে বিয়ে বয়ে এসেছো, কাজ কর্ম কি কিছু শিখেছো? ঐ যে রান্নাঘর, তোমার ঠিকানা। আর খেতে গেলে সবার পরে খাবে, যদি কিছু বেঁচে থাকে। এই হচ্ছে আমাদের পুরো সোনার বাংলার অবস্থা 🥀 যেখানে একজন বধুকে শুধুমাত্র ঘরের কাজ কর্মে নিয়োজিত করা হয়। আর তাদের সুখ এবং চাহিদার মূল্যয়ন কোন কালেই ছিল না। এ গল্পটা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে রয়েছে। তবুও কিছুটা পরিবর্তন হয়ত এসেছে তবে এখনো তা আশাব্যঞ্জক নয়।
আমার জীবনের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে দুজন মানুষের অবদান । প্রথমেই বলি আমার মায়ের কথা। ভীষণ বড় যুদ্ধের মাধ্যমে মা এনেছেন আমাকে এই পৃথিবীতে। জন্মের পরপরই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরি আর মা চালিয়ে যায় জীবন মৃত্যুর লড়াই। কারন মায়ের বিয়ের হয় খুব অল্প বয়সে এবং আমি জন্মেছিলাম অপুষ্টি নিয়ে। বলতে পারেন মাকে ভীষণ কষ্ট দিয়ে ফিরে এলাম পৃথিবী বুকে, মরতে মরতে বেঁচে উঠেছি। শুধু কি তাই আমার দাদুর বাড়ির লোকজন ছিলেন মান্দাতার আমলের লোক। মাকে ভীষণ কষ্ট দিতেন সব দিক থেকেই। অবশেষে বাবা ছোট্ট একটি চাকরি নিয়ে শহরে চলে আসতে বাধ্য হন মাকে নিয়ে। তবুও যুদ্ধ থামেনি, এ যুদ্ধ চলেছে জীবিকার খোঁজে আর আমাকে মানুষ করার লড়াই। বাবা একা কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না, মা সেলাইয়ের এমন কোন কাজ নেই যা জানতেন না। তাই অর্থ উপার্জন করে বাবাকে সাহায্য করতে শুরু করলেন। একদিকে সাংসারিক কাজ অপর দিকে সেলাইয়ের কাজ একা দশ হাতের কাজ করে গেছেন এবং আমায় বড় করেছেন। তবুও মা কেন যেন আমার মনে হয় তার যোগ্য সম্মান এখনো পাননি 🥺 তবে আমি সেটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করি।
ঐ আমার স্ত্রীর একই অবস্থা, আমার সাথে জীবন যুদ্ধে সামিল। কারন আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। আমার দুই সন্তান আর সংসারের কাজ নিয়ে রিতিমত তার যুদ্ধক্ষেত্র। তবে আমি কিছুটা বুঝতে পারি তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করি তাকে সহযোগিতা করার। আমি মোটামুটি রান্নার কাজ পারি আর সুযোগ মতো রান্না করি। বাচ্চাগুলো ভীষণ দুরন্ত তাদের সামলানো বেশ কঠিন আর সেখানেও সাধ্যমত সহযোগিতা করি। আসলে আমার মাকে দেখেছি কি পরিমান তিনি কষ্ট করেছেন তাই আমার স্ত্রীর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করার চেষ্টা করছি।
আমার জীবনে নারীর গুরুত্ব
আসলে আমি মনে করি নারী ছাড়া একজন পুরুষের জীবন একদমই অচল। কোন কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবেনা নারী ছাড়া। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা এটা মানতে নারাজ এবং যোগ্য সম্মান দিতে চায়না 🥺 অনেক আইনকানুন থাকলেও কঠোর সমাজ তা মানতে নারাজ। তবে একটা কাজ করা যায় সেটা হচ্ছে ব্যাক্তি পর্যায়ে আপনি আমি যদি কিছুটা বিবেক খাটিয়ে তাদের যোগ্য সম্মানটুকু দিয়ে সংসার ধর্ম পালন করতে পারি তাহলে মোটামুটি কিছু নারীর জীবনে হয়ত কিছুটা সুখের উপলব্ধি আসবে। আর অবশ্যই যদি কখনও সমাজের মানুষকে সোচ্চার করার সুযোগ আসে তাহলে নির্দ্বিধায় তা প্রকাশ করতে হবে।
তাদের অবদান কভু ভোলার নয়।
জাগ্রত হও নারী সমাজ
ছড়িয়ে দাও নিজের কারুকাজ"
🙏
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ঘরে ঘরে এখনো নারীদের এই চিত্র দেখা যায় হরহামেশা নির্যাতন বদলে গেছে ধরনগুলো বদলে গেছে কিন্তু নির্যাতন বদ্লায় নাই।আমাদের উত্তরবঙ্গে তো বলতে শুনেছি মেয়েদের বেচে খাওয়ার কথা।একটু বড় হলেই মেয়ে বেচে খেতে হবে।আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যদি এভাবে চিন্তা করতো তাহলে হয়তো আমাদের সমাজটা বদলে যেত♥♥
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥀
আমাদের সব বদলাতে হবে 💜
সমাজের পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত আমাদের সমাজ ঠিক হবে না ভাই।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1501250244335775744?t=4O8i9DPrw16HNOnxkivtjQ&s=19
আপনার মত সবাই যদি নারীদের মূল্যায়ন করতে শিখতো তাহলে হয়তো আমাদের সোনার বাংলার আজ এই অবস্থা হতো না। তবে একথা সত্যি আশাব্যঞ্জক না হলেও ধীরে ধীরে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। সত্যি বলতে কি মায়ের কষ্টের প্রতিদান কখনোই দেয়া সম্ভব নয়। আমাদের উচিত জীবিতকালীন সময়ে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা। আর সহধর্মিনীর প্রতি আপনার যে মনোভাব তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সৃষ্টিকর্তা আপনাদের মঙ্গল করুন
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥀
অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া সমাজের নারীদেরকে নিয়ে।তবুও এত সচেতনতা,এত আধুনিকতা তার মধ্যে ও কোথাও একটা মানুষের চিন্তাধারার ফারাক রয়েছে।অনেকেই সহজেই মানতেই চায় না মেয়েদের সম্মানকে।তাছাড়া আমি ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।আর এই সব পরিবারে লড়াই বেশি।যেমন আমার মা একজন পুরুষের সমান পরিশ্রম করেন ,সমানতালে বাবাকে সহযোগিতা করেন প্রত্যেকটি কাজে হাসিমুখে শুধু আমাদের ভালো থাকার জন্য।আর এখনো করে যাচ্ছেন,আমি তো বলবো পুরুষরা যতই সংসার চালাননা কেন।নারীরা ছাড়া বৃথা পুরুষের জীবন।আপনার পরিবারের কথা জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে💐💐
ধন্যবাদ দিদি চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀
আপনার লেখাটুকু কপি করে পেস্ট করলাম প্রথমে। কারণ প্রতিটি কথাই মনের কথা এবং সঠিক কথা। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। যতই শিক্ষিত হইনা কেন আমাদের এই ধারণা এখনো পাল্টায়নি। কবে পাল্টাবে তাও জানিনা তবে আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। নারীরা একটি সমাজের মূল সেটা বোঝাতে হবে সকলকে। সুন্দর লিখেছেন ভাই খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আমার কথাগুলো যথার্থ উপলব্ধি করার জন্য। আমাদের চেষ্টা করতে হবে পরিবর্তনের জন্য 💌
স্যার আজকে আমি আপনার জীবনের বেশ কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। প্রথমেই আপনার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করি যাদের অবদানের কারনে আজকে আপনি এতদুরে এসেছেন। আমার জীবনে একজন নারীর গুরুত্ব কতটুকু তা আমি এখন প্রতিনিয়ত বুঝতে পারছি। আপনাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
ধন্যবাদ লিমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥀
একটা নারীর যে কত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে তা কেবল একজন নারী ভালো জানেন। তবে আমরা তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি না। আমাদের নিজেদের ও দায়িত্ব একজন নারীকে তার যোগ্য সম্মান দেওয়া। তবেই আর নারি পুরুষ নিয়ে এতো ভেদাভেদ থাকবে না।।ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।😍
একজন নারীর গুরুত্ব সম্পর্কে জাষ্ট ওয়াও একটি পোস্ট করেছেন। অনেক ভালো কিছু কথা শেয়ার করেছেন দেখছি। নারী দিবসে সকল নারীদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। আপনার অনুভূতি টি অনেক ভালো ছিল। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀
পাশেই থাকুন 🥀
সত্যিই ভাই নারীরা এমনি তারা দশ হাত দিয়ে সবকিছু সামলে নেয়। প্রথমত আমাদের নারীদেরকে বুঝতে হবে তারা আমাদের বোঝা নয় বরং তারা আমাদের পরিপূরক। তাদেরকে ব্যতিরেকে এই পৃথিবী নয় আমরা তো দূরের ব্যাপার। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কেই সোচ্চার হতে হবে আগে। তবেই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀
পাশেই থাকুন 💜
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
