নরম তুলতুলে রুটি রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলাব্লগবাসী বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব মজাদার তুলতুলে রুটি বানানো রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
রুটি খুব সহজ ও কমন একটি রেসিপি।রুটি বানাতে পারেন না এমন মানুষ নেই।রুটি খেতে সবাই অনেক ভালোবাসে।অনেক সময় সঠিক ভাবে বানানো না পারার কারণে রুটি শক্ত হয়ে যায়।রুটি দাঁত দিয়ে টানাটানি করেও ছেরা যায় না।আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব কিভাবে নরম তুলতুলে রুটি বানাবেন।
কিছুদিন আগে জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে উপোস ছিলাম। যেহেতু উপোস করে ভাত খাবো না তাই ভেবেছিলাম যে দুধ রুটি কলা খাবো রাতে।যে ভাবনা সেই কাজ।ঝটপট রুটি বানাতে শুরু করে দিলাম।রুটি নরম হলে তরকারি কিংবা দুধ দিয়ে খেতে দারুণ লাগে।
তো চলুন দেখা যাক কেমন পদ্ধতিতে বানিয়ে নিলাম নরম তুলতুলে রুটি গুলো
আটা |
---|
জল |
তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ও ফুটিয়ে নিয়েছি এবং ফুটিয়ে নেয়া জলে এক চামুচ পরিমাণ তেল দিয়েছি।তেল দেয়ার কারণে আটার ডো তৈরি করলে ভীষণ মোলায়েম ও নরম তুলতুলে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন ফুটন্ত জলে পরিমাণ মতো আটা দিয়ে ভালো করে নারাচারা করে সিদ্ধ করে নিয়েছিও নামিয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন আটা গুলো খুব ভালো ভাবে মেখে নিয়েছি ও আটার ডো তৈরি করে নিয়েছি। খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এখন আটার ডো থেকে রুটি বানানোর জন্য লেচি কেটে নিয়েছি ও গোল করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এবার একটি বেলচি চাকতি নিয়েছি রুটি বেলে নেয়ার জন্য এবং একটু আটা দিয়েছি চাকতিতে তারপর একটি আটার গোলা দিয়ে হাত দিয়ে একটু চ্যাপ্টা করে নিয়েছি এবং বেলে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন চুলায় একটি তাওয়া বসিয়েছি রুটি ভাজার জন্য এবং তাওয়ায় গরম করে নিয়ে একটি করে রুটি তাওয়ায় দিয়ে ভেজে নিয়েছি। একে একে সব গুলো রুটি ভেজে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
সব গুলো রুটি ভাজা হয়ে গেছে তাই পরিবেশেন করেছি।আমি দুধ রুটি ও কলা পরিবেশন করেছি।
দুধে রুটি ছিরে ছিরে দিয়ে পরিবেশন করেছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার নরম তুলতুলে রুটি রেসিপি।আমার নরম তুলতুলে রুটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনার কেমন লাগে এই রেসিপি তা অবশ্যই জানাবেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
নরম তুলতুলে রুটি রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপির পরিবেশ অনেক ভালো লেগেছে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রুটি আমার খুবই পছন্দ। তবে বাসায় তৈরি করা রুটি গুলো আমার খুবই পছন্দ। গতকাল ঈদের দিনে অনেক গুলো রুটি খাওয়া হয়েছিল। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর নরম রুটি তৈরি করেছেন নিজের হাতে। আপনার তৈরি রুটি গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আর আপনি দুধ কলা দিয়ে মজাদার রুটি খেয়েছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া দুধ কলা দিয়ে মজা করে খেয়েছি মজাদার রুটি।
দুধ এবং কলা দিয়ে রুটি খেতে খুবই মজা লাগে। আমারও ভীষণ পছন্দের আপু মাঝে মাঝে আমি খাই। আপনার পরিবেশন দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু নরম তুলতুলে রুটির রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমারও খুব ভালো লাগে দুধকলা রুটি আপনারও ভালো লাগে খেতে জেনে ভালো লাগলো।
নরম তুলতুলি রুটি রেসিপিটা বেশ দারুণ ছিল। আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমরা অনেক মেয়েরাই রান্না বান্না তে অনেক পটু হলেও রুটি নরম বা রুটি তৈরি করতে খুব একটা পারদর্শী নয়। রুটি শক্ত হলে দাঁত দিয়ে বা হাত দিয়ে টেনে ছেঁড়া যায় না। তখন অনেক লজ্জায় পড়তে হয়। খুব সুন্দর ভাবে ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছেন। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমিও বাসায় ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।আপনি আমার রেসিপিটি বাসায় ট্রাই করবেন জেনে ভালো লাগলো খুব।
এভাবে নরম তুলতুলে রুটি তৈরি করা যায় এটা জানা ছিল না আপু। আপনি কলা দিয়ে রুটি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। কলার ফ্লেভার এর সাথে খেতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু কলার ফ্লেভারে অনেক মজা লেগেছিল খেতে রুটি।
নরম তুলতুলে রুটি দেখেতো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। কলা দিয়ে রুটি খাওয়া অনুভূতি বেশ দারুন। রুটি আপনি নিজ হাতে তৈরি করেছেন বেশ ভালো হয়েছে। দুধ কলা দিয়ে মজাদার রুটি খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
সকালের নাস্তায় রুটির কোন বিকল্প নেই। আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি আমাদের সকালের নাস্তায় রুটি থাকবেই। রুটির সাথে ডিম অথবা সবজি থাকে। আজ আপনি তুলতুলে রুটি বানিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি রুটি বানানোর ধাপ গুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার রুটি বানানোর প্রসেস টা ঠিক আম্মুর মত। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আন্টির মতো আমার রুটি বানানোর প্রসেস জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু চমৎকার কমেন্ট করার জন্য।
এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন দিদি, রুটি খুবই সহজ এবং কমন একটা রেসিপি। আর এটা সবাই বানাতে পারে তবে একটা সমস্যা হলো , সবাই গোল রুটি বানাতে পারে না। দিদি, আপনি যে পদ্ধতিতে আজ নরম তুলতুলে রুটি বানিয়েছেন, আমাদের বাড়িতেও ঠিক একই ভাবে এই রুটিগুলো করা হতো আগে। কারন আমার ঠাকুর দাদা নরম রুটি ছাড়া খেতে পারত না। যাইহোক, যদিও আমাদের বাড়িতে এখন এইভাবে আর রুটি করা হয় না। তবে এইভাবে রুটিগুলো তৈরি করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রায় রুটি তৈরি করা হয়। রুটি তৈরির রেসিপিটি খুবই সহজ হয়ে থাকে। একটু ভিন্ন আঙ্গিকে যদি রুটি তৈরি করা যায় তবে স্বাদটি একটু ভিন্ন আসে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন নরম তুলতুলে রুটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।