যৌন মিলন করার সঠিক সময়!
জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য সবাই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা কনডমের ওপরই ভরসা করেন।কিন্তু আধুনিক পদ্ধতি ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
মেয়েদের ঋতুচক্রের এমন কিছু দিন আছে যা সাধারনত নিরাপদ দিবস হিসেবে ধরা যায়।এই দিন গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর অবাধ মিলনের ফলেও স্ত্রীর গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা থাকে না।যেহেতু এই পদ্ধতিটি প্রাকৃতিক ভাবেই নির্দিষ্ট করা তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি কিংবা ক্যালেন্ডার পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে।
এই পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জানা দরকার ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলি?
বিশেষজ্ঞদের মতে-
এই পদ্ধতির জন্য সবার আগে জানতে হবে মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত হয় কিনা।হলে তা কতদিন অন্তর হয়।সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে৷পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল প্রথম অনিরাপদ দিন।
আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল শেষ ঝুঁকির দিন।
একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক…
ধরুন আপনার মাসিক ৩০ থেকে ৩৫ দিন পরপর হয়।তাহলে ৩০-১৮=১২, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ১১ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিন গুলোতে কোনো পদ্ধতি গ্রহন ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে।১২তম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১১তম দিন থেকে মেলামেশায় সংযম আনতে হবে।
আবার যেহেতু ৩৫ দিন হলো আপনার দীর্ঘতম মাসিক চক্র তাই ৩৫-১০=২৫,অর্থাৎ ২৫তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস।২৬তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাধ সঙ্গম করতে পারবেন।অর্থাৎ এখানে শুধু ১২ম থেকে ২৫তম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাধ সঙ্গম করলে আপনার গর্ভধারন করার প্রবল সম্ভাবনা আছে।তবে আপনারা সহজেই কনডম (Condom) ব্যবহার করে ঝুকিমুক্ত থাকতে পারবেন।
পিরিয়ড শুরুর প্রথম সাতদিন ও শেষের এর প্রথম সাত দিন সহবাস করা নিরাপদ। তবে পিরিয়ড নিয়মিত না হলে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে না। সর্বোপরি এটা বলতে হয়, কনডম ছাড়া সেক্স করা মোটেও নিরাপদ নয়!