সজিনা ফুলের পাকোড়া রেসিপি❤️

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো

কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20250224_220528.jpg

IMG_20250224_220634.jpg

IMG_20250224_220611.jpg

IMG_20250224_220557.jpg

IMG_20250224_220528.jpg

আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো সজিনা ফুলের পাকোড়া রেসিপি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজ শরীরটা বেশ খারাপ প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করছে। খাওয়ার রুচি নেই মোটেও।পাশের বাড়ি থেকে সজিনা ফুল পাঠিয়েছে অনেক গুলো।কবে ছোট বেলায় খেয়েছি সজিনা ফুলের পাকোড়া। আমার দিদু খুবই ভাজাপোড়া পছন্দ করতেন আর সেজন্য নানা রকমের পাকোড়া খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমাদের পরিবারের সকলের।সজিনা ফুল গুলো দেখেই মনে পড়ে গেলো ছোটবেলায় মুখে লেগে থাকা সজিনা বড়া রেসিপির কথা।আমার স্পষ্ট মনে পড়লো আমাদের বাড়ির সামনে একটি বিশাল বড়ো সজিনা গাছ ছিলো আর সেই সজিনা গাছে এতো পরিমাণ ফুল ফুটতো যে গাছ পুরা সাদা হয়ে থাকতো ফুলে ফুলে।আমরা সকাল বিকেল ফুল কুড়াতাম আর দিদু সেই ফুল দিয়ে চমৎকার সুন্দর সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করতেন নানা রকমের। সব থেকে বেশি ফুল পাওয় যেতো সকালে।সারারাত ফুল পড়তো আর সকালে দেখা যেতো যে পুরা গাছের তলা ফুলে ফুলে ভরপুর হয়ে গেছে।

আমার দিদু খুবই সহজ পদ্ধতিতে এই সজিনা ফুলের পাকোড়া তৈরি করতেন এবং তা গরম গরম পরিবেশ করতেন আর আমরা তা মজা করে খেতাম।খুবই সুস্বাদু মুখে লেগে থাকার মতো রেসিপিটি।

তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন

IMG_20250224_195546.png

সজিনার ফুল
লবন
হলুদ
চালের গুড়ি
ভোজ্যতল

PhotoCollage_1740405828029.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি সজিনার ফুল গুলো ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছিও জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।

IMG_20250224_203914.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন সজিনা ফুলে চালের গুড়ি দিয়েছি।

IMG_20250224_204355.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন সজিনা ফুল ও চালের গুড়িতে লবন হলুদ ও মরিচের গুড়া দিয়েছি।

IMG_20250224_204601.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন সব উপকরণ সহ খুবই ভালো করে মেখে নিয়েছি।

IMG_20250224_205017.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন ভালো করে মাখা হলে একটি ডো তৈরি করে নিয়েছিও হাতের সাহায্যে পাকোড়া তৈরি করে নিয়েছি। একে একে সব গুলো পাকোড়া তৈরি করে নিয়েছি।

PhotoCollage_1740408964882.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও তাঁতে হাতের সাহায্যে পাকোড়া বানিয়ে তেলে দিয়েছি।

PhotoCollage_1740409112530.jpg

সপ্তম ধাপ

এখন ভালো করে সজিনা ফুলের পাকোড়া গুলো ভেজে ভেজে তুলে নিয়েছি ও পরিবেশন করেছি।

পরিবেশন

IMG_20250224_220528.jpg

IMG_20250224_220634.jpg

IMG_20250224_220611.jpg

IMG_20250224_220528.jpg

ছিল আমার আজকের মজাদার রেসিপি সজিনা ফুলের পাকোড়া। ভীষণ সুস্বাদু রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। এর মত এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন নতুন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250222_212248.png

IMG_20250222_212237.png

Sort:  
 last month 

আপনার দিদু পাকোড়া পছন্দ করতেন জেনে ভালো লাগলো। আমার ঠাকুমা তিনিও ভীষণ তেলেভাজা জিনিস খেতে পছন্দ করতেন। আজ আপনি সজিনা ফুলের পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। সজিনা ফুলের ঘন্ট এবং ভাজি রেসিপি আমি খেয়েছি তবে সজিনা ফুলের যে পাকোড়া রেসিপি তৈরি করা যায় তা জানা ছিল না। রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমি নিজেও তেলেভাজা জিনিস খেতে খুব পছন্দ করি। বাড়িতে একদিন এই রেসিপি বানাতে হবে। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম দিদি। রেসিপিটি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 last month 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last month 

PhotoCollage_1740414936256.jpg

 last month 

আসলে একটু পুরোনো দিনের মানুষরা তেলে ভাজা খেতে খুবই ভালোবাসতেন। এবং ওনাদের রান্নাতেও চুপচুপে তেল থাকতো। যেমন আমার বাবা ঠাকুরমা থেকেই স্বভাব পেয়েছিলেন তেলে ভাজা খাওয়ার। সজনে ফুলের বড় দেখে মনে পড়লো এবছর আমি এত পরিমাণ সজনে ফুল রান্না করছি বাড়িতে রেখে বাবা বলেছিলে না একদিন সজনী ফুলের পকোড়া বানিয়ে খাওয়ার জন্য। সে আর খাওয়া হলো না কারণ আমি তো খুব একটা তেল প্রিয় মানুষ নই। তোমার সজনে ফুলের পকোড়া রেসিপি দেখে এতগুলো কথা মাথায় এলো। খুব সুন্দর বানিয়েছো। একদম বেশি ভাজা হয়নি আর একেবারে কম ভাজাও হয়নি।

 last month 

এ বছর অনেক পরিমাণ সজনে ফুল খেয়েছো জেনে ভালো লাগলো।

 last month 

আসলে আমার কখনো সজিনা ফুল খাওয়ার ভাগ্য হয়ে ওঠেনি। কেননা বাজারে সজিনা ফুল বিক্রি করতে দেখি কিন্তু কখনও কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেনি। যাইহোক এই রেসিপিটা আমার কাছে একটা নতুন ধরনের রেসিপি। আর এই পকোড়া দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে। এছাড়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last month 

আমাদের দেশেও এই সজিনা ফুল বাজারে ওঠে না ও কিনতে পাওয়া যায় না শুধু যাদের বাড়িতে বা আশেপাশে সজিনা গাছ আছে তারাই খেতে পারে এই সজিনা ফুলের পাকোড়া।

 last month 

সজনে ফুলের বড়া অনেক ছোটবেলায় একবার খেয়েছিলাম। বেশ ভালো ছিল খেতে। অনেকদিন পর আপনার রেসিপিতে দেখলাম। আমার তো দেখেই ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সজনে ফুলের বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আমিও ছোটবেলায় বহুবার খেয়েছি আর আজ খেলাম সত্যি অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি।

 last month 

সজিনা ফুলের পাকোড়া রেসিপি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজাদার ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পরবর্তীতে তৈরি করব।

 last month 

সত্যি অনেক সুস্বাদু এই রেসিপিটি।

 last month 

সজনে ফুল দিয়ে যে রেসিপি তৈরি করা যায় সেটাই জানা ছিল না আর খাওয়া তো দূরে থাক। আপনার এমন লোভনীয় পাকোড়া দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সজনে ফুল কোথায় পাবো সেটাই ভাবছি। এই ধরনের ইউনিক রেসিপি গুলো দেখলে খুব খেতে ইচ্ছে করে। সজনে ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

এখন সজিনা ফুলে গাছ ভর্তি ফুল ফোটে আর গাছের নিচে শিউলি ফুলের মতো সজিনা ফুল পড়ে থাকে। কোন সজিনা গাছের নিচে গেলেই পাবেন এই ফুল😊।

 last month 

দিদি আজ আপনি একদম অন্য রকমের পকড়া নিয়ে হাজির হয়েছেন। এটি যদি ও কখনো খাই নি। তবে দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

 last month 

খেয়ে দেখবেন একদিন বানিয়ে খুবই সুস্বাদু লাগবে।

 last month 

আপনার দিদু পাকোড়া পছন্দ করতো জেনে অনেক ভালো লাগলো। পাকোড়া অনেক খেয়েছি তবে কখনো সরিষা ফুলের পাকোড়া খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করতে হবে।ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 last month 

এই ধরনের রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি ।অনেক সুন্দর ছিল আইডিয়াটা। সজিনা ফুল দিয়ে দারুন পকোড়া রেসিপি করেছেন। এই ধরনের ভাজি জাতীয় খাবার আমার খুবই প্রিয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি । আমাদের সাথে এত সুন্দর পকোড়া রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.11
TRX 0.23
JST 0.030
BTC 78215.33
ETH 1547.29
USDT 1.00
SBD 0.64