রকেট উড়ল আর দেশপ্রেমের আবেগে মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো জয়
রকেট উড়ল আর দেশপ্রেমের আবেগে মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো জয় বা... হঠাৎ থেমে গেলাম এই ভেবে যে, মহাকাশের স্যাটেলাইট দিয়ে আমার আসলে লাভ কি?
গবেষণায় নেমে পড়লাম, রাতারাতি হয়ে গেলাম একজন দেশ বরেণ্য কৃত্তিম উপগ্রহ বিশেষজ্ঞ। জানতে পারলাম যে, আরেকজনের স্যাটেলাইট ইউজ না করার কারনে বেশ কিছু টাকা বেঁচে যাবে, তারউপর স্যাটেলাইট খেপে দিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে অনেক টাকা আনা যাবে। টেকনোলজিকাল অনেক সুযোগ সুবিধাও আসে কিন্তু ৪.৫জি এর যুগে আমার বাসায় অনেক কষ্টে রবির এজ আসে, ৩জির মাঝে মাঝে দেখা পাইনা, চিরদিন কেন পাইনা কেও জানেনা তাই আর টেকনোলজিকাল সুবিধা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দেশপ্রেমের আবেগে এইবার জয় বাং... বলতেই থেমে গেলাম।
মাথায় আবার চিন্তা আসল যে আমার লাভ কি আসলে? খুজতে লাগলাম কিন্তু কিছু পেলাম না। যা পেলাম, তা হচ্ছে পুরো লাভটাই "নাম বললে চাকরি থাকবে না" এমন এক প্রতিষ্ঠানের তথা কিছু ব্যক্তির। দেশপ্রেম কমতে শুরু করল। যেহেতু ২০০৯ এ লীগকে ভোট দিয়েছিলাম তাই তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ভাই আসলে কি লাভ আমার? ওরা বলল যে, এতোকিসু বুঝতে হবে না, আসসে ঢেমনী কোথাকার! ইনবক্সে বিকাশ নাম্বার পাঠান আর যান পাটাকা গানে একটা ডিসলাইক দিয়ে আসেন। আর এইসব প্রশ্ন করবেন না। বেশী বাড়াবাড়ি করলেই মীর জাফর স্যারকে দিয়ে গলগল করে বমি করায় দিব আপনার উপর। একটু পরেই, ফোনে ম্যাসেজ টোন। বিকাশের এসএমএস, এসএমএসএ লেখা কিছু সংখ্যা।
এইবার আবেগের ভেজা ভেজা চোখ নিয়েই মুখ থেকে অটো বেরিয়ে আসলো, জয় বাংলা!