চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম। আজ আমি আপনাদের সাথে আরো একটি কমন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। যেটা অনেকেই অনেক ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে তৈরী করে থাকে। আমি আজ ঘরোয়া মশলায় ঝটপট চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমি আজ চিকেন বিরিয়ানি খুবই সাধারনভাবে তৈরী করেছি।বিরিয়ানি এমন একটি খাবার যেটা অধিকাংশ মানুষের খুব পছন্দের।বিরিয়ানি স্বাস্থ্যকর উপায়ে খুব অল্প উপকরনের সাহায্যে বাড়িতে কিভাবে অল্প সময়ে ঝামেলাহীন ভাবে তৈরী করা যায় সেটাই আমি আজ আপনাদের দেখাবো।চলুন রেসিপিটি শুরু করি।
উপকরণ:
১.পোলাওয়ের চাল বা চিনিগুড়া চাল
২.মুরগীর মাংস
৩.কয়েকপিস আলু
৪.পেঁয়াজ কুচি
৫.লবন
৫.ধনিয়ার গুড়া
৬.কাচামরিচ পেস্ট
৭.আদা পেস্ট
৮.রসুনপেস্ট
৯.জিরা পেস্ট।
১০.টক দই
১১.বিরিয়ানি মশলা
১২.তেল
১৩.ঘি
প্রস্তুতপ্রণালী :
প্রথম স্টেপে মুরগির মাংস পরিষ্কার করে ধুয়ে লবন, ধনিয়ার গুড়া,টকদই এবং বিরিয়ানি মশলা দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিব।
এখন কড়াইতে তেল গরম করে টুকরো করা আলুগুলো নুন হলুদ দিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিয়েছি।
তারপর সেই একই তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে অর্ধেক বেরেস্তা হিসেবে উঠিয়ে রেখেছি আর বাকি অর্ধেক এর মধ্যে কাচামরিচ,আদা,রসুন জিরা পেস্ট দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।
তারপর আগে থেকে মেখে রাখা মাংস গুলো মসলার মধ্যে ঢেলে দিয়ে অল্প পরিমানে পানি দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ হতে দিতে হবে। কিছুটা সেদ্ধ হয়ে আসলে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে।
তারপর মাংস গুলো নেড়ে চেড়ে ঝোল অনেকটা শুকিয়ে ফেলবো। মাংস রান্না হয়ে আসলে মাংস গুলো একটা পাত্রে উঠিয়ে রাখবো।
এরপর কড়াইতে যে মশলা গুলো অবশিষ্ট থাকবে তারমধ্যে চাল দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে নিবো। চাল ভাজার সময় মশলা গুলা যাতে পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আমি আগে থেকে রাইস্কুকারে পানি গরম করতে দিয়েছিলাম।বিরিয়ানিতে পানির পরিমান খুবই সাবধানে পরিমাণ মতো দিতে হবে। আমি চাল যতো গুলা নিয়েছি তার ডাবল পরিমাণ পানি নিয়েছি। এভাবেই ভাত গুলা খুব ঝরঝরা হয়।ফুটন্ত গরম পানিতে ভাজা চাল গুলা ডেলে দিয়ে মাংস এবং আলুগুলা দিয়ে নাড়িয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।
এরমাঝে একবার লবণ চেক করে দেখতে পারেন ঠিকঠাক হয়েছে কিনা। বিরিয়ানিতে পারফেক্ট পরিমাণ লবন না হলে খেতে মজা লাগে না। এখন পানি শুকিয়ে আসলে উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও চিনি ছড়িয়ে দিবো। আমি আগে থেকে বেরেস্তার সাথে চিনি মিক্সড করে রেখেছিলাম।আর দিয়ে দিবো ঘি।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষন দমে রাখবো।
এভাবে খুব সহজেই বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে বিরিয়ানি রান্না করে ফেললাম। এখন একটা প্লেটে পরিবেশন করে নিলাম।
এভায়ে বিরিয়ানি রান্না করলে স্বাদটা খুব একটা খারাপ হয় না। আশা করি সবার ভালো লাগবে। যাদের কাছে নতুন, ট্রাই করে দেখতে পারেন বাসায়। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

বিরিয়ানি পছন্দ করে না এরকম মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। ব্যক্তিগতভাবে বিরিয়ানি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। ঘরোয়া উপায়ে আপনি খুবই মজাদার এবং লোভনীয় এই বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আমাদের উচিত বেশি বেশি মসলা না ব্যবহার করে অতি অল্প মসলা ব্যবহার করে এই রেসিপি তৈরি করা এতে আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো এবং তেমন কোন ঝুঁকি নেই। মজাদার এই বিরিয়ানি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি বাড়ীতে প্রায়ই বিরিয়ানি রান্না করে থাকি। তবে চিকেন বিরিয়ানি থেকে মাটন বিরিয়ানি বেশি করি। বিরিয়ানি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি চিকেন বিরিয়ানি করলে করলে অতটা বেশি স্বাদ হয় না ।তবে ভাইয়া আপনার বিরিয়ানি রান্নাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি এভাবে বাড়ীতে একদিন তৈরি করবো। আমাদের এখানে বিরিয়ানি রান্না করা হয় বাসমতি চাল দিয়ে। পোলাওয়ের চাল পাওয়া যায় না। ভাইয়া আপনার বিরিয়ানি দেখে মনে হচ্ছে খুবই স্বাদ হয়েছে। আমার তো দেখেই লোভ লাগছে। অনেক সুন্দর ও সহজ করে চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ বৌদি মন্তব্য করার জন্য। তবে আপনি যেদিন রান্না করবেন খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর অবশ্যই সে রেসিপি শেয়ার করবেন আর কেমন লাগলো সেটাও জানাবেন।
সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
বিরিয়ানি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একবার খাইতে হয়,তবে বাইরে খাবার থেকে আমি বাড়িতে সবাইকে নিয়ে খেতেই বেশি পছন্দ করি।রেসিপি থেকেই বুঝতে পারছি দারুন হবে খেতে। এই সপ্তাহে আপনার রেসিপি ট্রাই করব।আর ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।দেখেই জীভে চল চলে আসছিল।সুস্বাদু চিকেন বিরিয়ানির রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া সকাল সকাল আপনার তৈরি চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি দেখে, আমার পেটে তো ছুচো দৌড়াতে শুরু করেছে। মজাদার এই রেসিপি দেখে খাওয়ার লোভকে সামলানো বড়ই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। চিকেন বিরিয়ানি দেখেও বুঝতে পারছি খেতে খুবই মজার হয়েছে। রন্ধন প্রণালীটাও খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে দারুন একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাই।
আরে ভাইয়া, আপনি বিরিয়ানি ও রান্না করতে পারেন,ছবিতে একবারে পারফেক্ট লাগছে।আমাদের বাসায় ও এভাবে রান্না করা হয়, যদিও গ্যাসের চুলায়। আমার ভালো লাগে বিরিয়ানি খেতে।বিরিয়ানিতে আলু দিলে খেতে বেশ ভালো লাগে।বেশ লোভনীয় রেসিপি। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাহ ভাই আপনার রেসিপি তো কপাল জোরে দেখা যায়। কতদিন পর একটা রেসিপি দিলেন মনে করতে পারছি না। রান্নায় যদিও আমি একেবারে কাঁচা তবে আপনাদের রেসিপি গুলো দেখতে ভালো লাগে। চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি টা ভালো তৈরি করেছেন। এবং প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
হাহাহা। এখন থেকে মাঝেমধ্যেই দিব।
আমি মনে করি কম বেশি সবাই বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে। আর আমরা বেশিরভাগ চিকেন বিরিয়ানিটা তৈরি করে থাকি। আপনি এমনভাবে বিরিয়ানি টাকে পরিবেশন করলেন আমি তো ভাবলাম কোন রেস্টুরেন্টে দিয়েছে। আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন চিকেন বিরিয়ানি যে যার মত ভিন্ন ভাবে তৈরি করে। কিন্তু আপনার রেসিপি পুরোটা আমি ফলো করলাম। আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। এমনকি সহজ একটি রান্নার রেসিপি পেলাম। আপনার মত করে কখনো ট্রাই করে দেখব।
আ-হা দেখেই জিভে জল😋 চলে আসলো। বিরিয়ানি পছন্দ করে না এমন কেউ যে আছে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিরিয়ানি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে কিন্তু তেমন একটা বিরানি খাওয়া হয় না ।মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে গেলে কিনে খাওয়া হয়। আপনার বিরানটি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ভাইয়া ।এমন সুন্দরভাবে বিরিয়ানি রান্না করতে পারলে তো আর কোন কথাই নেই। প্রতিদিন প্রায়ই খাওয়া হতো, আমাদের বাড়ির পাশের ভাইয়া হলে আমি এক্ষুনি যেয়ে খেয়ে আসতাম ভাইয়া ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বিরিয়ানি আমার খুব ভাল লাগে খেতে। পুরান ঢাকার এদিকে থাকার কারনে আমার সাধারনত দোকানের বিরিয়ানি বেশি খাওয়া হয়। বাসায় মাঝে মাঝে রান্না করলেও তা প্যাকেট মসলা দিয়ে রান্না করি। বাসায় তৈরি করা মসলা দিয়ে রান্না করলে বেশি টেস্টি হয়। আপনি প্রথমে মুরগী প্রসেস করে তারপর চাল আলাদা প্রসেস করে দুটো একসাথে মিশিয়ে খুব সুন্দরভাবে বিরিয়ানি রান্না করেছেন। আর বিরিয়ানিতে ঘি দিলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আপনার পরিবেশন দেখে আমার এখনই বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিরিয়ানি খেতে আমি পছন্দ করি, তবে সব সময় না মাসে দুই একবার। আমি তো আপনার বিরানি রেসিপি দেখে লোভ সামলানো খুব কষ্টকর। রন্ধন প্রক্রিয়াটি ছিল অসাধারণ। পড়তে পড়তে মুখস্ত হয়ে গেল আপনার চিকেন বিরিয়ানি রান্নার প্রক্রিয়া। আমাদেরকে এত সুন্দর একটি চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।