খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা।shy-fox 10%
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
শীতকালে চারদিকে পিঠাপুলির ধুম পড়ে যায় কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি সব ধরনের রান্না করতে পারলেও এই পিঠাপুলি আমার দ্বারা সম্ভব হয় না।আগে প্রতিবার শীতের সময়ে মা পিঠাপুলি বানিয়ে খাওয়াতো তাই আমি কখনোই চেষ্টা করে দেখিনি তাই আর শেখাও হয়নি।আমার বড় মেয়ে পাটিসাপটা পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করে তাই মাঝে মাঝেই বায়না করে পাটিসাপটা পিঠা খাওয়ার।তাই ভাবলাম এবার পিঠা বানাতেই হবে যাতে করে মেয়ের কোন অভিযোগ শুনতে না হয়,তাই সেদিন সাহস করেই বানাতে শুরু করে দিলাম দেখতে খুব একটা ভালো হয়নি কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।
উপকরণ |
---|
চালের গুঁড়া |
ময়দা |
গরুর দুধ |
গুঁড়া দুধ |
খেজুরের গুঁড় |
প্রস্তুত প্রণালী
চিনিগুড়া চাল ভালো করে ধুয়ে জলে এক ঘন্টার মতো ভিজিয়ে রেখেছিলাম তারপর একটা ছিদ্রযুক্ত ছাকনির মধ্যে জল ঝড়ানোর জন্য তুলে রেখেছিলাম।জল ঝড়ে গেলে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিয়েছি।
কড়াইয়ে গরুর দুধ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিয়ে ঘণ করে নিয়েছি তারমধ্যে খেজুরের গুড় দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে তারমধ্যে গুঁড়া দুধ গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা আঁচে ক্ষীর তৈরি করে নিয়েছি।
একটা বড় বাটিতে জ্বাল করা গরুর দুধ নিয়ে তারমধ্য খেজুরের গুড়,চালের গুঁড়া,ময়দা একসাথে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটা ব্যাটার তৈরি করে নিয়েছি।তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে সামান্য তেল ব্রাশ করে নিয়ে একটা চামচের সাহায্যে কড়াইয়ে দিয়ে মাঝে ক্ষীরর পুর দিয়ে
মুড়িয়ে নিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে সেকে তুলে নিয়েছি।
একইভাবে সবগুলো পিঠা তৈরি করে নিয়েছি আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।আবারও সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।
🌼শুভ বসন্ত🌼
OR
যে কোন ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আজকে আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো । বিশেষ করে খেজুরের গুড় দেওয়াতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। কয়দিন আগে আমি মামার বাড়ি গিয়েছিলাম তখন এই পিঠা খেয়েছি । আপনার পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে । এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে পিঠা বানাতে পারেন কে বলেছে পারেন না পিঠা বানাতে। আপনি খুব সুন্দর করে পাটিসাপটা পিঠা গুলো বানিয়েছেন। আপনার মেয়ে পিঠাগুলো খাওয়ার জন্য বলল। তাই আপনি চেষ্টা করে অনেক সুন্দর করে পিঠা বানিয়েছেন। আসলে পাটিসাপটা পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে। আর শীতকাল আসলে আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকি। অনেক সুন্দর করে পাটিসাপটা পিঠা গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আপু আগে কখনোই পিঠা বানাতে পারতাম না এখন একটু চেষ্টা করছি আশাকরি আগামীতে আরও অনেক ভালো হবে।ধন্যবাদ আপু।
পাটিসাপটা পিঠা গুলো দেখতে খুবই সুস্বাদু লাগছে। মেয়ে পাটিসাপটা খেতে চেয়েছিলো সেজন্য পাটিসাপটা পিঠা বানিয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। পিঠা বানানোর পদ্ধতি টা দেখে পাটিসাপটা পিঠা বানানো শিখে গেলাম। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পাটিসাপটা পিঠা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু আমার বড় মেয়ের কথায় পিঠা গুলো বানানো হয়েছিলো।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার পাটিসাপটা পিঠা খেতে ভীষণ পছন্দ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ বছর অন্যান্য পিঠা বেশি খাওয়া হলেও পাটিসাপটা একদিনও খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠা গুলো দেখে খুব ইচ্ছে করছে খেতে। যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আহারে আগে জানলর পাঠিয়ে দিতাম যাক আসছে বছর আবার হবে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাবি।
পাটি সাপটা পিঠা একটি মজাদার পিঠা। ছোট বেলায় মা বানাতো এবং আমি অনেক মজা করে খেতাম। গুড়ের পিঠার স্বাদ অনেক বেশি হয়, অনেক ঘ্রাণ ও আসে। আপনি অনেক সুন্দর করে কিছু পাটি শাপটা পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গুড়ের পাটিসাপটা পিঠার স্বাদ বেশি আর অনেক সুঘ্রাণ আসে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অন্যান্য রান্না গুলো একটু একটু পারলেও পিঠা আমিও বানাতে পারি না। আসলে পিঠা বানানোর জন্য অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। যাই হোক আপনি চেষ্টা করেছেন এবং ভালোভাবেই সফল হয়েছেন। খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি দারুন হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু পিঠার মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও তাই আপু সবকিছু পারলেও পিঠা বানাতে পারিনা। জ্বি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার এত মজাদার পিঠা দেখে জিভে জল চলে আসল। আমার কাছে এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। এরপর যদি এই পিঠা খেজুরের গুড় দিয়ে করা হয় তাহলে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু খেজুরের গুড়ের যেকোনো কিছু খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু।
ওয়াও আপু আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু ছিল অনেক।আপনি পিঠা তৈরির ধাপগুলো গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন,এটা দেখে যে কেউ সহজেই পিঠার রেসিপিটি প্রস্তুত করতে পারবেন সহজেই।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আপু তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপু আমি মনে হয় জীবনে মাত্র কয়েকবার এই পিঠাটা খেয়েছি। তাও আবার মানিকগঞ্জের এক বন্ধুর মাধ্যমে। এত মজা লাগে এই পিঠাটা যা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার পোষ্ট দেখে সেই কথাটা মনে পড়লো। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই এই পিঠা খেতে অনেক মজা, আমারও খুব ভালো লাগে ভাইয়া।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।