ইউক্রেনের যুদ্ধে গাজীপুরের হাবিবের ছেলে তাইয়েব
‘ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই খুব সাহসী, দুরন্ত। পাড়ার ছেলেদের নেতা ছিল সে।’
ছেলে মোহাম্মদ তাইয়েব সম্পর্কে কথাগুলো বললেন মো. হাবিবুর রহমান। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ার পাবুরগ্রামে। তিনি ইউক্রেনে আছেন ৩২ বছর ধরে।
লিংক ঃhttps://bit.ly/3IHrjJN
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিপ্রোস্কি এলাকায়। ইউক্রেনেই বিয়ে করেছেন। স্ত্রী ইলোনা। হাবিব-ইলোনা দম্পতির ছেলে তাইয়েব এখন ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করছেন।
গতকাল মুঠোফোনে কথা হয় হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। ছেলের যুদ্ধে যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে উঠে এল ইউরোপের এই দেশে তাঁর যাওয়া, বসত গড়া, সংসার গড়ে তোলার কথা।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো মোহাম্মদ তাইয়েবের ছবিছবি: সংগৃহীত
১৯৯০ সালে ইউক্রেনে যান হাবিব। দেশ থেকেই স্নাতক পাস করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল ইউক্রেন থেকে ইউরোপের অন্য কোনো দেশে যাওয়া, সেই চেষ্টা করেছিলেনও কয়েক বার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনেই থিতু হন। তিনি সেখানে কাপড়ের ব্যবসা করেন। রমরমা ব্যবসা ছিল তাঁর। একপর্যায়ে পরিচয় হয় ইউক্রেনের নারী ইলোনার সঙ্গে। পরে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে তাইয়েবের বয়স ১৮ বছর ৪ মাস। ছোট ছেলে মোহাম্মদ করিম।
লিংক ঃhttps://bit.ly/3IHrjJN
বড় ছেলে তাইয়েব কিয়েভের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। হাবিব বলছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই এ অঞ্চলের অনেক সাধারণ মানুষের যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। আমার ছেলেও যেতে চাইছিল। আমরা ওর এসব কথায় তেমন গুরুত্ব দিইনি।’
২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সেই শব্দে হাবিবের পুরো পরিবারও অন্য সবার মতো জেগে ওঠে। ছেলেটি সকালের নাশতা খেয়েই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। হাবিব ও তাঁর স্ত্রী ইলোনা এতে তীব্র আপত্তি করেন।
হাবিব বলছিলেন, ‘আমি চাইনি ও যুদ্ধে যাক। এতটুকু ছেলে, ও যুদ্ধের কী বোঝে। কিন্তু ও ছিল নাছোড়বান্দা। ওর কথা আর যুক্তি শুনে আমরা আর ওকে আটকাতে পারলাম না।’
লিংক ঃhttps://bit.ly/3ঈহ্রজজণ